n_id
stringlengths
5
10
doc_id
stringlengths
64
67
lang
stringclasses
1 value
text
stringlengths
200
88.7k
pib-1188
e6807f428997a1e894fb49e0b32650997ace07ef6c5291ffe6249bd5cc9e7fb1_2
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর সুরাটে সৌরাষ্ট্র প্যাটেল সেবা সমাজ নির্মিত ছাত্রাবাস-প্রথম পর্যায়ের ভূমিপূজন সমারোহে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ নয়াদিল্লি, ১৫ অক্টোবর, ২০২১ নমস্কার! আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্যজি, শ্রী পুরুষোত্তমভাই রুপালাজি, শ্রদ্ধেয় দর্শনা বেন, লোকসভায় আমার সাংসদ বন্ধু এবং গুজরাটে ভারতীয় জনতা পার্টির অধ্যক্ষ শ্রী সি আর পাটিলজি, সৌরাষ্ট্র প্যাটেল সেবা সমাজের অধ্যক্ষ শ্রী কানজি ভাই, সৌরাষ্ট্র প্যাটেল সেবা সমাজের সমস্ত সম্মানিত সদস্যগণ আর এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা! সৌরাষ্ট্র প্যাটেল সেবা সমাজ দ্বারা আজ বিজয়া দশমীর পুণ্য তিথিতে একটি পুণ্য কাজের শুভারম্ভ হচ্ছে। সেজন্য আমি আপনাদের সবাইকে এবং গোটা দেশকে বিজয়া দশমীর আন্তরিক শুভকামনা জানাই। বন্ধুগণ, রামচরিত মানস-এ প্রভু শ্রীরামের ভক্তদের সম্পর্কে এবং তাঁর অনুসরণকারীদের সম্পর্কে টিকা সহ অত্যন্ত বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। রামচরিত মানস-এ বলা হয়েছে – “প্রবল অবিদ্যা তম মিটি জাই। হারহিঁ সকল সলভ সমুদাঈ।।” অর্থাৎ, ভগবান রামের আশীর্বাদে তাঁর অনুসরণকারীদের মন থেকে অবিদ্যা, অজ্ঞান এবং অন্ধকার মিটে যায়। যতসব নেতিবাচক শক্তি রয়েছে সেগুলি পরাজিত হয়, আর ভগবান রামকে অনুসরণ করার অর্থ হল – মানবতাকে অনুসরণ, জ্ঞানকে অনুসরণ! সেজন্য গুজরাটের মাটিতে বাপুজি রামরাজ্যের আদর্শ অনুসরণ করে চলা সমাজের কল্পনা করেছিলেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে গুজরাটের জনগণ সেই মূল্যবোধকে মজবুতভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলছেন। সৌরাষ্ট্র প্যাটেল সেবা সমাজ দ্বারা শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নতিতে আজকের এই উদ্যোগ সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলারই একটি অংশ। আজ এখানে ছাত্রাবাসের প্রথম পর্যায়ের ভূমিপূজন সুসম্পন্ন হল। আমাকে বলা হয়েছে যে, ২০২৪ সালের মধ্যে এই ছাত্রাবাস নির্মাণের উভয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। এটি সম্পূর্ণ হলে অসংখ্য যুবক-যুবতী এখানে থেকে পড়াশোনা করবে এবং তারা জীবনে একটি নতুন লক্ষ্যের সন্ধান পাবে। তাদের নিজের নিজের স্বপ্নগুলি বাস্তবায়নের সুযোগ পাবে। আমি এই সমস্ত উদ্যোগের জন্য সৌরাষ্ট্র প্যাটেল সেবা সমাজকে এবং বিশেষভাবে এর অধ্যক্ষ শ্রী কানজি ভাইকে ও তাঁর টিমের সমস্ত সক্রিয় সদস্যদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি এটা ভেবে অত্যন্ত আনন্দিত যে এই সেবার কাজে সমাজের প্রত্যেক শ্রেণীকে সঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা রয়েছে। এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ। বন্ধুগণ, যখন আমি ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এই ধরনের সেবার কাজ দেখি, তখন আমার গর্ব হয়। গুজরাট কিভাবে সর্দার প্যাটেলের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে – তা ভেবে গর্বিত হই। সর্দার সাহেব বলেছিলেন … … আর সর্দার সাহেবের বাক্যগুলি আমাদের নিজেদের জীবনে বাঁধিয়ে রেখে অনুসরণ করার মতো। সর্দার সাহেব বলেছিলেন, “জাতি এবং ধর্মকে আমাদের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে দিলে চলবে না। আমরা সকলেই ভারতের পুত্র এবং কন্যা। আমাদের সকলের মনেই দেশের প্রতি প্রেম থাকতে হবে, পারস্পরিক ভালোবাসা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হবে।” আমি নিজে এর সাক্ষী; আমি অনুভব করেছি, সর্দার সাহেবের এই ভাবনাগুলি কিভাবে গোড়া থেকেই গুজরাটের উন্নয়নকে মজবুত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ সবার আগে! – এটাই আজ সর্দার সাহেবের সন্তানদের জীবনের মন্ত্র। আপনারা বিশ্বের যে কোনও জায়গাতেই যান না কেন, আপনারা সব জায়গায় গুজরাটবাসীদের এই জীবন-মন্ত্র মেনে চলতে দেখতে পাবেন। ভাই ও বোনেরা, ভারত এই সময় তার স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই অমৃতকাল আমাদের নতুন নতুন সঙ্কল্পের পাশাপাশি সেই মনীষীদেরও মনে করার প্রেরণা যোগায়, যাঁরা গণচেতনা জাগ্রত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আজকের প্রজন্মকে তাঁদের সম্পর্কে অবহিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আজ গুজরাট যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তার পেছনে এরকম অনেক মানুষের তপস্যা, ত্যাগ এবং তিতিক্ষা রয়েছে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন সব ব্যক্তিত্ব পথ দেখিয়ে গেছেন, যাঁরা গুজরাটের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা সবাই হয়তো একজন মহাপুরুষ সম্পর্কে জানি। উত্তর-গুজরাটে তাঁর জন্ম। আজ গুজরাটের প্রত্যেক প্রান্তে তিনি এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি। সেই মহাপুরুষের নাম শ্রী ছগনভা। ছগনভার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, শিক্ষাই সমাজের সশক্তিকরণের সবচাইতে বড় মাধ্যম। আপনারা কল্পনা করতে পারেন, আজ থেকে ১০২ বছর আগে ১৯১৯ সালে তিনি কডী-তে সর্ববিদ্যালয় কেলভণী মণ্ডল স্থাপন করেছিলেন। এটি অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কাজ ছিল। ছগনভার জীবনের মন্ত্র ছিল – “ভালো করুন, ভালো হবে।” এই প্রেরণা থেকেই তিনি পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ১৯২৯ সালে যখন গান্ধীজি ছগনভা-জির সর্ববিদ্যালয় কেলভণী মণ্ডল সফরে এসেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, “ছগনভা অনেক বড় সেবার কাজ করছেন!” তিনি জনসাধারণের কাছে আবেদন রেখেছিলেন, যাতে তাঁরা বেশি করে নিজেদের ছেলে-মেয়েকে ছগনভার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য পাঠান! বন্ধুগণ, দেশের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য নিজের বর্তমানকে সমর্পণ করা এরকম আরেকজন মনীষীর কথা আমি বলতে চাইব, তিনি ছিলেন ভাইকাকা। ভাইকাকা আনন্দ এবং খেরার চারপাশের এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক কাজ করেছিলেন। ভাইকাকা নিজে ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। তাঁর পেশা খুব ভালোই চলছিল। কিন্তু সর্দার সাহেবের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন আর আমেদাবাদ মিউনিসিপালিটিতে কাজ করার জন্য চলে আসেন। কিছুদিন পর তিনি চরোতর চলে যান। চরোতর-এর আনন্দ-এ তিনি চরোতর এডুকেশন সোসাইটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি চরোতর বিদ্যামণ্ডলের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছিলেন। সেই সময় ভাইকাকা একটি গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এটি একটি এমন বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি গ্রামেই গড়ে উঠবে, আর যার শিক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রে থাকবে গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামীণ ব্যবস্থা। এই ভাবনা থেকে প্রেরণা নিয়েই তিনি সর্দার বল্লভভাই বিদ্যাপীঠ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরকমই আরেকজন এগিয়ে থাকা মানুষ ছিলেন ভিখাভাই প্যাটেল। তিনি ভাইকাকা এবং সর্দার প্যাটেলের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। বন্ধুগণ, যাঁরা গুজরাট সম্পর্কে কম জানেন, তাঁদেরকে আজ বল্লভভাই বিদ্যানগর সম্পর্কেও জানাতে চাই। আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানেন যে এই স্থানটি রয়েছে করমসদ-বাকরোল এবং আনন্দ-এর মাঝখানে। রাজ্যে শিক্ষার প্রসারের জন্য এই অঞ্চলটিকে বিকশিত করা হয়েছিল। গোটা এলাকার গ্রাম বিকাশের কাজ দ্রুত করা হয়েছিল। বল্লভভাই বিদ্যানগরের সঙ্গে সিভিল সার্ভিসের বিখ্যাত আধিকারিক এইচ এম প্যাটেলজিও যুক্ত ছিলেন। সর্দার সাহেব যখন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন, তখন এইচ এম প্যাটেলজি তাঁর অনেক ঘনিষ্ঠ প্রশাসক ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি জনতা পার্টি সরকারের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রীও হয়েছিলেন। বন্ধুগণ, এরকম অনেকের নাম আমার আজকে মনে পড়ছে। সৌরাষ্ট্রের কথা যদি বলি, তাহলে আমাদের মোহনলাল লালজিভাই প্যাটেলের কথা বলতে হয় - যাঁকে আমরা মোলা প্যাটেল নামে জানতাম। মোলা প্যাটেল সৌরাষ্ট্রে একটি বিশাল বিদ্যায়তনিক পরিসর তৈরি করেছিলেন। একদিকে মোহন ভাই বীরজিভাই প্যাটেলজি আজ থেকে ১০০ বছর আগে ‘প্যাটেল আশ্রম’ নামক একটি ছাত্রাবাস স্থাপন করে আম্রেলির শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার কাজ করেছিলেন। জামনগরে কেশাবাজি ভাই আরজিভাই ভিরানি এবং করশন ভাই বেচরভাই ভিরানি – এঁরা অনেক দশক আগে রাজ্যের কন্যাসন্তানদের শিক্ষিত করার ইচ্ছা নিয়ে বিদ্যালয় এবং ছাত্রাবাস তৈরি করেছিলেন। আজ নাগিনভাই প্যাটেল, সাকলচন্দ প্যাটেল, গণপতভাই প্যাটেলের মতো মানুষদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় গুজরাটের নানা স্থানে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। আজকের এই পবিত্র দিনটিতে এই মহাপুরুষদের কথা মনে করার উপযুক্ত দিন। আমরা এরকম সমস্ত ব্যক্তিদের জীবনগাথা যদি দেখি, তাহলে বুঝতে পারব যে কিভাবে ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাঁরা বড় বড় লক্ষ্য বাস্তবায়নের পথ দেখিয়েছেন। তাঁদের বিভিন্ন উদ্যোগের এই সামগ্রিকতা দেশে ও বিশ্বে বড় বড় সাফল্য অর্জনের পথ দেখিয়েছে। বন্ধুগণ, আপনাদের সকলের আশীর্বাদে আজ আমার মতো অত্যন্ত সামান্য ব্যক্তিও জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পেরেছি, যার কোনও পারিবারিক বা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল না, কোনও জাতিবাদী রাজনীতির সুযোগ ছিল না। এরকম সামান্য ব্যক্তিকেও আপনাদের আশীর্বাদ ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আপনাদের আশীর্বাদের শক্তি এতটাই বড় যে, আজ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমার প্রথমে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, আর তারপর দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে সেবা করার সৌভাগ্য হয়েছে। বন্ধুগণ, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’- এর সামর্থ্য কেমন হয় এটা আমি গুজরাট থেকেই শিখেছি। এক সময় গুজরাটে ভালো স্কুলের অভাব ছিল। ভালো শিক্ষার জন্য শিক্ষকেরও অভাব ছিল। উমিয়ামাতার আশীর্বাদ নিয়ে, খোরলধাম দর্শন করে আমি এই সমস্যার সমাধানের জন্য জনগণের সাহায্য চাই, জনগণকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করি। আপনাদের হয়তো মনে আছে, এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য গুজরাটে আমি ‘প্রবেশোৎসব’-এর সূত্রপাত করেছিলাম। স্কুলগুলিতে শিক্ষাদানের উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্য ‘সাক্ষরদীপ’ এবং ‘গুণোৎসব’ও শুরু করেছিলাম। তখন গুজরাটের স্কুলগুলিতে মেয়েদের ড্রপ-আউট একটা বড় সমস্যা ছিল। একটু আগেই আমাদের গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি একথা সবিস্তারে বলেছেন। এর বেশ কিছু সামাজিক কারণ তো ছিলই, কিছু ব্যবহারিক কারণও ছিল। যেমন মেয়েরা চাইলেও অনেকে স্কুলে যেতে পারত না, কারণ স্কুলগুলিতে মেয়েদের জন্য শৌচালয় ছিল না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য গুজরাটের পঞ্চশক্তি থেকে আমি প্রেরণা সংগ্রহ করি। এই পঞ্চশক্তিকে আমরা পঞ্চামৃতও বলতে পারি। এই পঞ্চশক্তি হল – জ্ঞানশক্তি, জনশক্তি, জলশক্তি, জ্বালানীশক্তি এবং রক্ষাশক্তি! রাজ্যের স্কুলগুলিতে মেয়েদের জন্য শৌচালয় তৈরি করা হয়। বিদ্যালক্ষ্মী বন্ড, সরস্বতী সাধনা যোজনা, কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় – এরকম নানা প্রচেষ্টার পরিণামে গুজরাটে শিক্ষার উৎকর্ষ বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, স্কুলছুটের হারও দ্রুতগতিতে হ্রাস পায়। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ মেয়েদের পড়াশোনার জন্য, তাঁদের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়মিত বাড়ছে। আমার মনে পড়ে, সমস্ত গুজরাটের মধ্যে আপনারাই সুরাটে প্রথম ‘বেটি বাঁচাও’ অভিযান শুরু করেছিলেন। আমার এটাও মনে আছে, সেই সময় আমি আপনাদের সমাজের মানুষদের মধ্যে আসতাম, আর এই ধরনের তিক্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতাম। আপনারা খুশি হয়ে শুনতেন কি রাগ করে শুনতেন, সেদিকে লক্ষ্য না দিয়ে আমি মেয়েদের জীবনরক্ষার স্বার্থে, তাঁদের জীবনের উন্নতির স্বার্থে অনেক কড়া কথা বলেছি। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আপনারা সবাই আমার কথা মেনে চলেছেন, আর আপনারা সুরাটে যে আন্দোলনের শুভ সূচনা করেছিলেন, সেটি আজ সমগ্র গুজরাটে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনারা সমাজের প্রত্যেক প্রান্তে মেয়েদের রক্ষার জন্য মানুষকে শপথ নিতে প্রেরণা যুগিয়েছেন। আমিও আপনাদের এই মহাপ্রয়াসে আপনাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। আপনারা অনেক বড় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সুরাটে ‘রক্ষাশক্তি ইউনিভার্সিটি’ গড়ে উঠেছে। একটু আগেই মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলছিলেন। আমি এ বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই, যাতে আজ আমাদের দেশের মানুষ, যাঁরা এই অনুষ্ঠান দেখছেন - তাঁরাও জানতে পারেন। গুজরাট অনেক কম সময়ের মধ্যে ‘রক্ষাশক্তি ইউনিভার্সিটি’ গড়ে তোলে; এটি বিশ্বের প্রথম ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি। এর পাশাপাশি, ল’ ইউনিভার্সিটি বা আইন বিশ্ববিদ্যালয়, দীনদয়াল এনার্জি ইউনিভার্সিটি বা জ্বালানী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বের প্রথম চিলড্রেন্স ইউনিভার্সিটি বা শিশু বিশ্ববিদ্যালয়, টিচার্স ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি বা শিক্ষক শিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়, স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি বা ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়, কামধেনু ইউনিভার্সিটি – এরকম ব্যতিক্রমী উদ্ভাবনের শুভ সূচনা করে গুজরাট দেশকে নতুন পথ দেখিয়েছে। আজ এ সকল উদ্যোগের ফলে গুজরাটের নতুন প্রজন্ম উপকৃত হচ্ছে। আমি জানি, আপনাদের মধ্যে অধিকাংশই এগুলি সম্পর্কে জানেন, আর একটু আগেই ভূপেন্দ্রভাইও বলেছেন। কিন্তু আজ আমি আপনাদের সামনে আবার বললাম, কারণ, যেসব উদ্যোগে আপনারা আমাকে সাহায্য করেছেন, আর আমার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হেঁটেছেন, আপনারা কখনও পিছন ফিরে তাকাননি। এসব উদ্যোগের অভিজ্ঞতাই আজ দেশে বড় বড় পরিবর্তন আনছে। বন্ধুগণ, আজ নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও আধুনিক করে তোলা হচ্ছে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিভিন্ন পেশাগত পাঠ্যক্রমে স্থানীয় ভাষা বা মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের বিকল্প দেওয়া হয়েছে। অনেক কম মানুষ এটা বুঝতে পারছেন যে এর ফলে সমাজে কত বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। গ্রামের গরীব বাড়ির শিশুরাও এখন লেখাপড়া করে বড় হয়ে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারবে। ভাষার কারণে তাদের জীবনে এখন আর কোনও প্রতিকূলতা আসবে না! এখন পড়াশোনার মান আর ডিগ্রি অর্জন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নেই। কারণ, পড়াশোনাকে দক্ষতা উন্নয়নের সঙ্গেও যুক্ত করা হচ্ছে। দেশ তার পারম্পরিক পেশার দক্ষতাগুলিকেও এখন নানা আধুনিক সম্ভাবনার সঙ্গে যুক্ত করছে। বন্ধুগণ, দক্ষতার গুরুত্ব কী, কারা এই গুরুত্বকে আরও বেশি করে বুঝতে পারেন? এক সময় আপনাদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ সৌরাষ্ট্রে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে, নিজেদের চাষের খেত ছেড়ে, বন্ধুবান্ধব ছেড়ে হীরের খনিতে গিয়ে কাজ করতেন, কিংবা হীরে ঘষার কাজ করার জন্য সুরাটে পৌঁছেছিলেন। একটি ছোট ঘরে ৮-১০জন করে অনেক কষ্টে থাকতেন। কিন্তু আপনাদের দক্ষতাই আজ আপনাদের এত উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে, আর পাণ্ডুরংগ শাস্ত্রীজি, সেজন্যই তো আপনাকে ‘রত্ন কলাকার’ বলা হয়েছে। আমাদের কানজি ভাই নিজেই এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি নিজের বয়সের চিন্তা না করে পড়াশোনা চালিয়ে যান, নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে থাকেন, আর হয়তো আজও দেখা হলেই জিজ্ঞাসা করবেন – “ভাই পড়াশোনা করছেন? নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করছেন।” এই বিদ্যোৎসাহ অনেক বড় কথা। বন্ধুগণ, দক্ষতা এবং বাস্ত ব্যবস্থা – এই দুটিকে মিলিয়ে আজ নতুন ভারতের ভিত্তি স্থাপন করা হচ্ছে। ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’র সাফল্য আমাদের সামনে রয়েছে। আজ ভারতের স্টার্ট-আপগুলি সারা বিশ্বে নিজেদের পরিচিতি স্থাপন করছে। আমাদের ইউনিকর্নগুলির সংখ্যা রেকর্ড স্থাপন করেছে। করোনার কঠিন সময় পেরিয়ে এসে আমাদের অর্থনীতি এত দ্রুত পুনরুদ্ধার হয়েছে যে সারা পৃথিবীতে ভারতকে নিয়ে আশার সঞ্চার হয়েছে। সম্প্রতি একটি বিশ্ব সংস্থা বলেছে যে ভারত আবার বিশ্বের সর্বাপেক্ষা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠতে চলেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশ গঠনের ক্ষেত্রে গুজরাট নিজেদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে বরাবরের মতোই সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান দখল করে থাকবে, সবচাইতে ভালো কাজ করবে। এখন তো ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেলজি এবং তাঁর গোটা টিম একটি নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে গুজরাটের উন্নয়নের এই অভিযানে সামিল হয়েছেন। বন্ধুগণ, এমনিতে ভূপেন্দ্র ভাইজির নেতৃত্বে নতুন সরকার গড়ে ওঠার পর আজ প্রথমবার আমি এত বিস্তারিতভাবে গুজরাটের জনগণকে সম্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি। একজন বন্ধু কর্মকর্তা হিসেবে ভূপেন্দ্রভাই-এর সঙ্গে আমার পরিচয় ২৫ বছরেরও বেশি হয়ে গেছে। এটা আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে ভূপেন্দ্রভাই এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানেন এবং মাটি সম্পর্কেও ততটাই জানেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর এই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা গুজরাটের উন্নয়নে অনেক কাজে আসবে। কখনও একটি ছোট্ট পুরসভার সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে তারপর নগরপালিকার অধ্যক্ষ, তারপর আমেদাবাদ মহানগরের কর্পোরেটর, তারপর আমেদাবাদ মহানগর পৌরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। তারপর ঔদা-র মতো প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রূপে প্রায় ২৫ বছর ধরে অখণ্ডরূপে তিনি তৃণমূলস্তরে প্রশাসনকে দেখেছেন, কাজ করেছেন, বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমি আনন্দিত যে আজ এরকম একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি এ রাজ্যের উন্নয়ন যাত্রাকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুজরাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বন্ধুগণ, আজ প্রত্যেক গুজরাটি এ বিষয়টি নিয়ে গর্ব অনুভব করেন যে এত দীর্ঘ সময় ধরে সার্বজনিক জীবনযাপন সত্ত্বেও, এত বড় বড় পদে কাজ করা সত্ত্বেও, ২৫ বছর ধরে এ ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ভূপেন্দ্রভাই-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে কোনও অভিযোগ কিম্বা বিবাদ নেই। ভূপেন্দ্রভাই অনেক কম কথার মানুষ, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি রাখেন না। একজন নীরব কর্মীর মতো কাজ করে যাওয়া তাঁর কর্মপদ্ধতির অংশ। অনেক কম মানুষই জানেন যে ভূপেন্দ্রভাই-এর পরিবার সর্বদাই আধ্যাত্মবাদের প্রতি সমর্পিত। তাঁর বাবাও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এমন উত্তম শিষ্টাচার-সম্পন্ন ভূপেন্দ্রভাই-এর নেতৃত্বে গুজরাট সমস্ত ক্ষেত্রে উন্নতি করবে। বন্ধুগণ, আমার একটি অনুরোধ রয়েছে। যাঁরা আজ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছেন তাঁদের প্রতি অনুরোধ। আসুন, এই অমৃত মহোৎসবে আমরা সবাই কিছু সঙ্কল্প নিই, দেশকে কিছু দেওয়ার অভিযান শুরু করি। এই মিশন এমন হবে, যার প্রভাব গুজরাটের কোণায় কোণায় পরিলক্ষিত হওয়া উচিৎ। যত সামর্থ্য আপনাদের মধ্যে রয়েছে, আমি জানি আপনারা সবাই মিলে এটা অবশ্যই করতে পারবেন। আমাদের নতুন প্রজন্ম দেশের জন্য, সমাজের জন্য বাঁচার শিক্ষা যেন পায়, সেই প্রেরণাও আপনাদের বিভিন্ন উদ্যোগের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠা উচিৎ। তবেই সেবার মাধ্যমে সিদ্ধির মন্ত্র নিয়ে চলতে থাকা আমাদের গুজরাটকে, আমাদের দেশকে নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিতে পারবেন। দীর্ঘ ব্যবধানের পর আপনাদের মাঝে আসার সৌভাগ্য হয়েছে। এখানে আমি প্রযুক্তির মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি আপনাদের সবাইকে দেখতে পাচ্ছি। সমস্ত পুরনো চেহারা আমার সামনে রয়েছে। আপনাদের সবাইকে শুভকামনা জানাই। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। CG/SB/DM/ (
pib-1204
26aaa699cf43c37531467e396b173c244ba68a8ccf1151c413a64bb66d32466c_1
ben
কর্পোরেটবিষয়সংক্রান্তমন্ত্রক জাল সংস্থাগুলি নিয়ন্ত্রণে গৃহীত ব্যবস্থা নয়াদিল্লি, ০৯ মার্চ ২০২১ ২০১৩’র কোম্পানি আইনে ‘জালিয়াতি সংস্থা’র কথা উল্লেখ নেই। অবশ্য, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজ বিধি অনুযায়ী আইন মোতাবেক নতুন সংস্থাগুলির রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর। তিনি আরও জানান, নতুন সংস্থাগুলির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সরল করতে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। একটি সংস্থার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় সময় ও অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়াও, মন্ত্রক এমসিএ ২১ নামে একটি আদ্যপান্ত ই-প্রশাসনিক কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। এর ফলে, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় সরকারি কাজকর্মে আরও স্বচ্ছতা এসেছে, কাজকর্মে গতি বেড়েছে এবং কর্মদক্ষতা আরও নিপুণ হয়েছে। এ সম্পর্কে মন্ত্রী আরও জানান, মন্ত্রক গত ৫ বছরে কর্পোরেট ক্ষেত্রে জালিয়াতি সম্পর্কে সচেতন রয়েছে। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, গুরুতর জালিয়াতি তদন্ত কার্যালয় ও আঞ্চলিক নির্দেশকরা জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এক পরিসংখ্যান দিয়ে শ্রী ঠাকুর জানান, ২০১৯-২০’তে গুরুতর জালিয়াতি তদন্ত কার্যালয়কে ৩২৬টি সংস্থার বিরুদ্ধে এবং আঞ্চলিক নির্দেশকদের ১০০টি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
pib-1205
668c3d5c133bcc016eb46581adb105574bde799813e2eadec986e65f5ba60033
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক আরও বেশি হারে সংক্রমিত সুস্হ হয়ে ওঠায় দেশে ৩০ লক্ষের বেশি কোভিড মুক্ত হয়েছে চিকিৎসাধীন সংক্রমিতদের মধ্যে ০.৫ শতাংশের কম ভেন্টিলেটরে, ২ শতাংশ আইসিইউ-তে এবং ৩.৫ শতাংশের কম কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন নিচ্ছেন নয়াদিল্লী, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ কেন্দ্রের টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট কৌশল অবলম্বন করার ফলে দেশে কোভিড সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার ক্রমশ কমছে। সংক্রমিতরা বেশি সংখ্যায় আরোগ্য লাভ করছেন, যার অন্যতম কারণ তাদের জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশে সংক্রমিতদের মৃত্যুর হার আন্তর্জাতিক হিসেবে কম। বর্তমানে এই হার ১.৭৪ শতাংশ। চিকিৎসাধীন সংক্রমিতদের মধ্যে ০.৫ শতাংশেরও কম ভেন্টিলেটরে রয়েছেন। মোট চিকিৎসাধীন সংক্রমিতদের ২ শতাংশ আইসিইউ-তে আছেন। ৩.৫ শতাংশের কম চিকিৎসাধীন ব্যক্তিকে কৃত্রিম ভাবে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। আজকের হিসেবে দেশে মোট ৩০ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৫১ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরোগ্য লাভ করেছেন ৬৬ হাজার ৬৫৯ জন। পর পর ৮ দিন ধরে দৈনিক ৭ হাজারের বেশি সংক্রমিত কোভিড মুক্ত হচ্ছেন। সুস্থতার হার ৭৭.১৫ শতাংশ। সংক্রমিতরা বেশি সংখ্যায় সুস্হ হয়ে ওঠার ফলে চিকিৎসাধীন সংক্রমিতদের থেকে ২২ লক্ষের বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ১২৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন- মোট সংক্রমিতের মধ্যে ২১.১১ শতাংশ চিকিৎসাধীন। কোভিড-১৯ এর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের জন্য এবং এই মহামারী প্রতিরোধের বিষয়ে যে সব নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তা জানতে https://www.mohfw.gov.in/ লিঙ্কটি ক্লিক করুন অথবা ট্যুইটার হ্যান্ডেল @MoHFW_INDIA-এর সাহায্য নিতে পারেন। কোভিড-১৯ এর বিষয়ে কোন জিজ্ঞাস্য থাকলে technicalquery.covid19[at]gov[dot]in অথবা ncov2019[at]gov[dot]in - এই দুটি ই-মেলে যোগাযোগ করা যাবে। ট্যুইটার হ্যান্ডেল @CovidIndiaSeva-তেও প্রশ্ন করা যাবে। এছাড়াও +৯১-১১-২৩৯৭-৮০৪৬ অথবা নিঃশুল্ক নম্বর ১০৭৫ এ ফোন করা যাবে। বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোভিড–১৯ সংক্রান্ত হেল্প লাইন নম্বরগুলির তালিকা পেতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন - https://www.mohfw.gov.in/pdf/coronvavirushelplinenumber.pdf CG/CB/NS (Visitor Counter : 141
pib-1207
fa0040b2cfca64de2a83984065df1bcadffef05088d8d96d0c922b5a12a55340_1
ben
শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক বণিকসভা ফিকির বার্ষিক সম্মেলন এবং ৯৩তম বার্ষিক সাধারণ বৈঠকে ভাষণ দিলেন শ্রী পীযূষ গোয়েল নয়াদিল্লি, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল আজ বণিকসভা ফিকির বার্ষিক সম্মেলন এবং ৯৩তম আর্থিক সাধারণ বৈঠকে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে প্রকৃতপক্ষে প্রতিযোগিতামুখী করে তুলতে গুণমান ও উৎপাদনশীলতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উৎপাদনের পরিমাণও বাড়াতে হবে। এর ফলে, আত্মনির্ভার ভারত গঠনের পথ আরও প্রশস্ত হবে, যা নতুন ভারত গঠনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠবে। আত্মনির্ভর ভারত হ’ল – গুণমান ও উৎপাদন বৃদ্ধির দিক থেকে ভারতের ধারাবাহিক অগ্রগতির পরিচয়। শ্রী গোয়েল আরও বলেন, সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে, যেগুলিতে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও সমকক্ষ ওঠার সুবিধা রয়েছে। ভারতকে বিশ্বের অগ্রণী দেশে পরিণত করতে এবং বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বেশি অংশীদারিত্ব বাড়াতে সংশ্লিষ্ট সকলকে বড় ভূমিকা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, টায়ার ও রাবার শিল্প আগামী বছরগুলিতে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মন্তব্য করে শ্রী গোয়েল বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে রাবার গাছ রোপণ ও প্রতিপালনে উৎসাহিত করতে হবে। অন্যদিকে, সরকার টায়ার শিল্প ক্ষেত্রকে প্রয়োজনীয় সহায়তা যোগাবে। এই দুই উদ্যোগের ফলে রাবার ও টায়ার শিল্প উভয়ই আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। তিনি বলেন, সরকার আরও ২৪টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে। এই ক্ষেত্রগুলির জন্য আরও অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলতে অগ্রণী শিল্পপতিরা একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। এই বিরাট কর্মযজ্ঞ কার্যকর হলে ভারতে আগামী ১০ বছরে প্রায় ২০০ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন হবে। একইভাবে, লক্ষ লক্ষ কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদন ও গুণমান বাড়বে। স্টার্ট আপগুলিকে নতুন ভারতের মেরুদন্ড হিসাবে বর্ণনা করে শ্রী গোয়েল বলেন, স্টার্ট আপ এবং স্টার্ট আপ উপযোগী অনুকূল বাতাবরণ উদ্ভাবনের প্রসারে উৎসাহিত করছে তথা নবীন প্রজন্মের মধ্যে শিল্পোদ্যোগী মনোভাবকে আরও সুদৃঢ় করছে। তিনি ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন দিক থেকে স্টার্ট আপগুলিকে সহায়তার আহ্বান জানান। শিল্প বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিভিন্ন মান্যতা বোঝার হ্রাস প্রসঙ্গে শ্রী গোয়েল বলেন, মান্যতাগুলি অনুসরণ করা এবং সহজেই অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি একক জানালা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। বিভিন্ন মান্যতা সহজেই অনুসরণ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রক একযোগে কাজ করছে, যাতে আইনগত মান্যতাগুলির বোঝা কমানো যায়। তিনি বণিকসভা ফিকিকে ব্র্যান্ড ইন্ডিয়ার প্রসারে আরও উদ্যোগী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান।
pib-1211
400d8f00651db84a0e55f1e60287c4e070ae67cc9d1a05acc0349ce834735162
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমণ থেকে নৌ-জাহাজগুলিকে রক্ষা করতে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার তৈরি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা নয়াদিল্লী, ৫ এপ্রিল, ২০২১ প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ক্ষেপনাস্ত্র আক্রমণ থেকে নৌ-জাহাজগুলিকে রক্ষা করতে একটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা তৈরি করেছে। যোধপুরে ডিআরডিও-র প্রতিরক্ষা গবেষণাগারে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবস্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। স্বল্প পাল্লার, মাঝারি পাল্লার এবং দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা থেকে ভারতীয় নৌ-জাহাজগুলিকে রক্ষা করতে এই প্রযুক্তি তৈরি করা হয়েছে। এই উন্নত প্রযুক্তি একটি আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ক্ষেত্রে আরও একটি দৃঢ় পদক্ষেপ। ভারতীয় নৌবাহিনী সম্প্রতি আরব সাগরে এই তিনটি ক্ষেপনাস্ত্র ক্ষেত্রের ওপরই পরীক্ষা চালিয়েছে এবং পরীক্ষার ফল যথেষ্টই সন্তোষজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই উন্নত প্রযুক্তি শত্রুপক্ষের ছোঁড়া ক্ষেপনাস্ত্র সম্পর্কে আগাম সতকর্তা প্রদান করে এবং ক্ষেপনাস্ত্রের হামলা থেকে জাহাজগুলিকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে যেকোন ধরণের সমস্যা মোকাবিলায় ডিআরডিও-র এই উন্নত প্রযুক্তি বিশেষ কাজে লাগবে। বৃহত্তর আকারে এই উন্নত প্রযুক্তি তৈরির জন্য শিল্প-সংস্থাগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই অনন্য নজির সৃষ্টির জন্য ডিআরডিও, ভারতীয় নৌবাহিনী এবং শিল্প সংস্থাগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং। একইসঙ্গে ডিআরডিও-র সভাপতি ডঃ জি সতীশ রেড্ডি ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজগুলির সুরক্ষার স্বার্থে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি তৈরির জন্য দলগত প্রয়াসের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। উপনৌসেনা প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জি অশোক কুমার স্বল্প সময়ের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযুক্তি তৈরির জন্য ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ব্যাক্ত করেছেন। CG/SS/NS (Visitor Counter : 184
pib-1213
fd89ceb5efe282e1a3c14237ebac2917e8db4cd080a469c4f1710442643e6767
ben
যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী জাতীয় যুব সংসদ উৎসব ২০১৯ সংক্রান্ত পুরস্কার প্রদান করলেন আজ নয়াদিল্লি, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় যুব সংসদ উৎসব-২০১৯-এর পুরস্কার প্রদান করেন। গতকাল জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় স্তরের বিজয়ীদের মধ্যে মহারাষ্ট্রের শ্বেতা উমরে প্রথম স্হান, কর্ণাটকের অঞ্জনাক্ষী এম এস দ্বিতীয় এবং বিহারের মমতা কুমারী যথাক্রমে তৃতীয় স্হান অধিকার করেন। প্রধানমন্ত্রী এছাড়া, ‘খেলো ইন্ডিয়া’ অ্যাপটিরও আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন আজ। এই অ্যাপটি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অন্তর্গত স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। দেশের ক্রীড়া সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির উপায়, ক্রীড়ার নিয়ম-নীতি এবং যে কোনো ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতা পরিমাপ করার জন্য এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। অনুষ্ঠানে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রাজ্যবর্ধন রাঠোর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এই যুব সংসদ আয়োজিত হয়। তরুণ-তরুণীদের মতামত দেওয়ার একটি বলিষ্ঠ মঞ্চ এই সংসদ। তিনি আরও বলেন, দেশে খেলাধুলা সম্প্রসারণের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছেন। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের অর্ন্তগত ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম এবং নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন যৌথভাবে জাতীয় যুব সংসদ উৎসব ২০১৯-এর আয়োজন করে। ১৮-২৫ বছরের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের জেলা, রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের যুব সংসদে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। ডিজিটাল এবং ওয়াক-ইন বাছাই পদ্ধতির মাধ্যমে জেলা স্তরের যুব সংসদে যোগ দেওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করা হয় দেশের ৪৭১টি নির্দিষ্ট জেলার মুখ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে। জানুয়ারি মাসের ২৪-২৮ তারিখের মধ্যে এই বাছাই পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক জেলা যুব সংসদ থেকে বাছাই করা তিন জন সেরা বক্তাকে নির্বাচিত করা হয় রাজ্য যুব সংসদে অংশ নেওয়ার জন্য। প্রত্যেক রাজ্য যুব সংসদ থেকে নির্বাচিত সেরা ২ বক্তাকে বেছে নেওয়া হয় জাতীয় যুব সংসদে অংশগ্রহণ করার জন্য। এভাবে ৫-৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ২৮টি রাজ্য যুব সংসদ অনুষ্ঠিত হয়, যাতে জাতীয় যুব সংসদে অংশ নেওয়ার জন্য ৫৬ জন তরুণ-তরুণীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। যুব সংসদের প্রত্যেকটি স্তরেই ৫০ হাজারেরও বেশি যুবক-যুবতী অংশ নেয়। CG/SSS/NS (Visitor Counter : 129
pib-1220
ca6f2737b1fd96b79b13f058d120e4e64476dee6753722b07bd98f17427469b7_2
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজ্যসভায় স্বতঃপ্রণোদিত বিবৃতি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন নয়াদিল্লি, ০৫ মার্চ, ২০২০ রাজ্যসভায় আজ স্বতঃপ্রণোদিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন জানালেন ২০১৯ – এর ৩১শে ডিসেম্বর চীনের নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চীনের সব প্রদেশ ও ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণের অনেকগুলি ঘটনা সামনে এসেছে। ৪ মার্চ পর্যন্ত চীনে সংক্রমণের সংখ্যা ৮০ হাজার ২৭০। মৃত্যু হয়েছে ২৯৮১ জনের। যদিও চীনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা হ্রাসমান, তথাপি, হুবেই প্রদেশ ও উহান শহরে এখনও সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে। চীনের বাইরে হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ান সহ ৭৮টি দেশে ১২ হাজার ৮৫৭টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা ২২০। ৩০টি দেশে স্থানীয়ভাবেই রোগ ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রমণকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে এর ঝুঁকির মাত্রা সর্বোচ্চ ঘোষণা করেছে। যদিও ‘হু’ কোভিড ১৯-কে মহামারী বলে ঘোষণা করেনি কিন্তু সব দেশকেই সতর্ক থাকতে বলেছে। তবে ‘হু’ – এর পরামর্শ দেওয়ার আগেই ১৭ জানুয়ারি থেকে ভারত প্রয়োজনীয়তা সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং সেইমতো কাজ করছে। এদেশে ৪ মার্চ পর্যন্ত ২৯টি সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে কেরলে আগেই তিনটি সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ওই তিনজনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত তিন দিনে দেশে আগত যাত্রীদের মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন দিল্লির, যিনি ইতালিতে গিয়েছিলেন, একজন তেলেঙ্গানার, যিনি দুবাইতে গিয়েছিলেন এবং সিঙ্গাপুর থেকে আগত এক ব্যক্তি সংস্পর্শে আসেন। ওই দু’জনেরই অবস্থা স্থিতিশীল। উত্তর প্রদেশের আগ্রায় ৬ জনের মধ্যে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থানে একজন ইতালীয় পর্যটক ও তাঁর স্ত্রীর শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই দলে অন্য ১৪ জন পর্যটক এবং তাঁদের ভারতীয় বাস চালক দিল্লিতে ফেরার পর দেখা যায় তাঁদের ক্ষেত্রেও সংক্রমণ ঘটেছে। বর্তমানে তাঁদের সকলেরই অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল দিল্লিতে একজনের মধ্যে সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে, যিনি সম্প্রতি ইতালিতে গিয়েছিলেন। তাঁর অবস্থাও স্থিতিশীল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে প্রস্তুতি ও মোকাবিলায় বিষয়টি নিয়মিত খতিয়ে দেখছেন। ভারত সরকার এই রোগ প্রতিরোধে এবং এই রোগ যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে। আমিও পরিস্থিতির প্রতিদিন পর্যালোচনা করছি। আমার পৌরোহিত্যে বিদেশ মন্ত্রী, অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, জাহাজ প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য। ২০২০’র ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠনের পর চারবার বৈঠক হয়েছে। ক্যাবিনেট সচিব নিয়মিত সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রকের সঙ্গে মিলে পর্যালোচনা করছেন। আমার নিজের মন্ত্রকও পরিস্থিতির দিকে নিয়মিত নজর রাখছে। একদিন অন্তর রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করা হচ্ছে। নোভেল করোনা ভাইরাস ভারতে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করতে ভারত সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথম ভ্রমণ নির্দেশিকাটি প্রচারিত হয় ১৭ জানুয়ারি। পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিয়মিত এটি পাল্টানো হচ্ছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পৌঁছনো মাত্রই ভিসা এবং ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের নাগরিকদের জন্য সবরকমের ভিসা অবিলম্বে বাতিল করা হয়েছে। আগেই চীন প্রজাতন্ত্রের নাগরিকদের ভিসা ও ই-ভিসা বাতিল করা হয়েছিল, যা এখনও বলবৎ আছে। যে সমস্ত বিদেশি নাগরিক চীন, ইরান, ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে পয়লা ফেব্রুয়ারি ও তারপর ভ্রমণ করেছেন, তাঁদেরও ভিসা ও ই-ভিসা বাতিল করা হয়েছে। শুধুমাত্র ওইসব দেশের কূটনীতিক, রাষ্ট্রসঙ্ঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার আধিকারিক ওসিআই কার্ড যাঁদের আছে এবং বিমান কর্মীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে, ভারতে প্রবেশের সময় তাঁদের স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক। আন্তর্জাতিক উড়ানে যেসব যাত্রী ভারতে আসবেন, তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ও ভ্রমণের ইতিহাস দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিকদের চীন, ইরান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ইতালি ও জাপান ভ্রমণে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোভিড ১৯ – এ আক্রান্ত অন্য দেশগুলিতে খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি থেকে যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ এবং কোচিতে এই ব্যবস্থা করা হয়। পরে, সব মিলিয়ে ২১টি বিমানবন্দরে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমেই চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ইরান, ইতালী, হংকং, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুর থেকে সরাসরি আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং – এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গতকাল থেকে আন্তর্জাতিক সব উড়ানের সব যাত্রীকেই স্ক্রিনিং- এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৪ মার্চ পর্যন্ত ৬ হাজার ২৪১টি উড়ানের ৬ লক্ষ ১১ হাজার ১৬৭ জন যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে। এর জন্য সবকটি বিমানবন্দরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও, ১২টি বড় সমুদ্র বন্দর এবং ৬৫টি ছোট বন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রী এবং জাহাজ কর্মীদের চিহ্নিত করে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪ মার্চ পর্যন্ত সবকটি বন্দরে ১৬ হাজার ৭৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, বিহার এবং সীমাসশস্ত্র বল ও ভূমি বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সীমান্তবর্তী এলাকার চেকপোস্টগুলিতে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করার জন্য গ্রামসভার আয়োজন করা হয়েছে। ৮টি কেন্দ্রীয় দল সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছে। ৩ হাজার ৮২৩টি গ্রামসভার আয়োজন করা হয়েছে। সীমান্ত চেক পোস্টে ১১ লক্ষ ২০ হাজার ৫২৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি ও পয়লা ফেব্রুয়ারি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দিল্লি ও উহানের মধ্যে চলাচল করে। ফিরিয়ে আনে ৬৫৪ জন যাত্রীকে, যার মধ্যে ৬৪৭ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৭ জন মালদ্বীপের। মানেসরের সেনা কোয়ারানটাইন সেন্টার এবং চাওলার আইটিবিপি শিবিরে উদ্ধার করা যাত্রীদের রাখা হয়। ১৪ দিন পর তাঁদের সকলকেই পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের শরীরে সংক্রমণ না মেলায় ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া, ভারতীয় বিমান বাহিনী গত ২৬ ফেব্রুয়ারি উহান থেকে ১১২ জনকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে ৭৬ জন ভারতীয়, বাকিরা মায়ানমার, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মাদাগাস্কারের নাগরিক। চীনের অন্যান্য অঞ্চলে ভারতীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য ভারতীয় দূতাবাস এবং বাণিজ্য দূতাবাসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া আরও একবার সফলভাবে উদ্ধারকার্য চালায়। ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে জাপানে ইয়োকোহামা বন্দরে কোভিড ১৯ আক্রান্ত ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ থেকে ৫ জন বিদেশি নাগরিক এবং ১১৯ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। তাঁরা বর্তমানে ১৪ দিনের জন্য মানেসরে সেনাশিবিরে আছেন। গোটা দেশেই নজর রাখা হচ্ছে কোভিড ১৯ আক্রান্ত দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের ওপর। ৪ মার্চ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫২৯ জনকে সামাজিক নজরদারিতে রেখে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রতিদিন তাঁদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। গোটা দেশেই হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি, রাজ্যগুলিও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম এবং এন-৯৫ মাস্ক যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রেখেছে। পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ভিরোলজি কোভিড ১৯ – এর সংক্রমণের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল কেন্দ্র। এছাড়াও, ১৫টি গবেষণাগারে আধুনিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও ১৯টি গবেষণাগারকে প্রস্তুত করা হয়েছে নমুনা পরীক্ষার জন্য। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। একটি ২৪X৭ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, যার ফোন নম্বর 011 2397 8046। এ পর্যন্ত ৯ হাজার ২০০-রও বেশি কল এসেছে, যার মধ্যে ৬৬৭টি আন্তর্জাতিক কল। ভারত সরকার নিয়মিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। উদ্বেগের বিষয় ইরানের তেহরান ও কোয়ামে আটকে থাকা ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য। তাঁদের চিকিৎসা ও ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ইরান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারত সরকার যোগাযোগ রেখে চলেছে। স্থানীয়ভাবেও যাতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে করণীয় কার্যপরিকল্পনা জানানো হয়েছে। ৬ মার্চ সব রাজ্য ও হাসপাতালগুলির জন্য একটি জাতীয় স্তরে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এটি পরে প্রসারিত হবে জেলাস্তরে। মন্ত্রকের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে। তাঁরাই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। জেলাশাসকরা নোডাল অফিসার হিসাবে স্থানীয় স্তরে কাজ করবেন। SDG/AP/SB (Visitor Counter : 138
pib-1222
c7146e072fe1bdd7a89817d03de5b357fa9c4610c1e61e626a16d9478643f206_1
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে ভারত স্বনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে কলকাতা , ১৪ এপ্রিল ,২০১৯ যে কোন দেশের সামরিক ক্ষমতার মাপকাঠির একটি নিদর্শন হল প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে স্বনির্ভর হওয়া । সরকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের যে নীতি অনুসরণ করছে, তার অন্যতম লক্ষ হল সামরিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সহ নানা সরঞ্জাম তৈরির জন্য দেশেই সেগুলির নকশা বানিয়ে, উন্নয়ন ঘটিয়ে, উৎপাদন করা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন বিভাগের সচিব, ডঃ অজয় কুমার কলকাতায় গতকাল জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশ গ্রহণকে উৎসাহিত করা এবং দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যগকে শামিল করা সরকারের অন্যতম লক্ষ । কলকাতায় ভারত চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত “ ডিফেন্স প্রোডাকশন পলিসিঃ টুওয়ার্ডস সেলফ রিলায়েন্স” শীর্ষক আলোচনায় ডঃ কুমার এই প্রসঙ্গে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা জানান। তিনি বলেন সরকারী-বেসরকারী যৌথ অংশীদারিত্বে মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীর আওতায় দেশীয় প্রযুক্তিতে নকশা তৈরি করে, তার থেকে নির্মাণের জন্য উৎসাহ দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া, এর জন্য প্রয়োজনীয় বিধি নিষেধ শিথিল করা, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সংস্থাগুলির শেয়ারের অনুপাত বৃদ্ধি করা, রপ্তানী পদ্ধতির সরলীকরণ । সরকার স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী “কৌশলগত অংশীদারিত্বে” যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। পরবর্তীকালে দেশে এই ধরণের জিনিষ উৎপাদন করে তা সরবরাহ করার লক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির থেকে প্রযুক্তি আমদানি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য ওই নীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। শ্রী কুমার জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে আরো সক্রিয় করার লক্ষে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড এবং এই রাষ্ট্রয়ত্ত্ব সংস্থাগুলিকে তাদের কাজের বেশ কিছু অংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিলপ সংস্থাগুলিকে আউটসোর্স করতে বলা হয়েছে। এর ফলে দেশেই সামরিক সরঞ্জাম তৈরির একটি বাতাবরণ তৈরি হবে। যার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই ক্ষেত্রে স্থিতিশীল উন্নয়ন আনা সম্ভব হবে। শ্রী অজয় কুমার আশা করেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে পূর্ব ভারতেও নানা উদ্যোগ দেখা দেবে এবং ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলি এখানে সক্রিয় অংশ নেবে। যে সব অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারী শিল্পোদ্যগীরা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণের এই ক্ষেত্রে উৎসাহী হবেন তাঁদের সহযোগিতার জন্য ডঃ কুমার ভারত চেম্বার ডিফেন্স সেক্টর ফেসিলিটেশন সেন্টারেরও সুচনা করেন। অনুষ্ঠানে বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল অরূপ রাহা, অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যান্যান্ট জেনারেল অনিরূদ্ধ চক্রবর্তী, টীটাগড় ওয়াগন লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান শ্রী জে পি চৌধুরী, ভারত চেম্বার ডিফেন্স সেক্টর ফেসিলিটেশন সেন্টারের উপদেষ্টা ডঃ রাজীব চক্রবর্তী, বিসিসির সভাপতি শ্রী সীতারাম শর্মা অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। CG/CB (Visitor Counter : 247
pib-1223
a8d2524ba2ce7e51ca6773b8ed2134760ff94f9877b0cbe914b840568015a11a
ben
শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক ২০১০-এর আর্থিক বছরের তুলনায় কৃষি বাজেটে বরাদ্দ ১১ গুণ বৃদ্ধি করে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা করা হয়েছে, নতুন কৃষি সংস্কার বহু ক্ষেত্রে সুবিধে এনে দেবে : শ্রী গঙ্গোয়ার নতুন দিল্লি, ০৩ অক্টোবর, ২০২০ কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রী শ্রী সন্তোষ কুমার গঙ্গোয়ার আজ জানিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন এবং শ্রম সংস্কার আইন কৃষক ও শ্রমিকদের বহুক্ষেত্রে সুবিধে এনে দেবে। এনডিএ সরকারের কৃষক বান্ধব নীতি সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ইউপিএ শাসনকালে ২০০৯-১০-এ কৃষি বাজেটে ১২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তার থেকে এখন ১১ গুণ বৃদ্ধি করে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের কৃষকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পিএইচডি চেম্বার অফ্ কমার্স আয়োজিত একটি জাতীয় সম্মেলনের ভাষণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী গঙ্গোয়ার বলেন, নতুন কৃষি আইনে দেশের যে কোনো জায়গায় কৃষকরা স্বাধীনভাবে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। তিনি বলেন, কৃষকরা এখন তাদের রাজ্য ছাড়াও অন্য রাজ্যে বেশি দামে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাতিল প্রসঙ্গে বলেন, ইউপিএ সরকারের আমলের তুলনায় এখন কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রী গঙ্গোয়ার পিএইচডি চেম্বার্স অফ কমার্সের সভায় এবং পরে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের জাতীয় সম্মেলনে কর্মীদের উদ্দেশে সম্প্রতি গেম চেঞ্চার মূলক শ্রম বিধির সুবিধাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, এই সংস্কারসাধন আগামীদিনে শ্রমিকদের আত্মনির্ভর করে তুলতে সাহায্য করবে। শ্রী গঙ্গোয়ার আরও জানান, রাষ্ট্রপতি তিনটি শ্রম বিধিতেই স্বাক্ষর প্রদান করেছেন। মন্ত্রী বলেন, শ্রম কল্যাণ ও লিঙ্গ সমতা বিষয়ে প্রচারের পাশাপাশি এই শ্রম বিধি সহজে ব্যবসার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। শিল্প সংস্থা এবং শ্রমিকরা একে অপরের পরিপূরক ও তাল মিলিয়ে একযোগে কাজ করবে বলেও তিনি জানান। মন্ত্রী বলেন, ভারতে ৫ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনে আর্থিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে সরকার প্রতিনিয়ত সহায়তা প্রদান করে চলেছে। এক্ষেত্রে দেশের শিল্পপতিদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি জানান, সংস্থাগুলির উদ্যোগ এবং কর্মসংস্থান সম্প্রসারণের ফলে কাজের জায়গার অবস্থানের উন্নতিসাধন হয়েছে। শ্রী গঙ্গোয়ার বলেন, ঠিকাদার সংস্থার আওতাভুক্ত চুক্তি ভিত্তিক কর্মী, প্ল্যাটফর্ম ও চা/কফি শ্রমিক সহ অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা বিধির আওতায় নিয়ে আসার মতো সুযোগ রয়েছে এই বিধিতে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা তহবিল, কর্মহীন শ্রমিকদের পুনর্দক্ষতা উন্নয়নমূলক তহবিল, পরিযায়ী শ্রমিকদের সজ্ঞার বিস্তৃতি এবং তাদের তথ্য সংগ্রহে আরও সুনির্দিষ্ট কল্যাণমূলক প্রকল্প প্রদান ইত্যাদি ক্ষেত্রে একাধিক সুবিধা রয়েছে এই বিধিতে। তিনি বলেন, এই সংস্কার এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে এবং ৭৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান আইনে সংস্কারসাধন সম্ভবপর হয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, সহজে ব্যবসায় সুনিশ্চিত করতে নতুন আইনে এক নথিভুক্তকরণ, এক লাইসেন্স, এক রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে। শ্রী গঙ্গোয়ার আরও জানান, এই বিধিগুলি চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিরোধিরা এই বিধিগুলিকে নিয়ে সংসদে আলোচনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিধিগুলি এযাবৎকাল পর্যন্ত শুধু ঐতিহাসিক সুবিধাই এনে দিয়েছে তাই নয়, একাধিক উন্নতিসাধনের সূচনাও করেছে। শ্রী গঙ্গোয়ার জানান, বর্তমান সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য পেনশন প্রকল্পের মতো “প্রধানমন্ত্রী শ্রমযোগী মনধন” প্রকল্পের সুবিধে চালু করেছে। মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ২৬ সপ্তাহ করা হয়েছে। ইপিএফ ও ইএসআইসি পরিষেবা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কয়লা খনিতে তাঁদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এই তিন বিধি ছাড়াও গত বছর মজুরি ক্ষেত্রে নতুন বিধি লাগু করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা বিধি, শিল্প সম্পর্কিত বিধি, পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কর্ম ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিধি সংসদে পাস হয়েছে ও সম্প্রতি তা আইনের রূপ দেওয়া হয়েছে। (CG/SS/SKD
pib-1228
0aeec0305d27db5e150ec25a94ca2b034c5b8ea6989bff851794f4385d8de716_2
ben
কর্পোরেটবিষয়সংক্রান্তমন্ত্রক আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনে লগ্নিকারীদের ক্ষমতায়ণ নিয়ে আইইপিএফএ এবং আইসিএসআই-এর পক্ষ থেকে সেমিনার নতুন দিল্লি, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপান উপলক্ষে ইনভেস্টর এডুকেশন অ্যান্ড প্রটেকশন ফান্ড অথরিটি এবং দ্য ইন্সটিটিউট অফ কোম্পানি সেক্রেটারিজ অফ ইন্ডিয়া -এর পক্ষ থেকে আজ লগ্নিকারীদের আরও বেশি ক্ষমতায়ণ শীর্ষক বিষয়ে জাতীয় স্তরের একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। এই সেমিনারে লগ্নিকারীদের সচেতন ও ক্ষমতায়ণে গত ৫ বছরে আইইপিএফএ-র বিভিন্ন প্রয়াসের কথা তুলে ধরা হয়। ই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাও ইন্দ্ররজিৎ সিং। আইইপিএফএ-র প্রয়াসের প্রশংসা করে শ্রী সিং বলেন, এই সংস্থাটি এখনও পর্যন্ত ৫৫ হাজারেরও বেশি কর্মসূচির আয়োজন করেছে, যেখানে লগ্নিকারীদের সচেতনতা ও ক্ষমতায়ণ বরাবর প্রাধান্য পেয়েছে। এমনকি এই সংস্থাটি দেশে গ্রাম ও শহরাঞ্চলে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে লগ্নিকারীদের গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কেও সংবেদনশীল করে তোলার কাজ করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীজনিত দেশব্যাপী লকডাউন ও বিধিনিষেধ সত্বেও আইইপিএফএ ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যম, বেতার ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে আর্থিক সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করেছে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রী রাজেশ ভার্মা বলেন, আইইপিএফএ ৫ বছরের যাত্রাপথে কেবল তার লভ্যাংশ এবং বাজারে অংশীদারিত্বের শেয়ার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়নি, সেই সঙ্গে একাধিক প্রযুক্তি নির্ভর এবং নাগরিক কেন্দ্রিক প্রয়াস গ্রহণের মাধ্যমে লগ্নিকারীদের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে সুবিধা প্রদান করেছে। এই উপলক্ষে আইইপিএফএ ই-নিউজ লেটারের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করা হয়। CG/BD/AS/ (Visitor Counter : 164
pib-1229
91bf41d2c8c9babba7a356d7ba6474e491fa1871e24bc29477ae35232c330ecb_2
ben
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ২৪০টি উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করলেন নয়াদিল্লি, ৫ অক্টোবর ২০২২ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার ২৪০টি উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করলেন। একইসঙ্গে তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় বেশ কয়েকশ’ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করেন এবং ওই এলাকায় একটি জনসভায় ভাষণ দেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, পীরপাঞ্জাল এবং চিনাব ও কাশ্মীর উপত্যকার এই অঞ্চল পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর এলাকা। জম্মু-কাশ্মীরে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যে উন্নয়ন নিয়ে এসেছেন তা এই এলাকার মানুষের হাসিমুখের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আগে এই অঞ্চলের তিনটি পরিবার সাধারণভাবে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করেছে, কিন্তু এই এলাকার উন্নয়নের জন্য তারা কিছুই করেনি। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু-কাশ্মীরের প্রতিটি গ্রামে গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বিপুল পরিশ্রম করেছেন। আগে যেখানে গণতন্ত্র ওই তিনটি পরিবার, ৮৭ জন বিধায়ক এবং ছয়জন সাংসদকে ঘিরেই সীমায়িত ছিল, ২০১৯-এর ৫ আগস্টের পর প্রধানমন্ত্রী সেই গণতন্ত্রকে পঞ্চ, সরপঞ্চ, বিডিসি এবং জেলা পঞ্চায়েত স্তরে নিয়ে গিয়ে ৩০ হাজার মানুষকে যুক্ত করেছেন। এর আগে দুর্নীতির কারণে গরীবের অর্থের অপব্যবহার হত। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গরীবের অর্থ গরীবের কাছে যাওয়া নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ওই তিন পরিবারের শাসনের সময়ে গত ৭০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে মাত্র ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর নেতৃত্বে মাত্র তিন বছরে ৫৬ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগে এই অঞ্চল সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য ছিল, কিন্তু এখন এটি পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। আগে প্রতি বছর কাশ্মীর উপত্যকায় খুব বেশি হলে ৬ লক্ষ পর্যটক আসতেন, সেখানে এ বছর এখনও পর্যন্ত এই অঞ্চলে এসেছেন ২২ লক্ষ পর্যটক। এর ফলে, হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করা হবে। শ্রী শাহ বলেন, আগে উপত্যকার যুবকদের হাতে পাথর এবং বন্দুক তুলে দেওয়া হত কিন্তু এখন শ্রী মোদী তুলে দিচ্ছেন ল্যাপটপ। এলাকায় শিল্প স্থাপন করে যুবাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন যে সন্ত্রাসবাদ কখনও বিশ্বের জন্য ভালো হতে পারে না। ১৯৯০ থেকে এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে ৪২ হাজার মানুষ সন্ত্রাসের বলি হয়েছেন। বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিনামূল্যে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এবং ৭৭ লক্ষ মানুষকে ‘হেলথ কার্ড’ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেতে পারেন। আগে এই এলাকার ১ লক্ষ মানুষের কোনো পাকা বাড়ি ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী ২০১৪-২০২২ সময়কালে এইসব মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন। ১২ লক্ষ পরিবারকে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। ‘জল জীবন মিশন’-এর অধীনে ৫৮ শতাংশ মানুষের বাড়িতে কলের জল পৌঁছেছে। ১১ লক্ষ ৮৭ হাজার কৃষকের অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ হাজার টাকা জমা পড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন যে তিনি গুজ্জর, বকরওয়াল এবং বারামুলার পাহাড়ি এলাকার মানুষ এবং কাশ্মীরের যুবাদের কাছে পৌঁছতে চান। কাশ্মীরের মানুষকে খোলা মনে বুঝতে হবে যে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ালে মানুষের ভালো হয় না। কাশ্মীরকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্কল্প যে কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায় যেন দেশের উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে, নিজেদের শিক্ষিত করে তুলে কর্মের উপযুক্ত করে তুলতে পারে এবং শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। শ্রী শাহ বলেন যে দুটি মডেল আছে। একটি হল, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন, শান্তি, সম্প্রীতি এবং কর্মসংস্থানের মডেল আর অন্য মডেলের ফলাফল হল পুলওয়ামা হামলা। শ্রী মোদী ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে পুলওয়ামায় হাসপাতাল তৈরি করেছেন। দ্বিতীয় মডেলে যেখানে যুবকদের জন্য রয়েছে পাথর, মেশিনগান, বন্ধ কলেজ, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর মডেলে আছে আইআইএম, আইআইটি। শ্রী অমিত শাহ বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তিনি জনতাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা তৈরি করলেই পুরোপুরি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাশ্মীরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এলাকায় শাসন করবেন। তিনি বলেন যে পূর্বে কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের ফলে তিনটি পরিবারের মানুষই সুবিধা পেত, কিন্তু এখন আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে মানুষের প্রতিনিধিরা জিতবেন এবং শাসন করবেন। তিনি উপস্থিত জনতাকে পরামর্শ দেন যে যদি তাঁদের গ্রামে কেউ জঙ্গিদের সমর্থন করেন, তাহলে তাঁকে বোঝাতে হবে এবং মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, তিনটি পরিবারের শাসনের সময়ে জম্মু-কাশ্মীরের বাজেট ছিল মাত্র ১৩২ কোটি টাকার, সেখানে ২০২২-২৩-এ প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে বাজেট বেড়ে হয়েছে ১,৫১৫ কোটি টাকা। আলাদাভাবে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ডিডিসি এবং পিডিসি-র জন্য। শ্রী শাহ বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচটি নতুন ডিগ্রি কলেজ খোলা হয়েছে। বারামুলায় গুজ্জর ও বকরওয়াল বালিকাদের জন্য ১০০ শয্যের আবাসিক স্কুল খোলার কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। বারামুলায় একটি সরকারি মেডিকেল কলেজও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে এলাকার শিশুরা চিকিৎসক হয়ে উঠতে পারেন এবং কাশ্মীরের মানুষের সেবা করতে পারেন। তিনি জানান, ১৯৪৭-২০১৪ পর্যন্ত মাত্র চারটি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হয়েছিল, কিন্তু ২০১৪-২০২২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার নয়টি মেডিকেল কলেজ এবং ১৫টি নার্সিং কলেজ তৈরি করেছে। পূর্বে জম্মু-কাশ্মীর থেকে মাত্র ৫০০ চিকিৎসক পাশ করে বেরোতেন, সেখানে এখন ১,৩০০ চিকিৎসক পাশ করে দেশ ও জম্মু-কাশ্মীরকে সেবা করবেন। শ্রী শাহ আরও জানান, কাশ্মীরে এইমস, এনআইআইটি, বিএসসি নার্সিং কলেজ এবং দুটি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটও স্থাপন করা হয়েছে। অনন্তনাগ এবং বারামুলায় নতুন মেডিকেল কলেজ খোলা হয়েছে ও জম্মু-কাশ্মীরে দুটি ক্লাস্টার ইউনিভার্সিটি স্থাপন করা হয়েছে। শ্রী অমিত শাহ বলেন, নাঙ্গাল থেকে বারামুলা এবং বারামুলা থেকে উরি এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করা হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য গুলমার্গ থেকে বারামুলা ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক তৈরি করা হয়েছে ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে। তিনি জানান, ৮৪৭ কোটি টাকার কর্মসূচির মাধ্যমে ১ লক্ষেরও বেশি পরিবারকে শিক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরের ৪০২টি পঞ্চায়েতে দুটি স্টেডিয়াম এবং প্রতিটি পঞ্চায়েতে একটি খেলার মাঠ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি ইন্ডোর স্টেডিয়ামও তৈরি করা হচ্ছে। এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে ১৩ লক্ষ পর্যটক গুলমার্গ ভ্রমণ করেছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সেচ প্রকল্প কাশ্মীর উপত্যকার উন্নতি করবে। রেল যোগাযোগের উন্নতি করতে উধমপুর থেকে বারামুলা রেললাইন পাতার কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ৩,১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৯টি নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শিল্প প্যাকেজে সারা দেশ থেকে কাশ্মীরের জন্য ৫৬ হাজার কোটি টাকার লগ্নি এসেছে। এতে ৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদের কারণে গুজ্জর-বকরওয়াল এবং পাহাড়ি এলাকার মানুষরা শিক্ষা, নির্বাচন এবং কাজের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা পেতেন না। কিন্তু এই অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ায় তাঁরা এই সমস্ত সুবিধা পাবেন। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিচারপতি শর্মা কমিশন তৈরি করেছিলেন এবং আরও একবার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীকে নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা চালিয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে এক করা যায়। জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর শ্রী মনোজ সিনহা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। PG/AP/DM/ (Visitor Counter : 134
pib-1230
23292906a08f6637ba793ca1ec0406056be1a36f29140970012e8b58031bc8c4
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য নতুনদিল্লী, ৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দেশ জুড়ে টিকাকরণ অভিযানে এ পর্যন্ত ১৬৯ কোটি ৪৬ লক্ষ টিকা দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে চিকিৎসাধীন সংক্রমিতের সংখ্যা বর্তমানে ১২ লক্ষ ২৫ হাজার ১১। করোনায় আক্রান্তের বর্তমান হার মোট আক্রান্তের ২.৯ শতাংশ। কোভিড মুক্তের হার বর্তমানে ৯৫.৯১ শতাংশ। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ১৩ হাজার ২৪৬ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ১৪৮। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ১ লক্ষ ৭ হাজার ৪৭৪ জন। দৈনিক সংক্রমণের হার ৭.৪২ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১০.২ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৪ কোটি ১ লক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। CG/CB /SB (Visitor Counter : 118
pib-1234
54d88cc5ea38ff958f723802cf68b3762cc5417aaa588c12b7a42c70d97bb8cd
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি ইন্ডিয়ান ন্যাভাল অ্যাকাডেমির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি আজ ইন্ডিয়ান ন্যাভাল অ্যাকাডেমির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। তিনি ভাইস অ্যাডমিরাল আর বি পণ্ডিতের স্থলাভিষিক্ত হলেন। শ্রী পণ্ডিত ১৫ মাস এই দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮-র ১৯শে ফেব্রুয়ারি ভাইস অ্যাডমিরাল আর বি পণ্ডিত ন্যাভাল অ্যাকাডেমির দায়িত্ব গ্রহণের পর এর পরিকাঠামো এবং প্রশিক্ষণ রীতির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠি খাড়াকভাসালার ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমি, ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ এবং রোড আইল্যান্ডের ইউএস ন্যাভাল ওয়ার কলেজের প্রাক্তনী। তিনি ন্যাভাল অপারেশন্স-এর ডিরেক্টর, নেটওয়ার্ক-সেন্ট্রিক অপারেশন এবং ন্যাভাল প্ল্যান্স-এর প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর, ন্যাভাল স্টাফ উপ-প্রধান, নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখার প্রধান, প্রোজেক্ট সিবার্ড-এর অতিরিক্ত মহানির্দেশকের দায়িত্ব সামলেছেন। CG/CB/DM/….12th June, 2019 (Visitor Counter : 82
pib-1235
f00ab095d863bf6ccdff88e87ed5a82dc0fb1b0797acba57901cee656b8b3958_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর মার্কিন রাষ্ট্রপতির জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ দূত মিঃ জন কেরির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ নতুন দিল্লি, ০৭ এপ্রিল, ২০২১ মার্কিন রাষ্ট্রপতির জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ দূত মিঃ জন কেরির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ সাক্ষাৎ করেছেন। মিঃ কেরি রাষ্ট্রপতি বাইডেনের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। কোয়াড নেতৃবৃন্দের শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বাইডেনের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতার কথা প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি বাইডেন ও উপ রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসকে তাঁর শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে মিষ্টার কেরিকে অনুরোধ করেছেন। মিঃ কেরি ভারতে তাঁর দু-দিনের সফরকে ফলপ্রসূ বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। এই সফরকালে বিভিন্ন আলোচনা যথেষ্ট লাভজনক হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। উচ্চাকাঙ্খী পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি পরিকল্পনা সহ ভারতের জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় অত্যন্ত ইতিবাচক বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। ২২-২৩ এপ্রিল নেতৃবৃন্দের জলবায়ু সংক্রান্ত শীর্ষ বৈঠকের বিষয়েও তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তির আওতায় ভারত তার অঙ্গীকার পূরণে কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবং বিশ্বে মাত্র কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারতই এইসব অঙ্গীকার পূরণ করতে পেরেছে। মিঃ কেরি বলেছেন, ভারতের জলবায়ু সংক্রান্ত পরিকল্পনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সব রকমের সহযোগিতা থাকবে। পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি যাতে আয়ত্বের মধ্যে পাওয়া যায় এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উদ্ভাবন ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা এবং পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তির দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে সহমত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে অন্য দেশগুলির কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাবে। (CG/CB/SKD
pib-1241
2ecbcf22c3e515b479558e294e99fa198fca32659ca24ec9923da90dc8459166
ben
PIB Headquarters কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য; করোনায় ভারতে মৃত্যু হার ধারাবাহিকভাবে কমছে এবং এই হার ২.২৮ শতাংশ; সুস্থতার সংখ্যা ৯ লক্ষের বেশি; পরপর চারদিন দৈনিক ৩০ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে আক্রান্তদের আগাম চিহ্নিতকরণ তথা আইসোলেশন কৌশল গ্রহণ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে দেশে করোনায় মৃত্যু হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। সংক্রমিত এলাকাগুলিতে বিশেষ কৌশল গ্রহণ, ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা এবং আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে মৃত্যু হার দৈনিক কমে আসছে। ভারতে মৃত্যু হার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২.২৮ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যু হার অনেক কম। দেশে পরপর চারদিন দৈনিক ভিত্তিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩১,৯৯১ জন। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে বর্তমানে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৬৭ হয়েছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৪ শতাংশ। মৃত্যু হার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় এবং অধিক সংখ্যায় সুস্থতার ফলে সুস্থতার সংখ্যা আক নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই, ২০২০ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য; করোনায় ভারতে মৃত্যু হার ধারাবাহিকভাবে কমছে এবং এই হার ২.২৮ শতাংশ; সুস্থতার সংখ্যা ৯ লক্ষের বেশি; পরপর চারদিন দৈনিক ৩০ হাজারের বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে আক্রান্তদের আগাম চিহ্নিতকরণ তথা আইসোলেশন কৌশল গ্রহণ করে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির নিরন্তর প্রচেষ্টার ফলে দেশে করোনায় মৃত্যু হার ধারাবাহিকভাবে কমছে। সংক্রমিত এলাকাগুলিতে বিশেষ কৌশল গ্রহণ, ব্যাপক হারে নমুনা পরীক্ষা এবং আদর্শ চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে মৃত্যু হার দৈনিক কমে আসছে। ভারতে মৃত্যু হার কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২.২৮ শতাংশ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যু হার অনেক কম। দেশে পরপর চারদিন দৈনিক ভিত্তিতে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩১,৯৯১ জন। এর ফলে, সুস্থতার সংখ্যা ৯ লক্ষ ছাড়িয়ে বর্তমানে ৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৬৭ হয়েছে। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৬৪ শতাংশ। মৃত্যু হার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় এবং অধিক সংখ্যায় সুস্থতার ফলে সুস্থতার সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় আজ পর্যন্ত বেড়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৪৫৩। হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে থাকা নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত সমস্ত রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1641486 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। করোনার সময় আয়ুষ্মান ভারত – স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলির গুরুত্ব অনেক বেশি অনুভূত হয়েছে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ভারতের জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সহজাত ক্ষমতা, বিশেষ করে গ্রামীণ প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র চালু হওয়ার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও মোকাবিলার মতো গুরু দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি, কোভিড বহির্ভূত জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত করোনা মহামারীর সময় অতিরিক্ত ১৩ হাজার ৬৫৭টি স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র চালু হয়েছে। গত ২৪শে জুলাই পর্যন্ত দেশে ৪৩ হাজার ২২টি এ ধরনের কেন্দ্র চালু হয়েছে। এমনকি, ১৮-২৪শে জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহটিতে এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা পেয়েছেন। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1641512 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। বাল্ক ড্রাগ পার্ক এবং মেডিকেল ডিভাইসেস পার্ক স্থাপনের পথ সুগম করতে শ্রী সদানন্দ গৌড়া প্রয়োজনীয় কর্মসূচি ও নীতি-নির্দেশিকার ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় রসায়ন ও সার মন্ত্রী শ্রী পি ভি সদানন্দ গৌড়া আজ এখানে বাল্ক ড্রাগ এবং মেডিকেল ডিভাইসেস পার্ক গড়ে তুলে দেশেই আরও বেশি পরিমাণে ওষুধপত্র তথা চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদনের প্রসারে ফার্মাসিউটিকাল দপ্তরের ৪টি কর্মসূচির সূচনা করেছেন। তিনি বলেন, ভারতকে প্রায়শই বিশ্বের ফার্মসি হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ভারতের এই স্বীকৃতি আরও বেশি করে প্রতিফলিত হয়েছে। মহামারীর সময় ভারত লকডাউন সত্ত্বেও জীবনদায়ী ওষুধপত্র বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেছে। এমনকি, কিছু কিছু দেশে বিনামূল্যে ওষুধপত্র যোগান দিয়েছে। অবশ্য, ফার্মাসিউটিকাল ক্ষেত্রে এই সাফল্য সত্ত্বেও কিছু কাঁচামালের ওপর দেশে এখনও আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। এটা নিঃসন্দেহে বড় উদ্বেগের কারণ। ওষুধ প্রস্তুত ক্ষেত্রে কাঁচামালের যোগানে ঘাটতি দূর করতে দেশে বাল্ক ড্রাগ পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ধরনের পার্কগুলিতে সর্বাধিক ১৩৬টি ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থাকে বিশেষ আর্থিক উৎসাহভাতা দেওয়া হবে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1641517 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। ভারতীয় রেল ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভস বাংলাদেশের হাতে তুলে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর এবং রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল আজ এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাতে ১০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভস বা রেল ইঞ্জিন তুলে দিয়েছেন। রেল ইঞ্জিন হস্তান্তরের জন্য ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রেল প্রতিমন্ত্রী শ্রী সুরেশ সি অঙ্গাদি, বাংলাদেশের রেল মন্ত্রী মহম্মদ নরুল ইসলাম সুজন এবং সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী ডঃ আবুল কালাম আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই রেল ইঞ্জিনগুলি গ্রহণ করেন। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ অনুদান সহায়তার অঙ্গ হিসাবে এই রেল ইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া হ’ল। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় সেদেশকে সহায়তার ব্যাপারে যে অঙ্গীকার করা হয়েছিল, আজ এই ইঞ্জিনগুলি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে তা পূর্ণ হ’ল। বাংলাদেশ রেলের চাহিদার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে ভারতের পক্ষ থেকে রেল ইঞ্জিনগুলি যথাযথভাবে তৈরি করা হয়েছে। এই রেল ইঞ্জিনগুলি বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবার চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1641503 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। পঠন-পাঠন ক্ষেত্রে কোভিড জনিত সমস্যায় চিন্তিত না হওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু আজ জোর দিয়ে বলেছেন, গণমাধ্যম ক্ষেত্রে, বিশেষ করে নতুন ধরনের গণমাধ্যম ব্যবস্থায় আজকাল যে বিভ্রান্তিকর ও প্রতারণাপূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তা থেকে শিশুদের দূরে রাখা প্রয়োজন। উপ-রাষ্ট্রপতি আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টাইমস্ স্কলার্স ইভেন্টে যোগ দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সত্যকে মেনে নেওয়ার এবং সত্যকে দূরে সরিয়ে রাখার সহজাত ক্ষমতা ও বিশ্লেষণমূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে কোভিড জনিত বিপত্তির কথা উল্লেখ করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, এই মহামারী বহু ছাত্রছাত্রীর মধ্যে উদ্বেগ ও মানসিক চাপ তৈরি করেছে। কিন্তু, এসবে বিচলিত না হয়ে মানসিক সংযম কায়েম করা অত্যন্ত জরুরি। প্রসঙ্গত, তিনি ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিতভাবে যোগচর্চার পরামর্শ দেন, যাতে দৈহিক ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা গড়ে তোলা যায়। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1641527 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য • পাঞ্জাব : কোভিড-১৯ সামগ্রীর সরবরাহ-শৃঙ্খলে তাৎক্ষণিক নজরদারি চালাতে রাজ্য সরকার এক কার্যকর ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। এই ব্যবস্থা প্রয়োগ করার ফলে অত্যাবশ্যক সামগ্রীর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে বড় সাফল্য মিলেছে। • হিমাচল প্রদেশ : আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে জারি করা নির্দেশে রাজ্য সরকার আংশিক সংশোধন করেছে। এই সংশোধনের ফলে ছাত্রছাত্রী বা পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা অভিভাবকরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে বসার জন্য রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন। • মহারাষ্ট্র : রাজ্য মন্ত্রিসভার আরও একজন সদস্য, যিনি পরিবেশ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাঁর করোনায় সংক্রমণের খবর মিলেছে। এদিকে বৃহন মুম্বাই পুর এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য রক্তের উপাদান সংগ্রহের প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা শেষ হয়েছে। রাজ্যে আজ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৮ হাজার। • গুজরাট : রাজ্যে গতকাল আরও ১ হাজার ১১০ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫ হাজার ৮২২। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ৩৬৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৩২৬ জনের। • রাজস্থান : রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩১। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১২৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৬ হাজার ১২৩ জন। • মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে গতকাল আরও ৮৭৪ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৮৫৭। এমনকি, গতকাল আরও ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। • অরুণাচল প্রদেশ : সংশোধিত আদর্শ কর্মপরিচালন বিধি অনুযায়ী রাজ্য সরকার স্বীকৃত ঠিকাদারদের বড় মাপের প্রকল্পগুলিতে সর্বাধিক ৫০ জন শ্রমিককে কাজে লাগানোর অনুমতি দিয়েছে। • আসাম : জোরহাট মেডিকেল কলেজে আজ থেকে আরও একটি ভাইরাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরোটরিজ চালু হয়েছে। এর ফলে, রাজ্যে এ ধরনের পরীক্ষাগারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭। • মণিপুর : রাজ্যের কোভিড-১৯ কমন কন্ট্রোল রুমের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও এলাকা থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর নেই। • নাগাল্যান্ড : কোহিমা জেলা প্রশাসন কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক ব্যক্তির হদিশ মেলায় মিমা গ্রামকে সীল করে দিয়েছে। • সিকিম : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরিকল্পনা পর্যালোচনায় টাস্কফোর্সের সঙ্গে আজ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। • কেরল : রাজ্য মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যব্যাপী পুনরায় লকডাউন কার্যকর করা যুক্তিগ্রাহ্য হবে না। এদিকে গতকাল আরও ৯২৭ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। বর্তমানে ৯ হাজার ৬৫৫ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। • তামিলনাডু : কেন্দ্রশাসিত পন্ডিচেরীর আরও একজন বিধায়কের করোনায় সংক্রমণের খবর মেলায় বিধানসভা ভবন আজ ও কাল বন্ধ থাকছে। মাদুরাইয়ে সরকারি রাজাজী হাসপাতালে ২৯ জন নার্স ও চিকিৎসকের নমুনা পরীক্ষায় কোভিডের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এদিকে তামিলনাডুতে গতকাল আরও ৮৫ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৪। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৭০৩ জন। • কর্ণাটক : স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশের সমস্ত মধ্যে কর্ণাটক কোভিড সংক্রান্ত যথপোযুক্ত তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে। এদিকে রাজ্যের অরণ্য মন্ত্রীর কোভিড-১৯ সংক্রমণ হয়েছে। রাজ্যে গতকাল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯৬ হাজার ১৪১ হয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪১৭। • অন্ধ্রপ্রদেশ : রাজ্য সরকার কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা জারি করে বলেছে, কেবল আইসিএমআর স্বীকৃত নমুনা পরীক্ষাগারগুলি থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা যাচাই করা যাবে। রাজ্যে গতকাল আরও ৫৬ জনের মৃত্যুর খবর মেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪১ হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৫৬ জন। • তেলেঙ্গানা : হায়দরাবাদ-ভিত্তিক আরও একটি সংস্থা কোভিড-১৯ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আভরা ল্যাবরেটরিজ নামে এই সংস্থাটি শীঘ্রই কোভিড-১৯ প্রতিষেধক সিপ্লেঞ্জা নিয়ে আসতে চলেছে। এদিকে রাজ্যে রবিবার আরও ১ হাজার ৪৭৩ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। নিশ্চিতভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯৫৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৭১ জনের। CG/BD/SB (
pib-1252
84cc4abd60b800426cd336ac00f1fa7740c4a723ffaead1eac5ae1cc896154d1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী্র টেলিফোনে কথপোকথন নয়াদিল্লি, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ টেলিফোনে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মিঃ ভ্লাদিমির ভালদিমিরোভিচ পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। রাশিয়ায় রীতি অনুযায়ী, বড়দিন উৎসব উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী রাষ্ট্রপতি মিঃ পুতিন ও রাশিয়ার সাধারণ নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানান। রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও ভারতবাসীর সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি ও উন্নতি কামনা করেন। সম্প্রতি, বিশেষ করে, ২০১৯ সালে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতিসাধনের জন্য দুই নেতাই খুশি ব্যক্ত করেন। ২০২০ সালে সবক্ষেত্রেই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার জন্য উভয় নেতাই সহমত পোষণ করেন। ২০২০ সাল রাশিয়ার জন্য বিশেষ উল্লেখযোগ্য বলে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী চলতি বছরের মে মাসে মস্কোতে বিজয় দিবসের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি পুতিনকে ধন্যবাদ জানান। চলতি বছরে রাশিয়ায় ব্রিকস্ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির এবং সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য অধীর হয়ে রয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে ২১তম বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি পুতিনকে আমন্ত্রণও জানান প্রধানমন্ত্রী। আঞ্চলিক ও বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থায়ী উন্নয়নে ভারত - রাশিয়া পরস্পরের সহযোগিতায় কাজ করে চলার ব্যাপারে উভয় নেতাই সহমত পোষণ করেন। CG/SS/SB (Visitor Counter : 50
pib-1253
4c6ab56316d2fb78b484d35bffcae116048f287c0bcb2b515892bc10eb9a9996
ben
নয়াদিল্লি, ১২ জুন, ২০২১ এক শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, মহামারীর সময় গ্রামীণ ভারতে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যা পরিকাঠামো এবং পরিষেবায় ঘাটতির ফলে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকাশিত খবরে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারের ধারাবাহিকতার অভাবের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ভারত সরকার গ্রামীণ ভারতে কার্যকরভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সক্রিয়তার সঙ্গে কাজ করে এসেছে। সেই সঙ্গে, বহুস্তরীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থার মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে এবং রাজ্যগুলির সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভারত সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতায় বিভিন্ন নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। গ্রামাঞ্চলে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের গ্রামাঞ্চলে ১ লক্ষ ৫৫ হাজারেরও বেশি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ২৪ হাজার ৯১৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ ৫ হাজার ৮৯৫টি শহরাঞ্চলীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, আয়ুষ্মান ভারত - স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি ভারতের জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আজ পর্যন্ত দেশে ৭৫ হাজার ৯৯৫টি চালু স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলে দেড় লক্ষ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে ২০২২ সালের মধ্যে আয়ুষ্মান ভারত – স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য স্থির হয়েছে। এর ফলে, স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি থেকেও সুসংবদ্ধ প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। সর্বজনীন এই পরিষেবা সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ নিখরচায় পাবেন। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র তথ্য স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলির জন্য প্রশিক্ষিত নন্-ফিজিশিয়ান স্বাস্থ্য কর্মী বাহিনী গড়ে তোলা হবে। এই স্বাস্থ্য কর্মীরা কম্যুনিটি স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসাবে কাজ করবেন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মী ও আশা কর্মীদের নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতে দল গঠন করবেন। · বর্তমানে চালু প্রজনন এবং শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ ঘটিয়ে তথা স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যান কেন্দ্রগুলিতে অসংক্রামক রোগ-ব্যধির চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হবে। এর ফলে, এ ধরনের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেও উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ সহ মুখ, স্তন ও জারায়ুতে ক্যান্সারের চিকিৎসা মিলবে। এমনকি, মানসিক স্বাস্থ্য, অপথালমোলজি, চোখ, নাক, গলার চিকিৎসা পরিষেবাও পাওয়া যাবে। · নিখরচায় জরুরি চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা মিলবে। এজন্য উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ডায়াগনোস্টিক টেস্ট এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ৬৩টি ডায়াগনোস্টিক টেস্টের সুবিধা পাওয়া যাবে। · উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ১০৫টি বিভিন্ন ধরনের ওষুধ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ১৭২টি ওষুধ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। · প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির এক অত্যাবশ্যকীয় মাধ্যম হিসাবে সুস্বাস্থ্যের প্রসারে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি কাজ করবে। আজ পর্যন্ত ৫০ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে পরিষেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৫৪ শতাংশই মহিলা। · স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে যে সমস্ত পরিষেবা দেওয়া হয়, তা প্রতিকারমূলক স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটি ৯৮ লক্ষেরও বেশি রোগীর উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা, ৯ কোতি ১ লক্ষেরও বেশি রোগী মধুমেহ পরীক্ষা, ৫ কোটি ৭৩ লক্ষ রোগীর মুখের ক্যান্সার, ২ কোটি ৯৪ লক্ষ মহিলার স্তন ক্যান্সার এবং প্রায় ২ কোটি মহিলার জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। · স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলির আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হ’ল টেলি-পরামর্শ পরিষেবা। ই-সঞ্জিবনী ব্যবস্থার মাধ্যমে ৬০ লক্ষেরও বেশি ই-পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি থেকে ২৬ লক্ষেরও বেশি টেলি-পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। · কোভিড-১৯ মহামারীর সময় জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত – স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সেই সঙ্গে, কোভিড বহির্ভূত জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবাও বজায় রেখেছে। ২০২১ সালের ১১ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলির কাজকর্ম এক ঝলকে | | ক্রমিক সংখ্যা | | মানদন্ড | | সামগ্রিক অগ্রগতি ২০২১-এর ১১ই জুন পর্যন্ত | | অগ্রগতি ২০২০’র পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১-এর ১১ জুন পর্যন্ত | | ২ | | আয়ুষ্মান ভারত – স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলিতে রোগীর সংখ্যা | | ৫০২৮.৮৯ | | ৪১২৩.৮১ | | | | পুরুষ | | ২৩২৫.৬৭ | | ১৯১১.০৫ | | | | মহিলা | | ২৬৯১.৩১ | | ২২০০.৮৬ | | ৩ | | উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কিত মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ১০৯৮.২৩ | | ৭৮৮.৫৮ | | ৪ | | মধুমেহ সম্পর্কিত মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ৯০০.৮৯ | | ৬৩৬.৮৫ | | ৫ | | মুখের ক্যান্সারের মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ৫৭৩.১৫ | | ৪১৪.৪৬ | | ৬ | | স্তন ক্যান্সার সম্পর্কিত মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ২৯৩.৯৬ | | ১৯৮.৪৮ | | ৭ | | জরায়ু ক্যান্সার সম্পর্কিত মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ২০০.০৮ | | ১৩৫.৭১ | | ৮ | | তিন ধরনের ক্যান্সার মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ১০৬৭.১৯ | | ৭৪৮.৬৫ | | ৯ | | অসংক্রামক রোগ-ব্যাধির মোট পরীক্ষা-নিরীক্ষা | | ৩০৬৬.৩১ | | ২১৭৪.০৮ | | ১০ | | যোগাভ্যাস সহ মোট রোগী কল্যাণ পরামর্শ দান কর্মসূচির সংখ্যা | | ৭০.৫১ | | ৬৩.৭ আধা-শহর ও গ্রামাঞ্চলে এই মহামারীর সংক্রমণের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গত ১৬ মে কোভিড-১৯ কন্টেনমেন্ট ও ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত আদর্শ কার্যপরিচালনবিধি জারি করেছে। নিম্নলিখিত ওয়েবসাইটে এই আদর্শ কার্যপরিচালন বিধি দেওয়া রয়েছে – https://www.mohfw.gov.in/pdf/SOPonCOVID19Containment&ManagementinPeriurbanRural&tribalareas.pdf) এই বিধিতে সমস্ত জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশাপাশি, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র/স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, কম্যুনিটি হেলথ আধিকারিক এবং এএনএম কর্মীদেরকেও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষার ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করে তুলতে। কোভিড টিকাকরণের দিক থেকে ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকাকরণ অভিযানের সূচনা হয়েছে। আজ পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ২৪ কোটিরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, শহর ও আদিবাসী এলাকাগুলিতে কোভিড-১৯ টিকাকরণের পরিধি প্রসারে এই অভিযানের আওতায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযানের জন্য ভারতে কো-উইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। আগ্রহী টিকা গ্রহীতারা এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এমনকি, আগ্রহী টিকা গ্রহীতারা নিকটবর্তী টিকাকরণ কেন্দ্র হাজির হয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এছাড়াও, কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযানে কম্যুনিটি-ভিত্তিক প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের প্রয়াস গ্রহনের উদ্দেশ্য হ’ল পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠান, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, কম্যুনিটি সেন্টার এবং বিদ্যালয় ভবনে টিকাকরণ কর্মসূচির আয়োজন করা যাতে বয়স্ক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া সম্ভব হয়। CG/BD/SB......12_JUNE_2021..............
pib-1257
036dc63d242ea091af6d2574b67aae235c8db2eb203b0fc125760dd1a79eb1b0
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর একাদশ ব্রিকস্ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নয়াদিল্লি, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ব্রাসিলিয়ায় একাদশ ব্রিকস্ শিখর সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি মিঃ ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। চলতি বছরে দুই নেতার মধ্যে এটি চতুর্থ সাক্ষাৎ। বৈঠকে উভয় নেতাই প্রধানমন্ত্রীর ভ্লাদিভোস্তক সফর পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রীর সফল রাশিয়া সফরের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লেনদেনের পরিমাণ ২০২৫ সালের আগেই ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাওয়ায় উভয় নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। আঞ্চলিক স্তরে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যে সমস্ত বাধা-বিপত্তিগুলি রয়েছে, তা দূর করতে আগামী বছর সেদেশে এবং ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক আঞ্চলিক ফোরামে বৈঠক হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির বিষয়গুলি নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতি পুতিন সুমেরু অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের যে বিপুল ভান্ডার রয়েছে, তার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য ভারতীয় লগ্নির আহ্বান জানান। উভয় নেতাই ভারতের নাগপুর – সেকেন্দ্রাবাদ শাখায় ট্রেনের গতি আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নে অগ্রগতির বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন। প্রতিরক্ষা সহ অসামরিক আনবিক শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার অগ্রগতিতেও দু’জনেই সন্তোষ প্রকাশ করেন। অসামরিক পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলিকেও উভয় নেতাই স্বাগত জানান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী ও অবস্থানের কথা উল্লেখ করে উভয় নেতাই ভবিষ্যতে আরও নিবিড় আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সহমত প্রকাশ করেন। আগামী বছর মস্কোয় বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীকে আমন্ত্রণের কথা রাষ্ট্রপতি পুতিন পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী এই আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেছেন। CG/BD/SB (Visitor Counter : 77
pib-1259
f440ecbf08e97fe541046d11901a143dd1ef662577b8ab3720c79bef21a96df0_1
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক যৌথ নৌ মহড়া নয়াদিল্লী, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৯৯২ সাল থেকে মালাবার মহড়া শুরু হয়েছে। এর সাহায্যে ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্যান্য নৌ বাহিনীর সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি পায় এবং অন্যান্য নৌ বাহিনীর ভালো পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় ও দক্ষতা বৃদ্ধি হয়। এ পর্যন্ত ২৫টি যৌথ নৌ মহড়া হয়েছে। ২০২১ সালে আগস্ট ও অক্টোবর মাসে শেষ নৌ মহড়াটি দুটি ভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে সরকারের ‘সাগর’ উদ্যোগের বাস্তবায়নে সুবিধা হচ্ছে আবার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে ভারতীয় নৌ বাহিনী টহল দেওয়ার সময় কোনো অতিরিক্ত ব্যয় করতে হচ্ছেনা। মালাবার মহড়ার দ্বিতীয় পর্যায়ে আইএনএস রণবিজয়, আইএনএস সাতপুরা এবং একটি ডুবো জাহাজ সহ বাহিনী সদস্যরা অংশ নেন। বিদেশ মন্ত্রক এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর বন্ধু রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে মহড়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এর মধ্যদিয়ে সাধারণ পরিচালন বিধি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সম্বন্ধে ধারণা, দেশীয় পদ্ধতিতে জাহাজ তৈরির কলাকৌশল এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। বন্ধু রাষ্ট্রগুলির নৌবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে বার্ষিক বা দ্বিবার্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও যৌথ টহল এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। লোকসভায় শ্রী থিরুনাবুক্কারাসারসু-র আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রী অজয় ভাট। CG/CB/NS (Visitor Counter : 62
pib-1268
0cc3997b7ee3b5e696ec86da01b7e1d3111905c5e035b0646b8cef8a66c4a9b8_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর যুব সঙ্গমের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে যুবক-যুবতীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি, ০৭ এপ্রিল, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী যুবক-যুবতীদের যুব সঙ্গমের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে আহ্বান জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের এক ট্যুইটের প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি প্রথম দফায় আয়োজিত বিভিন্ন #YuvaSangam – এর বিভিন্ন ভিডিও এবং ছবি দেখেছি। ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর বিশেষ চিন্তাভাবনা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে ঐ ছবি ও ভিডিও-গুলিতে। আমি যুবক-যুবতীদের এখন দ্বিতীয় দফার নাম নথিভুক্ত করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই”। PG/PM/SB (
pib-1269
6e204e3583f38fdc547f50bb465fbf869ede19f4254a9c22c4962eede7e3b4dd
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুর্ঘটনায় মৃতদের স্মৃতিতে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে অর্থ সাহায্যের ঘোষণা নয়াদিল্লি, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলায় দুর্ঘটনায় মৃতদের স্মৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের নিকটাত্মীয়ের জন্য এককালীন ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ট্যুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, “উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির দুর্ঘটনায় আমি মর্মাহত। নিহতদের শোক-সন্তপ্ত পরিবারকে শোক জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের নিকটাত্মীয়কে এককালীন ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে: PM @narendramodi"। PG/PM/SB (
pib-1276
88cb29896ccb260b758976442d93c281b81cbc10b5cd3ded02c619a00b055ad3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ২০২১-এর টয়কাথনের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী আরও উন্নত ‘টয়কোনমি’র আহ্বান জানিয়েছেন খেলনা শিল্পের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে এর মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের বিষয়টি যুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন আমাদের স্থানীয় খেলনার জন্য চাহিদা বাড়াতে হবে : প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্ব ভারতের কর্মক্ষমতা, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং সমাজিক বিষয় সম্পর্কে জানতে চায়, খেলনা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে : প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল গেমিং-এর ক্ষেত্রে ভারতের প্রচুর বিষয় রয়েছে ও এগুলি তৈরিতে দক্ষ কর্মী রয়েছেন : প্রধানমন্ত্রী খেলনা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারী ও উদ্ভাবকদের ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতাবার্ষিকীতে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ২৪ জুন, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২১-এর টয়কাথনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল ও শ্রী সঞ্জয় ধোত্রে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের যুবসম্প্রদায়ের কাছে বিগত ৫-৬ বছর ধরে হ্যাকাথন মঞ্চটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সমাধান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। দেশের যুবসম্প্রদায়ের দক্ষতাকে আরও প্রসারিত করতে এবং সুযোগ করে দিতে এই মঞ্চ সাহায্য করছে। খেলনা হ’ল শিশুদের প্রথম বন্ধু। এর গুরুত্বের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী খেলনা ও গেমিং-এর সঙ্গে যুক্ত অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতাকে ‘টয়কোনমি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের খেলনার বাজার রয়েছে। কিন্তু, ভারতের এই বাজারে অংশীদারিত্ব মাত্র ১.৫ শতাংশ। ভারত প্রায় ৮০ শতাংশ খেলনা আমদানি করে। অর্থাৎ, খেলনা আমদানিতে ভারতের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়। এই অবস্থার পরিবর্তনের প্রয়োজন। শ্রী মোদী বলেছেন, খেলনা শিল্পের বিকাশ আনতে এবং সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের জন্য খেলনা শিল্পের উন্নয়ন প্রয়োজন। সাধারণত, ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি খেলনা তৈরি করে। এই শিল্পে গ্রামের মানুষ, দলিত, দরিদ্র এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা যুক্ত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী খেলনা শিল্পে মহিলাদের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। এদের উন্নতির জন্য আমাদের স্থানীয় খেলনার চাহিদা বাড়াতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় খেলনা আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্ভাবন এবং আর্থিক বিনিয়োগের নতুন মডেল গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে খেলনা শিল্পে নতুন নতুন উদ্ভাবনের জন্য উৎসাহের প্রয়োজন, নতুন উদ্যোগ বা স্টার্ট আপগুলিকেও উৎসাহিত করতে হবে। নতুন বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, খেলনা প্রস্তুতকারকদের প্রচলিত পদ্ধতির সঙ্গে নতুন প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে হবে। টয়কাথনের মতো অনুষ্ঠানে এগুলি অনুপ্রেরণার উৎস। প্রধানমন্ত্রী গ্রামাঞ্চলে যোগাযোগ বাড়াতে সস্তায় ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়াকে অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। ভারতে ভার্চ্যুয়াল, ডিজিটাল এবং অনলাইন গেমের জন্য আরও সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রী মোদী আক্ষেপ করেছেন, বাজারে যেসব অনলাইন ও ডিজিটাল গেম পাওয়া যায়, সেগুলির বেশিরভাগই ভারতীয় ধ্যান-ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। এ ধরনের গেম সহিংসতা ও মানসিক অস্থিরতা বাড়ানোর অন্যতম কারণ। ভারতের কর্মদক্ষতা, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং সামাজিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সারা বিশ্ব জানতে চায়। খেলনা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ডিজিটাল গেমিং-এর জন্য ভারতে প্রচুর বিষয় যেমন রয়েছে পাশাপাশি এই ধরণের গেম তৈরিতে দক্ষ কর্মীও রয়েছেন। শ্রী মোদী তরুণ উদ্ভাবক ও স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে ভারতের কর্মদক্ষতার প্রকৃত চিত্র সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে আহ্বান জানিয়েছেন। ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসকে খেলনা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিনিয়োগকারী ও উদ্ভাবকদের কাছে বিপুল সুযোগ এনে দিয়েছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেছেন। তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনা, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শৌর্য ও নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, গেম তৈরিতে এই বিষয়গুলি ব্যবহার করা যেতে পারে। উদ্ভাবকরা স্থানীয় শিল্পের সঙ্গে ভবিষ্যতের চাহিদাকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আকার্ষণীয় গেম তৈরি করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখা প্রয়োজন, সেগুলি হ’ল – যাঁরা এই গেম খেলবেন, তাঁদের গেমের মাধ্যমে আকৃষ্ট করতে হবে, আনন্দ দিতে হবে এবং শিক্ষামূলক বিষয়গুলি উপস্থাপিত করতে হবে। CG/CB/SB (Visitor Counter : 189
pib-1282
6e340f3d5963a2dc2bf3bb07df617f6768281953cccc58c88bc65038703b01aa_5
ben
নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক অটল চা বাগান পরিদর্শন এবং চা বাগান কর্মীদের সঙ্গে 'স্বচ্ছতা হি সেবা' কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কেন্দ্রীয় নারী, শিশুবিকাশ ও সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রীর নয়াদিল্লি, ১ অক্টোবর, ২০২৩ কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুবিকাশ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি আজ পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান দার্জিলিং-এর সাংসদ শ্রী রাজু বিস্তা। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অটল চা বাগানের উদ্দেশে রওনা দেন এবং ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক ঘন্টার শ্রমদানে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন চা বাগানের মহিলা শ্রমিকরা। তাঁদের সঙ্গে তিনি আলাপচারিতাও করেন। এরপর শ্রীমতী ইরানি তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শ্রী বিস্তা। এই অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন। ভারতীয় সংবিধানের রূপকার ডঃ বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শ্রীমতী ইরানি। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাস স্ট্যান্ডের লাগোয়া একটি চায়ের দোকানে বসেন এবং সবাইকে চা পানে আপ্যায়িত করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। এরপর, শিলিগুড়ির দাগাপাড়া ফুটবল ময়দানে একটি দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। PG/MP/DM/ (Visitor Counter : 3
pib-1283
d57d59ac52fa5bade1455d6ed28a747e81f59bcbb50d0ea4c5caf3ce0da06642
ben
কেন্দ্রীয়লোকসেবাআয়োগ ২০১৯-এর কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস পরীক্ষার -এর চূড়ান্ত ফলাফল নয়াদিল্লি, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন ২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসের যে পরীক্ষা নিয়েছিল তার ভিত্তিতে ১৯৬ জন প্রার্থী সফল হয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি, কেরলের এঝিমালার ইন্ডিয়ান ন্যাভাল অ্যাকাডেমি এবং হায়দরাবাদের এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য এই প্রার্থীদের বাছাই করেছে। ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির ১০০টি পদের মধ্যে ১৩টি পদ, কেরলের এঝিমালার ইন্ডিয়ান ন্যাভাল অ্যাকাডেমির ৪৫টি পদের মধ্যে ছয়টি পদ এবং হায়দ্রাবাদের এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমির ৩২টি পদের মধ্যে তিনটি এনসিসি-র 'সি' সার্টিফিকেটধারীদের জন্য সংরক্ষিত। কমিশন লিখিত পরীক্ষায় মিলিটারি অ্যাকাডেমির জন্য ২,৬৯৯, ন্যাভাল অ্যাকাডেমির জন্য ১,৫৯২ এবং এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমির জন্য ৬১১ জনকে যোগ্য বলে ঘোষণা করেছিল। এসএসবি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে পরবর্তী ধাপে এঁদের পরীক্ষা নেয়। তার ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে, প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষা এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এছাড়াও, সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে এঁদের জন্ম ও শিক্ষাগত যোগ্যতার যাচাই পর্বের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তাই, এই বাছাই পর্বকে প্রভিশনাল বলে বিবেচনা করা হবে। প্রার্থীদের তাঁদের জন্ম, শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্যান্য কাগজপত্র আসল এবং প্রত্যয়িত কপি নিয়ে সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। যদি কোন প্রার্থীর ঠিকানা পরিবর্তিত হয়, তাহলে তাঁকে দ্রুত সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী বা বিমানবাহিনীর সদর দপ্তরে তা জানাতে হবে। ইউপিএসসি-র ওয়েবসাইট – http://www.upsc.gov.in এ চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে, প্রার্থীরা কে কত নম্বর পেয়েছেন, সে বিষয়টি অফিসার্স ট্রেনিং অ্যাকাডেমির চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের পর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এ বিষয়ে কোন তথ্য জানার থাকলে প্রার্থীরা কমিশনের দপ্তরের 'সি' গেটে যোগাযোগ করতে পারেন। তাঁরা ব্যক্তিগতভাবে না গিয়ে 2338 5271 / 1125 এবং 011 2309 8543-তে যে কোনও কাজের দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ফোন করতে পারেন। চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে চাইলে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ- https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/CDSII_2019_FQ_PRESSNOTE.pdf (CG/CB/DM
pib-1286
1587245166b1d2e23c4750d829f1cd016c1fd1ed6014d91a7a6e03ab90617d31_2
ben
বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক শিরদাড়ার নীচের অংশের পুরনো ব্যাথা যোগের মাধ্যমে প্রশমিত হয় নয়াদিল্লি, ১৭ জুন, ২০২১ যোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণায় অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ব্যাথার উপশম করার ক্ষেত্রে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। গবেষকরা ব্যাথার প্রাবল্য পরিমাপ করে এবং দেশের নমনীয়তা পরীক্ষা করে দেখেছেন, যোগাভ্যাসের মাধ্যমে ব্যাথার প্রশমন হয়, প্রাবল্য কমে এবং শিরদাড়ার নীচের অংশে পুরনো ব্যাথায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের যোগাভ্যাসের মাধ্যমে সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। শিরদাড়ার নীচের অংশে পুরনো ব্যাথা নিয়ে নতুন দিল্লির এইমস্-এ শারীরবিদ্যা দপ্তরের অতিরিক্ত অধ্যাপক ডঃ রেণু ভাটিয়া তিন বছর ধরে গবেষণা চালাচ্ছেন। ৫০ বছর বয়সী ১০০ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে, চার সপ্তাহ যোগাভ্যাসের পর কোল্ড পেইনের সমস্যা অনেকটাই কমেছে। কোয়ান্টিটেটিভ সেন্সারি টেস্টিং– এর মাধ্যমে দেখা গেছে রোগীদের করটিকোমোটর সক্রিয় হচ্ছে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে নমনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইমস্ – এর রোগীদের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে, দীর্ঘদিন ধরে যোগাভ্যাস করলে ব্যাথার যেমন প্রশমন হয়, পাশাপাশি অন্যান্য নানারকমের সুফল পাওয়া যায়। এছাড়াও যোগাসনের প্রক্রিয়াটি স্বল্প মূল্যে করা সম্ভব। CG/CB/SB (Visitor Counter : 116
pib-1291
95af7907c86b91a8ac42e170d94f32169683733dd0be72e758f5a304fb9837f3_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর যোশী মঠের বিপর্যয়ে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন এবং সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব নয়াদিল্লি, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৩ যোশী মঠের বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিশ্র। যোশী মঠের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ব্যাপক ভূমিধ্বসের পাশাপাশি, ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতো বিপর্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই পর্যালোচনা বৈঠক। বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবিনেট সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিকবৃন্দ, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ, উত্তরাখন্ডের মুখ্যসচিব ও ডিজিপি, যোশী মঠের জেলাশাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ এবং উত্তরাখন্ডের পদস্থ আধিকারিকগণ। এছাড়াও, আইআইটি রুরকি, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা, ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা বিভাগ এবং ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির বিশেষজ্ঞরাও যোগ দেন এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে। পর্যালোচনাকালে জানানো হয় যে, যোশী মঠের এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে তিনি কথাও বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। উত্তরাখন্ডের মুখ্যসচিব বৈঠকে জানান যে, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় রাজ্য ও জেলা পর্যায়ের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তিনি জানান, প্রায় ৩৫০ মিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এনডিআরএফ – এর একটি এবং এসডিআরএফ – এর চারটি দল ইতিমধ্যেই যোশী মঠে পৌঁছে গেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলা হচ্ছে এবং তাঁদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য, আশ্রয় ও নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসডিআরএফ – এর এসপি এবং বাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্থলেই রয়েছেন। যোশী মঠের অধিবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতি ও উদ্ধার প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। এই কাজে তাঁদের সহযোগিতাও প্রার্থনা করা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবং মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গড়ে তুলতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও চাওয়া হয়েছে। বৈঠকে আরও জানানো হয় যে, বর্ডার ম্যানেজমেন্টের সচিব এবং এনডিএম – এর চার জন সদস্য ৯ জানুয়ারি উত্তরাখন্ড সফর করবেন। এনডিএমএ, এনআইডিএম, এনডিআরএফ, ডিএফআই, এনআইএইচ, ওয়াদিয়া ইন্সটিটিউট এবং আইআইটি রুরকির টেকনিক্যাল প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব বিশেষ জোর দিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে যা আশু প্রয়োজন, তা হ’ল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিষয়টিকে বিশেষ অগ্রাধিকারের সঙ্গে বিবেচনা করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য রাজ্য সরকারকে আরও তৎপর হতে হবে। খুব সহজেই যাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়, তার ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন রাজ্য প্রশাসনের তরফে। পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই লক্ষ্যে ব্যবহারিক দিক থেকে সম্ভাব্য যা কিছু করা জরুরি, তা এই মুহূর্তেই সেরে ফেলতে হবে। তাছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির জন্য অনুসন্ধান প্রচেষ্টাকেও আরও জোরদার করে তুলতে হবে। এনডিএমএ, এনআইডিএম, জিএসআই, আইআইটি রুরকি, ডব্লিউআইএইচজি, এনআইএইচ এবং সিবিআরআই – এর পারস্পরিক সমন্বয় রক্ষার মাধ্যমে উত্তরাখন্ডের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার সপক্ষেও যুক্তি উপস্থাপন করেন ডঃ পি কে মিশ্র। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট মেয়াদকালের মধ্যে পুনর্গঠন ও পুনর্নির্মাণের কাজও শুরু করে দেওয়া উচিৎ। ভূকম্পনজনিত পরিস্থিতির আশঙ্কার বিষয়টিও এক্ষেত্রে ভুলে গেলে চলবে না। যোশী মঠের জন্য সংবেদনশীল একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা রচিত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। উন্নয়নের খসড়া প্রস্তুতকালে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে বলে তিনি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সতর্ক করে দেন। PG/SKD/SB (
pib-1293
61a4aac0d682863f0d826abc09a32a898de83102d75c6825796907f7ff89adbf_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর হায়দ্রাবাদে ভারত বায়োটেকের ব্যবস্থাপনা সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী নতুনদিল্লি, ২৮শে নভেম্বর, ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেকের ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেছেন। কোভিডের জন্য টিকা উদ্ভাবন ও উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যক্তিগতভাবে পর্যালোচনা করার জন্য তিন শহরে যাওয়ার অঙ্গ ছিল এই সফর। শ্রী মোদী ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “ হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেকের ব্যবস্থাপনায় দেশীয় পদ্ধতিতে কোভিড-১৯-এর টিকার বিষয়ে জানালেন। এ পর্যন্ত তাঁরা যা যা পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছেন, তার জন্য বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানাই। তাঁদের দলটি দ্রুত উদ্ভাবনের জন্য আইসিএমআরের সঙ্গে একযোগে কাজ করছেন।“ প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে আহমেদাবাদে জাইডাস বায়োটেক পার্ক পরিদর্শন করেন ।
pib-1294
f41bd3c7280cfb5fe3b032ff1d8beb2fdfda9dbd1907c50e6fd8fa79d6ae2c83_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর আর্থিক ক্ষেত্র নিয়ে বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বঙ্গানুবাদ নয়াদিল্লি, ৭ মার্চ, ২০২৩ নমস্কার, বাজেট রূপায়ণে সরকার যৌথ মালিকানা এবং সম-অংশীদারিত্বের বলিষ্ঠ রূপরেখা বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারের মাধ্যমে প্রস্তুত করছে। এই ওয়েবিনারে আপনার মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ওয়েবিনারে আমি আপনাদের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বন্ধুগণ, করোনা অতিমারীর সময়কালে ভারতের আর্থিক এবং মুদ্রা নীতির প্রভাব আজ সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। বিগত ৯ বছর ধরে ভারতীয় অর্থনীতির মূল আধারগুলি শক্তিশালী করতে সরকার প্রয়াস গ্রহণ করেছে। একটা সময় ছিল যখন ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতাকে হাজারো প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হত। আমাদের অর্থনীতি, বাজেট, লক্ষ্য – যখনই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হত, তা প্রশ্নবোধক চিহ্ন দিয়ে শুরু ও শেষ হত। আজ ভারত আর্থিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিমুখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর মধ্য দিয়ে এক বিরাট পরিবর্তন আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এখন আলোচনার শুরুতেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন এখন বিশ্বাসে ন্যস্ত হচ্ছে এবং আলোচনার শেষে প্রশ্নের বদলে এখন প্রত্যাশা জায়গা করে নিচ্ছে। আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত। জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়ভার ভারত নিয়েছে। ২০২১-২২-এ সর্বাধিক প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ভারতে এসেছে এবং এই বিনিয়োগের বৃহৎ অংশ নির্মাণ ক্ষেত্রে লগ্নি করা হয়েছে। পিএলআই প্রকল্পের সুবিধা পেতে নিরন্তর আবেদনপত্র জমা পড়ছে। বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে আমরা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিচ্ছি। নিশ্চিতভাবে বলা যায়, এই সময়কালে ভারতের ক্ষেত্রে এক বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে এবং আমরা এই সুযোগকে কোনভাবেই হারিয়ে যেতে দেব না। আমাদের একত্রে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। বন্ধুগণ, আজকের নতুন ভারত নতুন ক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এমত পরিস্থিতিতে আপনাদের সকলের দায়বদ্ধতা ও ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্তদের দায়বদ্ধতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে সারা বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থা আপনাদের রয়েছে। গত ৮-১০ বছর পূর্বে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা, যা ভেঙে পড়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল, আজ তা লাভদায়ক হয়ে উঠেছে। আজ আপনাদের এমন এক সরকার রয়েছে যে ক্রমাগত দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং নীতিগত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, আস্থা এবং প্রত্যয় রয়েছে। ফলে, আপনাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে, কাজ করতে হবে এবং কাজ করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে। বন্ধুগণ, আজকের সময়ের দাবি হল ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার যে শক্তি তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। আমরা যেভাবে ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও অণু শিল্পক্ষেত্রকে সমর্থন যুগিয়েছি ঠিক তেমনই ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও হাতে হাত মিলিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রগুলির সাহায্যে এগিয়ে আসবে। ১ কোটি ২০ লক্ষ এমএসএমই অতিমারীর সময় সরকারের কাছ থেকে প্রভূত সাহায্য পেয়েছে। এ বছরের বাজেটে এমএসএমই ক্ষেত্রের জন্য কোনরকম জামানত ছাড়াই অতিরিক্ত ২ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের সংস্থান রাখা হয়েছে। ফলে এখন প্রয়োজন হল আমাদের ব্যাঙ্কগুলি যাতে এই ক্ষেত্রগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সেদিকে লক্ষ্য দেওয়া। বন্ধুগণ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সঙ্গে জড়িত সরকারি নীতি কোটি কোটি মানুষকে প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে এসেছে। কোনরকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই ২০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ‘মুদ্রা’ ঋণ দিয়ে তরুণের স্বপ্ন পূরণে সরকার অসাধারণ কাজ করে দেখিয়েছে। ‘পিএম স্বনিধি প্রকল্প’-এ ৪০ লক্ষেরও বেশি হকার এবং ছোট দোকানদার এই প্রথম ব্যাঙ্কের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পেয়েছে। ফলে, সমস্ত অংশীদারদের কাছে ঋণের খরচ কমানো এবং ছোট উদ্যোগপতিরা যাতে দ্রুত ঋণ পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রক্রিয়ার পুনর্মূল্যায়ন করা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। এক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। তাহলেই ভারতের বর্ধিত ব্যাঙ্কিং শক্তির সর্বাধিক সুবিধা দেশের দরিদ্র মানুষ পেলে তাঁরা স্বনির্ভর হয়ে দারিদ্র্য মোচন করতে পারবেন। বন্ধুগণ, আরও একটি বিষয় হল, ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং স্বনির্ভরতা আমাদের পছন্দের ওপর নির্ভর করে না। অতিমারীকালে আমরা দেখেছি যে এটা এমন এক বিষয় যা ভবিষ্যৎকে উজ্জীবিত করে। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং স্বনির্ভরতার দৃষ্টিভঙ্গি জাতীয় দায়বদ্ধতার অঙ্গ। এই দুটি বিষয়ে দেশজুড়ে অভূতপূর্ব উদ্দীপনা আমরা প্রত্যক্ষ করছি। এই কারণবশত, কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ উৎপাদনই বৃদ্ধি পায়নি, রপ্তানির ক্ষেত্রেও নতুন রেকর্ড স্থাপন হয়েছে। পণ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেই আমাদের রপ্তানি ২০২১-২২-এ সর্বকালীন বৃদ্ধি পেয়েছে। রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানেই বিদেশে ভারতের সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকেরই সেই দায়বদ্ধতা নেওয়া উচিত যাতে করে স্থানীয় কারিগর এবং উদ্যোগপতিরা প্রসার লাভ করতে পারেন। বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সংগঠন, বণিকসভা, শিল্পসঙ্ঘ এবং সমস্ত শিল্প-বাণিজ্য সংগঠন যৌথভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে। আমি স্থির নিশ্চিত যে জেলাস্তরেও আপনাদের নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আপনাদের দল রয়েছে। এই মানুষেরা জেলার পণ্যগুলিকে নির্বাচিত করতে পারেন যাতে সেগুলির বড় পরিমাণে রপ্তানি সম্ভব হয়। আর বন্ধুগণ, ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর ব্যাপারে বলতে গেলে আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে ভারতীয় কুটীর শিল্পের পণ্য কেনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তেমনটা হলে দেওয়ালির প্রদীপ কেনাতেই আমাদের আটকে থাকতে হত। আমাদেরকে ঠিক করতে হবে যে কোন কোন জায়গাগুলিতে আমরা দেশের টাকা সাশ্রয় করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে আমাদের স্বনির্ভরতা গড়ে তুলতে হবে। এখন আপনারা দেখুন, প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা উচ্চশিক্ষার নামে আমাদের দেশ থেকে বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা কি সেই অর্থের সাশ্রয় করতে পারি না? ভোজ্যতেল কিনতে বাইরে আমাদের হাজারো কোটি টাকা চলে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কি আমরা স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারি না? আর্থিক ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ মানুষেরা এই সমস্ত প্রশ্নের এবং প্রতিকারের যথাযথ উত্তর দিতে পারবেন। আমি আশা করব, এই ওয়েবিনারে আপনারা নিশ্চিতভাবে এই বিষয়গুলি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বন্ধুগণ, আপনারা বিশেষজ্ঞরা জানেন যে এবারের বাজেটে মূলধনী ব্যয় প্রভূত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। ‘পিএম গতি শক্তি’র ফলে প্রকল্পের পরিকল্পনা এবং রূপায়ণের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব গতি সঞ্চার হয়েছে। বিভিন্ন ভৌগোলিক এবং আর্থিক ক্ষেত্রের অগ্রগতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আজ বেসরকারি ক্ষেত্রগুলির কাছে আমি চাইব সরকারের মতো আপনারাও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুন যাতে দেশ সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে। বন্ধুগণ, বাজেটের পর কর সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অতীতে সর্বত্র এই নিয়ে আলোচনা হত। আমি সেই সময়ের কথা বলছি যখন ভারতে কর-এর হার ছিল অনেক বেশি। আজকের ভারতের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। জিএসটি-র কারণে আয়কর এবং কর্পোরেট কর হ্রাস পাওয়ায় ভারতে কর-এর হার প্রভূত হ্রাস পেয়েছে। জনসাধারণের ওপর এই বোঝাও বহুলাংশে কমে এসেছে। কিন্তু এর আবার একটা অন্যদিক রয়েছে। ২০১৩-১৪-তে আমাদের মোট কর-বাবদ আয় ছিল প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এর বাজেট হিসাব অনুযায়ী মোট কর-বাবদ আয় ২৩ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই বৃদ্ধির হার প্রায় ২০০ শতাংশ। ভারত কর-এর হার কমাচ্ছে তা সত্ত্বেও কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। আমরা কর-এর আওতায় আরও বেশি মানুষকে আনার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছি। ২০১৩-১৪-তে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছিল প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ। ২০২০-২১-এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৫০ লক্ষে। বন্ধুগণ, কর প্রদান একটি দায়িত্ব যা দেশ গড়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কর-এর ক্ষেত্র বিস্তার প্রমাণ করে যে সরকারের ওপর সাধারণ বিশ্বাসের দিককে। তাঁরা এটাও বিশ্বাস করেন যে তাঁদের প্রদেয় কর জনকল্যাণে ব্যয় করা হবে। আর্থিক উন্নতি শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ায় কর-এর ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা আমাদের দায়িত্ব। আপনাদের সমস্ত সংগঠন এবং সদস্য এক্ষেত্রে গঠনমূলক দায়িত্ব পালন করুন। বন্ধুগণ, ভারতের প্রতিভা, পরিকাঠামো ও উদ্ভাবন ক্ষেত্র রয়েছে যা আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে শীর্ষে পৌঁছে দেবে। চতুর্থ প্রজন্মের শিল্পের এই সময়কালে ভারত যে মঞ্চ প্রস্তুত করছে তা সারা বিশ্বের কাছে একটি মডেল হয়ে উঠেছে। জিইএম অর্থাৎ, সরকারি ই-মার্কেটপ্লেস-এর সুবিধা ভারতের দূরবর্তী এলাকায় ক্ষুদ্র দোকানদারকেও তাঁর পণ্য সরকারকে সরাসরি বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ভারত ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাও অভূতপূর্ব। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ডিজিটাল লেনদেন হয়েছে ৭৫ হাজার কোটি। এথেকেই দেখা যাচ্ছে যে ইউপিআই কিভাবে প্রসার লাভ করেছে। রুপে এবং ইউপিআই কেবলমাত্র মূল্য সাশ্রয়ী নয়, সর্বাধিক সুরক্ষিত প্রযুক্তিও বটে। বিশ্বে এটা আমাদের পরিচিতি হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে উদ্ভাবনের প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে যাতে সারা বিশ্বে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সশক্তিকরণে ইউপিআই একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি আর্থিক প্রযুক্তির সঙ্গে যথাসম্ভব বেশি সহযোগিতা গড়ে তুলুন যাতে তার প্রসার ঘটতে পারে। বন্ধুগণ, আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা ছোট পদক্ষেপও দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও দ্রব্য কেনার ক্ষেত্রে বিল না নেওয়া। জনসাধারণ আপাতদৃষ্টিতে এতে দোষ না দেখতে পাওয়ায় বিলের জন্য জোড়াজুড়ি করেন না। যখন অনেক বেশি বেশি মানুষ জানতে পারবেন যে এই বিল নিলে দেশ উপকৃত হতে পারে, তখন দেশের স্বার্থেই সেই ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। আপনারাও তখন নিশ্চিতভাবে এই বিলের জন্যই চাপ দেবেন। আরও বেশি মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলাটা জরুরি। বন্ধুগণ, দেশের প্রত্যেকটি শ্রেণীর প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ভারতের আর্থিক উন্নয়নের সুফল যাতে পৌঁছতে পারে সেই চিন্তা নিয়ে আপনারা সকলে কাজ করুন। এজন্য সুপ্রশিক্ষিত পেশাদারদের এক বিরাট আধার আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আমি চাই, ভবিষ্যৎদর্শী এই পরিকল্পনার প্রত্যেকটি খুঁটিনাটি দিক নিয়ে আপনারা আলোচনা করুন এবং চিন্তাভাবনা করুন। আমি স্থির নিশ্চিত, আর্থিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তিরা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রশংসার মধ্য দিয়ে বাজেটকে ঘিরে এক সদর্থক বাতাবরণ গড়ে তুলেছেন। এখন আপনাদের দায়িত্ব হল এই বাজেট থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দেশ যাতে সর্বাধিক সুবিধা পেতে পারে তা দেখা এবং সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। আপনাদের বিশ্লেষণধর্মী আলোচনার মধ্য দিয়ে নিশ্চিতভাবে নতুন নতুন উদ্ভাবনী চিন্তা এবং সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসবে যা এর সফল রূপায়ণের মধ্য দিয়ে কাঙ্খিত প্রত্যাশা অর্জনে সাহায্য করবে। আপনাদের সকলকে আমার অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে PG/AB/DM/ (
pib-1297
7f7b4799502ea7044c8fadcb4d66d1b4f5ba001a0295b9b4576d6b9692b3a05d_1
ben
তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক অস্কার অ্যাকাডেমির সভাপতি জন বৈইলি ‘ডিজিটাল ডিলেমা’র হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ করলেন নয়াদিল্লি, ২৯ মে, ২০১৯ অ্যাকাডেমি অফ্ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস -এর সভাপতি জন বেইলি মঙ্গলবার দিল্লিতে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে অ্যাকাডেমির প্রকাশন ‘ডিজিটাল ডিলেমা’র হিন্দি সংস্করণ প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব শ্রী অমিত খারে, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সম্পাদক ও অ্যাকাডেমির গভর্নর শ্রীমতী ক্যারল লিটিনটন, সিবিএফসি-র চেয়ারম্যান শ্রী প্রসূন যোশী প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন। ডিজিটাল ডিলেমার হিন্দি ভাষায় ই-সংস্করণ প্রকাশ করে জন বৈইলি বলেন, ভারতে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত মানুষের কাছে আরও বেশি সংখ্যায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে অ্যাকাডেমি প্রকাশনের হিন্দিতে অনুবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের দরুণ চলচ্চিত্র ক্ষেত্রে বহু চ্যালেঞ্জ উপস্হিত হয়েছে। হিন্দি ভাষায় প্রকাশিত এই ই-সংকরণটি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত হতে এবং উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণে সাহায্য করবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন। অস্কার অ্যাকাডেমির সংস্করণটির রচয়িতা মিল্ট শেল্টন এবং অ্যন্ডি মাল্টজ। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে এই সংস্করণটি বহু ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীন চলচ্চিত্র সংস্করণ তথা উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণের সঙ্গে যুক্ত অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ বা জাতীয় চলচ্চিত্র মহাজেফখানা অস্কার অ্যাকাডেমির সঙ্গে ‘ডিজিটাল ডিলেমা’ প্রকাশনাটির হিন্দি ভাষায় অনুবাদের জন্য এক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করে। উদ্দেশ্য হল, দেশে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষের কাছে এই আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া। SSS/BD/NS (Visitor Counter : 183
pib-1298
53b79dd42bbc61507ba2c3f659db6ddad75491f7ed2ea3aec491031c11ccece1_5
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিশিষ্ট অ্যাডভোকেট শ্রী শান্তি ভূষণের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন নয়াদিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিশিষ্ট অ্যাডভোকেট শ্রী শান্তি ভূষণের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন : “শ্রী শান্তি ভূষণজিকে আইনি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এবং অবহেলিত মানুষের জন্য সরব হওয়ার কারণে সকলে মনে রাখবে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকাহত। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ওঁ শান্তি! PG/AP/DM (
pib-1299
f81a0aa472c262932be7252b153e4fc998400f9253977f75bab19f880e6dce0d
ben
PIB Headquarters কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রতিবেদন নতুন দিল্লি, ৩১ মে, ২০২১ ভারতে নতুন করে সংক্রমণ হয়েছে ১.৫২ লক্ষ, ক্রমহ্রাসমান প্রবনতা অব্যাহত দৈনিক নতুন সংক্রমণ গত ৫০ দিনে সবথেকে কম ভারতে নতুন সংক্রমণের হার ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১,৫২,৭৩৮ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। পর পর ৪ দিন ২ লক্ষের কম নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ভারতে সংক্রমিত চিকিৎসাধীনের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন সংক্রমিতের সংখ্যা ৮৮,৪১৬ জন কমে হয়েছে ২০,২৬,০৯২। দেশে মোট সংক্রমিতের ৭.২২ শতাংশ এই মুহুর্তে চিকিৎসাধীন। পর পর ১৮ দিন ভারতে নতুন সংক্রমিতের থেকে আরোগ্য লাভের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ২,৩৮,০২২ জন কোভিড মুক্ত হয়েছেন। এই মহামারীর শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত ২,৫৬,৯২,৩৪২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে জাতীয় কোভিড মুক্তির হার ৯১.৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬,৮৩,১৩৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত ৩৩.৪৮ কোটি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই মুহুর্তে সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ৯.০৪ শতাংশ। অন্যদিকে জাতীয় সংক্রমণের হার ৯.০৭ শতাংশ। বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1723043 রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ২৩ কোটির বেশি টিকার ডোজ পাঠানো হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ১.৭৫ কোটির বেশি টিকার ডোজ রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে কোভিড টিকা সরবরাহ করছে। কারণ কেন্দ্র কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে বিবেচনা করছে। তবে নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমিতদের শনাক্ত করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং যথাযথ কোভিড আচরণবিধিও মেনে চলতে হবে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি চাইলে নিজেরাও কোভিড টিকা সংগ্রহ করতে পারে। দ্রুততার সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযানের তৃতীয় পর্যায় পয়লা মে থেকে শুরু হয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1723045 রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির জন্য অতিরিক্ত আরও ৩০১০০ ভায়েলস এমফোটেরিসিন-বি বরাদ্দ করা হয়েছে- শ্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী শ্রী ডি ভি সদানন্দ গৌড়া আজ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির জন্য ছত্রাক বিনষ্টকারী ওষুধ এমফোটেরিসিন- বি'র অতিরিক্ত আরও ৩০ হাজার ১০০ টি ভায়েলস বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেছেন। বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1723086 কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থা তাদের সদস্যদের জন্য দ্বিতীয় কোভিড-১৯ অগ্রিম দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে কোভিড জনিত অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে গ্রাহকদের সুবিধা দিতে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংস্থা, ইপিএফও আজ তাদের সদস্যদের জন্য অফেরৎযোগ্য অগ্রিম গ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। সরকার জানিয়েছে যে, এই অতিমারির সময় সদস্যের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে অগ্রিম নেওয়ার বিষয়টি ২০২০-র মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এজন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের একটি সংশোধনী কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডস স্কিম-১৯৫২, করা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, অতিমারি চলাকালীন কর্মচারী ভবিষ্যৎ নিধি সংস্থার অধীনে থাকা সদস্যদের জন্য এই অগ্রিম অর্থ বিশেষভাবে সহায়ক হবে। বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1723083 উনচাহারের এনটিপিসি উওর প্রদেশের রায়বেরেলির জেলা প্রশাসনের হাতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তুলে দিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের আওতাধীন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মহারাষ্ট্রের এনটিপিসি কোভিড ১৯ মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে । সংস্থার উনচাহার কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলির জেলা প্রশাসনের হাতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তুলে দিয়েছে । বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1723114 কয়লাখনি প্রকল্পগুলিতে কোভিড ১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করেছে এনটিপিসি বিদ্যুৎ মন্ত্রকের আওতাধীন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা মাহারাষ্ট্রের এনটিপিসি হাজারিবাগে অবস্থিত কয়লাখনি প্রকল্পে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সহায়তাদান করেছে । সংস্থার কর্পোরেট সামাজিক প্রকল্প থেকে ৩০০ শয্যার অক্সিজেন সহায়তাকারী ব্যবস্থাপনা সহ নানান সামগ্রী দান করে কোভিড কেয়ার হাসপাতাল গঠন করেছে । বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1723113 পিআইবি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য – কেরালা – এপর্যন্ত ৯৩,৩৭,৯৫১ জনকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে । নতুন করে ১৯,৮৯৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,৬৪১ । তামিলনাড়ু – রবিবার ২৮,৬৬৪ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৯৩ জনের । রাজ্যে মোট ৮৮,৯১,৫৪৯ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে । কর্নাটক – রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী নতুন করে ২০,৩৭৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৮২ জনের । এপর্যন্ত রাজ্যে ১.৩২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে । অন্ধ্রপ্রদেশ - নতুন করে ১৩,৪০০ জন কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের । মোট ৯৭,৬৬,৭৭৮ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে । রাজ্যে করোনা কার্ফু ১০-ই জুন পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে । তেলেঙ্গানা – ১,৮০১ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একদিনে । মৃত্যু হয়েছে আরও ১৬ জনের । রাজ্যে আরোগ্যলাভের হার ৯৩.৩৪ শতাংশ। অসম – ২৪ ঘন্টায় আরও ৫৫ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে । আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩,২৪৫ জন । সংক্রমণের হার ৪.৫৩ শতাংশ । মণিপুর – ১,০৩২ জন একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন । এখানে সংক্রমণের হার ১৬ শতাংশ । মোট ৩,৮২,৩৫২ জনকে কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে । মেঘালয় – রবিবার ৯৭৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন । এখানে সংক্রমণের হার ৪ শতাংশ । কোউইন-এ নাম নথিভুক্তকারী ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের আগামী সপ্তাহ থেকে টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে । সিকিম – ২৪ ঘন্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে । আক্রান্ত হয়েছে ২৪৬ জন । সুস্থ হয়েছেন ১৩০ জন । ত্রিপুরা – নতুন করে ৮৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ৬ জনের । ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ৮৭৩ জন । নাগাল্যান্ড – রবিবার ১৯২ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩ জনের । মহারাষ্ট্র – মুম্বাই, নবি মুম্বাই, পুণে, নাসিক, ঔরঙ্গাবাদ, নাগপুর সহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জুন পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার । রবিবার ১৮,৬০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ৪০২ জনের । গুজরাট – রবিবার ১,৮৭১ জন নতুন করে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন । এপর্যন্ত ১,৮৩,০৭০ জনকে কোভিড টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে । রাজস্থান – রবিবার ২,২৯৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ৬৬ জনের । মধ্যপ্রদেশ – রাজ্যে আগামীকাল থেকে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে । সংক্রমণের ৩ শতাংশের নীচে নামতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । ছত্তিশগড় – কোভিড ১৯ আক্রান্ত মৃত সংবাদ কর্মীর পরিবারবর্গকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার । গোয়া – রবিবার ৬৪৫ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন । মৃত্যু হয়েছে আরও ২৮ জনের । পাঞ্জাব – ৯,০২,০৭০ জনকে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ এবং ২,৫২,২৬৭ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে । ১৮-৪৪ বছর বয়সী ৪,৫৩,৯৮৭ জনকে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে । হরিয়ানা – মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২১,০৮৭ । এপর্যন্ত ৫৬,৬০,৭৭৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে । চন্ডীগড় – মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২,১৩৪ । মোট মৃত্যু হয়েছে ৭৪৫ জনের । হিমাচলপ্রদেশ – মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৪,৯৪০। এপর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,১১১ জনের । CG/SS/RAB (Visitor Counter : 131
pib-1304
2a437b08626d8b1703e6efc1c04147f66b83e9ed971860563ba24a2e5651fb86
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার ষষ্ঠ বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী ভারতের উদ্যোগ শক্তিকে তুলে ধরেছেন নয়াদিল্লি, ০৫ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচীকে ভারতের উদ্যোগ শক্তিকে তুলে ধরার চলতি প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে অভিহিত করেছেন। স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচীর আজ ছ’বছর পূর্ণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইটে বলেছেন, “ভারত উদ্যোগ শক্তিতে পূর্ণ এবং স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া কর্মসূচী এই ভাবনাচিন্তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং সমৃদ্ধির দিকে চালিত করার চলতি প্রয়াসের একটি অঙ্গ”। CG/SS/SB (
pib-1308
bd13729ded7975afc66315a8dff263dae12df4a4f11fea5f4c4a827320210ff1_1
ben
কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভারসচিবালয় ক্যাবিনেট সচিবের দেশে পেঁয়াজের দাম পর্যালোচনা নতুনদিল্লি, ৩ডিসেম্বর,২০১৯ দেশজুড়ে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির ইস্যু পর্যালোচনা করতে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা গতকাল সচিবদের কমিটির এক বৈঠকে পৌরহিত্য করেন। পেঁয়াজ উৎপাদনকারী প্রধান প্রধান ১১টি রাজ্যের মুখ্য সচিবরা এই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য গুলি কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে, ক্যাবিনেট সচিবকে তা জানানো হয়। সচিব রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেন, খাদ্য ও গণ বন্টন দপ্তর পেঁয়াজ সংগ্রহ করে তা যথাযথ মূল্যে বিক্রি করতে হবে। পেঁয়াজের সাময়িক ঘাটতির জন্য এর দামের ওঠানামা বন্ধ করতে রাজ্যগুলিকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করার নির্দেশও দেওয়া হয়। এছাড়া পেঁয়াজ রপ্তানি এখন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও জানান হয়। Tweeted By @DDNewsLive রাজ্যগুলিকে আরো জানান হয়, প্রয়োজনীয় পেঁয়াজের মজুত রাখতে, ব্যবসায়ীরা কতটা পেঁয়াজ নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন, তাঁর উপর নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কেউ পেঁয়াজ মজুত করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজীব গৌবা জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র ১১হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানীর অনুমতি দিয়েছে। এ মাসের শেষেই এই পেঁয়াজ এসে পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও মিশর থেকে ৬হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। CG/CB (Visitor Counter : 48
pib-1310
a49f2f9975f211aa50f2e3e4a807f835fed125175a46c688373383c4eb5873fa_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর স্কোয়াশে পুরুষদের সিঙ্গলসে রৌপ্য পদক জেতায় সৌরভ ঘোষালের প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি ৫ অক্টোবর (হ্যাংঝৌ এশিয়ান গেমসে স্কোয়াশে পুরুষদের সিঙ্গলসে রৌপ্য পদক জেতায় সৌরভ ঘোষালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “ আমাদের চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় @SauravGhosal-কে স্কোয়াশে পুরুষদের সিঙ্গলসে রূপো জেতায় অভিনন্দন জানাই। তাঁর অসাধারণ নৈপূণ্য, দক্ষতা এবং সংকল্প তাঁকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে। শৃঙ্খলা রক্ষায় অবিচল নিষ্ঠাই বৃহৎ মঞ্চে তাঁর সাফল্যের সাক্ষ্যস্বরূপ”। PG/AB/CS…
pib-1314
8adfdfd822d6292a74fddc1ce19b543e07963fe98b6bb4082e218959b2612ae6_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী গুজরাটের একতা নগরে রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন “ভারতের অর্থনীতি দ্রুত উন্নয়নশীল, যা এদেশের বাস্তুতন্ত্রকে প্রতিনিয়ত শক্তিশালীও করে তুলছে” “আমাদের বনাঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলাভূমিও দ্রুত বাড়ছে” “রাজ্যগুলিতে যতটা সম্ভব বৃত্তীয় অর্থনীতি প্রসঙ্গে উৎসাহদানের জন্য আমি পরিবেশ মন্ত্রীদের আহ্বান জানাচ্ছি” “আমি মনে করি, পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকা হওয়া উচিৎ পরিবেশকে রক্ষা করা, নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করা নয়” “দাবানলের মোকাবিলা করতে প্রত্যেক রাজ্যের প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন” “পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় উৎসাহদানের জন্য রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সহযোগিতাও বজায় রাখতে হবে” “ভারতের উন্নয়নকে ব্যহত করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে শহুরে নকশালরা তাদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে” “এখন পরিবেশ মন্ত্রকের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে, আমি নিশ্চিত যে, এর ফলে প্রকৃতি উপকৃত হবে” “জয় অনুসন্ধান মন্ত্র অনুসরণ করে আমাদের রাজ্যগুলির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারের পরিবেশ রক্ষার জন্য উদ্ভাবনমূলক কর্মকান্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ” “পরিবেশ সংক্র নয়াদিল্লি, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটের একতা নগরে অনুষ্ঠিত রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। এই উপলক্ষে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রীদের একতা নগরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সম্মেলনে স্বাগত জানান। আগামী ২৫ বছরে ভারতের নতুন লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে এই সম্মেলনে তিনি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। সম্মেলনের তাৎপর্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন, জল সংরক্ষণ, পর্যটন এবং আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের স্বার্থ রক্ষার আদর্শ এক উদাহরণ একতা নগরের সর্বাঙ্গীন উন্নয়ন, যা পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগকে নতুন এক মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সৌর জোট, কোয়ালিশন ফর ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ‘লাইফ’ আন্দোলনের মাধ্যমে ভারত পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। পাশাপাশি, এ বিষয়ে দেশ আজ সারা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আজ নতুন ভারত, নতুন ভাবনা এবং নতুন উদ্যোগে এগিয়ে চলেছে। ভারতের দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি দেশের বাস্তুতন্ত্রকে নিরন্তর শক্তিশালী করে চলেছে। আমাদের বনাঞ্চল যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, একই সঙ্গে জলাভূমিও দ্রুত বাড়ছে”। শ্রী মোদী বলেন, আজ সারা বিশ্ব উপলব্ধি করছে যে, ভারত যা অঙ্গীকার করে, তা পালনও করে। “বিগত বছরগুলিতে সিংহ, বাঘ, হাতি, এক শৃঙ্গ গন্ডার এবং লেপার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিন কয়েক আগে মধ্যপ্রদেশে চিতা আবারও ফিরে আসায় নতুন উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে”। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০৭০ সালের মধ্যে দেশকে কার্বন নিঃসরণ মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের উপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী মোদী বলেন, রাজ্যগুলির পরিবেশ মন্ত্রককে এই লক্ষ্য পূরণে সচেষ্ট হতে হবে। “প্রত্যেক রাজ্যের বৃত্তীয় অর্থনীতির বাস্তবায়ন যতটা করা সম্ভব তা করার জন্য আমি পরিবেশ মন্ত্রীদের আহ্বান জানাচ্ছি”। তিনি বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে আমরা একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের হাত থেকে রেহাই পাব। পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্মতৎপরতা একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকলে চলবে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে পরিবেশ মন্ত্রকগুলি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে এসেছে। “আমার মনে হয়, পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকা হওয়া উচিৎ পরিবেশকে রক্ষা করা, নিয়ন্ত্রক হওয়া নয়”। ভেইকেলস্ স্ক্র্যাপিং নীতি এবং ইথানল মিশ্রণের মতো জৈব জ্বালানীর ব্যবহার সহ বিভিন্ন পরিবেশ-বান্ধব উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও, রাজ্যগুলির মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পাশাপাশি, সহযোগিতার পরিবেশও গড়ে তুলতে হবে। ভূ-গর্ভস্থ জলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেসব রাজ্যে জল সম্পদের প্রাচুর্য ছিল, আজ সেইসব রাজ্যও জল কষ্টের সম্মুখীন। তিনি, ব্যক্তি-বিশেষের উন্নয়নের জন্য রাসায়নিক সার ও পদার্থ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষি কাজ করতে উদ্যোগী হতে বলেন। এছাড়াও, জল সঙ্কট দূর করতে অমৃত সরোবরের উপর গুরুত্ব দেন। পরিবেশ মন্ত্রককে এই বিষয়গুলি বাস্তবায়নের উপরও জোর দিতে হবে। “বিভিন্ন রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রকের জনঅংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করা উচিৎ। এখন পরিবেশ মন্ত্রকের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হয়েছে। আমি নিশ্চিত, এর ফলে প্রকৃতিও উপকৃত হবে”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কাজ শুধুমাত্র তথ্য দপ্তর ও শিক্ষা দপ্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে জনসচেতনতাও গড়ে তুলতে হবে। “আপনারা জানেন যে, দেশ জুড়ে জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই নীতিতে অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক শিক্ষাদানের উপর গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে”। শ্রী মোদী বলেন, শিশুদের মধ্যে জৈব বৈচিত্র্য সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং গাছের চারা রোপন করে পরিবেশ রক্ষা করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রককে উদ্যোগী হতে হবে। “আমাদের উপকূল অঞ্চলে বসবাসকারী শিশুদের সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার বিষয়ে পাঠ দান করাতে হবে। শিশু এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পরিবেশ সম্পর্কে আরও সংবেদনশীল হিসাবে গড়ে তুলতে হবে”। ‘জয় অনুসন্ধান’ মন্ত্র অনুসরণ করে আমাদের বিভিন্ন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণাগারগুলিকে উদ্ভাবনমূলক কর্মকান্ডকে পরিবেশ রক্ষার কাছে ব্যবহারের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবেশ রক্ষার জন্য তিনি প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। “বনাঞ্চল সম্পর্কিত গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”। পশ্চিমের দেশগুলিতে বিপজ্জনকভাবে দাবানল বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দাবানলের কারণে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণের নিরিখে ভারতের ভূমিকা যথেষ্ট কম। কিন্তু, আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহারের উপরও তিনি গুরুত্ব দেন। এছাড়াও, আমাদের বন রক্ষীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন, যাতে তাঁরা দাবানলের মোকাবিলা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অতীতে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেতে নানা জটিলতা দেখা দিত। এই প্রসঙ্গে তিনি সর্দার সরোবর জলাধার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। ১৯৬১ সালে পণ্ডিত নেহরু প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগী হন। অথচ, পরিবেশের নামে নানাবিধ চক্রান্তের কারণে এটি বাস্তবায়নে কয়েক দশক লেগেছে। তিনি শহুরে নকশালদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন, যারা দেশের উন্নয়নকে ব্যহত করতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন ও ফাউন্ডেশন থেকে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন। এদের চক্রান্তের কারণে জলাধারের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে অসম্মত হয়। “কখনও মনে হ’ত, এই চক্রান্তগুলির কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত গুজরাটবাসীরই জয় হয়েছে। যে জলাধারকে একটা সময়ে পরিবেশের জন্য বড় বিপদ বলে বর্ণনা করা হ’ত, আজ সেই জলাধার পরিবেশ রক্ষা করছে”। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীদের নিজ নিজ রাজ্যের শহুরে নকশালদের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, প্রায় ৬ হাজারের উপর পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং ৬ হাজার ৫০০টি অরণ্য সংক্রান্ত ছাড়পত্র রাজ্যগুলির কাছে বকেয়া রয়েছে। “প্রতিটি প্রস্তাবের ছাড়পত্র যাতে পাওয়া যায়, সে বিষয়ে রাজ্যগুলিকে উদ্যোগী হতে হবে। এই প্রকল্পগুলি আটকে থাকার ফলে কোটি কোটি টাকার যে ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়টি আপনাদের বুঝতে হবে”। শ্রী মোদী কাজের পরিবেশের পরিবর্তনের উপর গুরুত্ব দেন। এর ফলে, বকেয়া কাজের পরিমাণ হ্রাস পাবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির ছাড়পত্র দ্রুত পাওয়া যাবে। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেবার ফলে ঐ এলাকার উন্নয়নমূলক কাজে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট নিয়মগুলিও মেনে চলতে হবে। “এর ফলে অর্থনীতি ও বাস্তুতন্ত্র – উভয় ক্ষেত্রের জন্য তা লাভজনক হবে। পরিবেশের নামে অহেতুক প্রতিবন্ধকতা গড়ে তোলা বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে, সহজ জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দ্রুত পেলে উন্নয়নমূলক কাজে গতি আসবে”। এ প্রসঙ্গে শ্রী মোদী কয়েক সপ্তাহ আগে দিল্লিতে নবনির্মিত প্রগতি ময়দান সুড়ঙ্গের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। “এই সুড়ঙ্গের ফলে দিল্লিবাসী যানজট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। প্রগতি ময়দান সুড়ঙ্গ প্রতি বছর ৫৫ লক্ষ লিটার জ্বালানী সাশ্রয় করবে”। এর ফলে, প্রতি বছর ১৩ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ কম হবে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই কার্বন শোষণে ৬ লক্ষেরও বেশি গাছের প্রয়োজন হয়। “উড়ালপুল, রাস্তা, এক্সপ্রেসওয়ে অথবা রেল প্রকল্প – এগুলি নির্মাণের মধ্য দিয়ে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কম হয়। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার সময় এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে”। পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার উপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘এক জানালা’ ব্যবস্থাপনা পরিবেশ পোর্টাল ব্যবহারের প্রসঙ্গটি উল্লেখ করেন। এর ফলে, সহজেই ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। “আট বছর আগে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পেতে ৬০০ দিনেরও বেশি লেগে যেত। আর আজ ৭৫ দিনেই তা পাওয়া যায়”। পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলির মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেন। এই কর্মসূচী পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেন। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলির মোকাবিলায় অর্থনীতির উদীয়মান ক্ষেত্রগুলিকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। “একটি পরিবেশ-বান্ধব শিল্প অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে একযোগে কাজ করতে হবে”। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পরিবেশ মন্ত্রকের ভূমিকা শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, এই মন্ত্রক মানুষের অর্থনীতির ক্ষমতায়ন এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। “একতা নগর থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। গুজরাটের কোটি কোটি মানুষকে যে সর্দার সরোবর জলাধার অমৃত দান করছে, তার স্বরূপ এখানে আপনারা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। সর্দার সাহেবের এই সুউচ্চ প্রতিকৃতি একতার জন্য আমাদের অঙ্গীকার পালনে অনুপ্রাণিত করে”। একতা নগরের কেভাডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, কিভাবে বাস্তুতন্ত্র ও অর্থনীতির উন্নয়ন একই সঙ্গে করা যায়, তা এখান থেকে সহজেই উপলব্ধি করা সম্ভব। একই সঙ্গে, পরিবেশকে শক্তিশালী করা, নতুন নতুন কর্মসংস্থান গড়ে তোলা, ইকো টুরিজমের প্রসার ঘটাতে জৈব বৈচিত্র্যকে ব্যবহার করা এবং আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদের সমৃদ্ধির জন্য অরণ্য সম্পদকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে এখান থেকেই ধারনা পাওয়া যায়। অনুষ্ঠানে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র যাদব উপস্থিত ছিলেন। প্রেক্ষাপট সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাবনায় এই সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে পরিবেশ দূষণকে প্রতিহত করতে বহুস্তরীয় ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ-বান্ধব জীবনযাপনের জন্য ‘লাইফ’ উদ্যোগকে যথাযথভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে রাজ্যগুলি যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যার সমাধান করতে পারে, সেই বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি একযোগে কাজ করবে। সম্মেলনে বনাঞ্চল বৃদ্ধি, জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে। ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর দু’দিনের এই সম্মেলনে মূলত ৬টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এগুলি হ’ল – ‘লাইফ’ ব্যবস্থাপনার উপর আলোচনা, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যগুলি যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা, পরিবেশ-বান্ধব সুসংহত ছাড়পত্রের জন্য ‘এক জানালা’ ব্যবস্থাপনা পরিবেশ নিয়ে আলোচনা, অরণ্য সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ সংক্রান্ত আলোচনা এবং প্লাস্টিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। (PG/CB/SB
pib-1315
9b67c2161e32526e3e42ab0be8077fe7624d137263084dd3d430f7a5febcc6b0
ben
সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক চিনির উৎপাদন কমিয়ে শক্তি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের চাহিদার দিকে তাকিয়ে কৃষিতে বৈচিত্র্য আনা হোক : কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়করি মুম্বাই, ২৭ আগস্ট, ২০২২ চিনির বাড়তি উৎপাদন অর্থনীতির ক্ষেত্রে এক সমস্যা। প্রতি বছর পেট্রোপণ্য কিনতে আমাদের ১৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করতে হয়। ফলে শক্তি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে কৃষিতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা জরুরি বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নীতীন গড়করি। আজ মুম্বাইয়ে জাতীয় মন্ডলী পুরস্কারে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শিল্প মহলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বিকল্প জ্বালানীর ওপর আমাদের আলোকপাত করতে হবে। “যদিও জনসংখ্যার ৬৫-৭০ শতাংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল অথচ কৃষিতে বৃদ্ধির হার ১২-১৩ শতাংশ। আখ শিল্প এবং কৃষকরা আমাদের শিল্পের বৃদ্ধির ইঞ্জিন। চিনি থেকে রাজস্ব আদায় বাড়াতে সমন্বয় সাধন করাই হবে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ। শিল্পের কাজ হবে কম চিনি উৎপাদন করে উপজাত পণ্য বেশি করে তৈরি করা। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নেতৃত্বের শক্তিকে ব্যবহার করে জ্ঞানকে সম্পদের রূপ দিতে হবে।” এতে করে কৃষকরা কেবলমাত্র খাদ্য উৎপাদনকারীই নয় বরং শক্তি উৎপাদনকারী হয়ে উঠতে পারবেন বলেও তিনি জানান। মন্ত্রী বলেন, আমাদের যেখানে এ বছর ২৮০ লক্ষ টন চিনির প্রয়োজন ছিল সেখানে উৎপাদন হয়েছে ৩৬০ লক্ষ টনেরও বেশি। ব্রাজিলের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এই বাড়তি উৎপাদনকে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। ইথানল উৎপাদনের দিকে চোখ রেখে আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনতে হবে কেননা, ইথানলের বিরাট প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, “গত বছর ৪০০ কোটি লিটার ইথানল উৎপাদন হয়েছে। ইথানলের উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে আমাদের আরও অনেক উদ্যোগ নিতে হবে। শিল্পকে এখন ইথানলের চাহিদা মাফিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। যেমন পাওয়ার জেনারেটর চালানোর কাজে জৈব ইথানলের ব্যবহার।” মন্ত্রী শিল্প মহলকে জানান, ভারত ফ্লেক্স ইঞ্জিন চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “বাজাজ, হিরো এবং টিভিএস ইতিমধ্যেই ফ্লেক্স ইঞ্জিন তৈরি করছে। অনেক গাড়ি নির্মাতাও তাদের নতুন মডেলের গাড়িতে ফ্লেক্স ইঞ্জিন ব্যবহার করবে বলে আমাদের কথা দিয়েছে।” মন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার গবেষকদের সঙ্গে ইথানলের ক্যালোরি মূল্য নিরূপণে আলোচনা হয়েছে। “ইথানলে ক্যালোরি মূল্য কম। ১ লিটার পেট্রোল ১.৩ লিটার ইথানলের সমান। কিন্তু রুশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেট্রোলের সমপরিমান ক্যালোরি মূল্য নিরূপণ করা যায়।” মন্ত্রী বলেন, জৈব ইথানলে অটো রিক্সা চালানো যায়। নির্মাণ শিল্পক্ষেত্র হিসাবে এর ব্যবহার হয়। বিকল্প জ্বালানী হিসাবে এর ব্যবহার করা সম্ভব। জামার্নীতে জৈব ইথানলে ট্রেন চালানোর প্রযুক্তি রয়েছে। উচ্চ পরিশোধিত ইথানলকে বিমানের জ্বালানী হিসাবেও ব্যবহার করা সম্ভব। তিনি বলেন, “সিএনজি থেকে জৈব সিএনজি সস্তা। ধানের খড়, জৈব পৌর বর্জ্য থেকেও এটা তৈরি করা সম্ভব এবং তা আর্থিকভাবে আকর্ষণীয়ও বটে।” মন্ত্রী বলেন, আখ কাটতে ফসল কাটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। “ফসল কাটার মেশিনে ইথানলকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করলে অর্থনীতির চক্রাকার গতিকে সুনিশ্চিত করা সম্ভব।” মন্ত্রী বলেন, চিনি শিল্পের বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। বিদ্যুতের দামের ক্ষেত্রে সর্বত্র একটা যৌক্তিকতা থাকা দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি মেনে অনেক রাজ্য সরকার দাম দেয়না। এই কারণবশত চিনি শিল্প আর্থিকভাবে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে নেই। মন্ত্রী শিল্প মহলকে বলেছেন এই সমস্যার দিকটিকে উপযুক্ত ফোরামে তোলার জন্য। (PG/AB/NS
pib-1323
6564c2fef43f8ddb3de155fd180e9d22828359228aa764317ab921e8c00f935a_2
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক কোভিড-১৯ টিকাকরণ সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বেসরকারি কোভিড টিকাদান কেন্দ্র গুলির টিকা সংগ্রহ ও তার অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করেছেন কয়েকটি রাজ্যে বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলিতে টিকা ক্রয় এবং তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ধীরগতি 'গভীর উদ্বেগের' কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলির দ্বারা টিকা সংগ্রহ এবং দৈনিকভাবে তা প্রশাসনিক পর্যালোচনার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নতুন দিল্লি, ১৪ জুলাই, ২০২১ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণের পৌরহিত্যে ১৫ টি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব ও টিকাদান সংক্রান্ত অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা আজ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা, অরুণাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে করোনা প্রতিষেধক টিকা উৎপাদনকারী দুটি সংস্থা ভারত বায়োটেক এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। ভারত সরকারের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী সারাদেশে করোনা প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচী সর্বজনীনভাবে করনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুসারে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিতে বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলির টিকা সংগ্রহ সংক্রান্ত এবং প্রশাসনিক অগ্রগতি সম্পর্কে পর্যালোচনা করা হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত গুলিকে টিকার বরাত দেওয়ার জন্য কোউইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার সম্পর্কে পুনরায় অবহিত করা হয়। বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলির মাধ্যমে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার ধীরগতি যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব উল্লেখ করেন। উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের জন্য রাজ্য গুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উদ্বেগের কারণ গুলির মধ্যে রয়েছে- ১) বেশকিছু বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র করোনা প্রতিষেধক টিকার নির্ধারিত পরিমাণের জন্য কোন ইনডেন্ট রাখেনি। অনেক রাজ্যেই বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্রগুলিতে টিকা সংগ্রহের বিষয়টি সহজতর করা প্রয়োজন। টিকাদানের পরিসংখ্যান দৈনিক ভিত্তিতে পর্যালোচনা করার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২) বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলিকে টিকা ক্রয়ের বিষয়ে ইনডেন্ট সময়মতো দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার গুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৩) কয়েকটি রাজ্যে বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্রগুলিকে টিকার কত ডোজ দেওয়া হয়েছে তার পরিমাণ জানানো হয়নি। এটি শীঘ্রই জানানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৪) বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলিতে কত পরিমান টিকা দেওয়া হল এবং কত পরিমাণ অব্যবহৃত অবস্থায় রইল, সে ব্যাপারে তদারকির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলির মাধ্যমে করোনা প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার ধীরগতি তুলে ধরে টিকা সংগ্রহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য রাজ্যগুলিকে আজকের বৈঠকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে কি পরিমান টিকা দিচ্ছে সেটি নাগরিকদের জানানো রাজ্যগুলির কর্তব্য বলে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক কোউইনে ইনডেন্ট স্থাপনের জন্য রাজ্যে এবং বেসরকারি টিকাদান কেন্দ্র গুলির নোডাল অফিসারদের জন্য পাঁচটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। CG/ SB (Visitor Counter : 359
pib-1327
f342c23b5b88c2bef54246b4a640692cc263246411f39cb5233ce69016819619
ben
উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয় উপরাষ্ট্রপতি বলেছেন বিধানসভায় জন প্রতিনিধিরা পূর্ণ সময়ের জন্য কাজ করে থাকেন নতুন দিল্লি, ০৯ জানুয়ারি, ২০২১ বিধানসভার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শ্রী এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, বিধায়ক এবং আইন প্রণয়নকারী সংস্থা সংসদীয় গণতন্ত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা এবং বিশ্বাস বজায় থাকে। বিচারবিভাগীয় এবং প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা ক্ষেত্রে বিধানসভা সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পানাজিতে আজ ‘বিধায়ক দিবস’ উপলক্ষে গোয়া বিধানসভার বর্তমান ও প্রাক্তন বিধায়কদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শ্রী নাইডু জনপ্রতিনিধিদের আইনশৃঙ্খলা মেনে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিধায়কদের সভাকক্ষের ভেতরে ও বাইরে আদর্শ আচরণ বিধি মেনে চলা উচিত এবং কার্যকরি ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। তিনি বিধায়কদের ৬টি বিশেষ আদর্শ মেনে চলার পরামর্শ দেন। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিধানসভা পরিচালন এবং আইন প্রণয়মকারী সংস্থাগুলির এমন কাজ করা উচিত যাতে গণতন্ত্রের ভিত আরও বেশি শক্তিশালী হয়। তিনি বলেন, বিধায়কদের কার্যকরি ভূমিকা সংসদীয় প্রতিষ্ঠানে প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। তিনি আরও জানান, দুর্ভাগ্যক্রমে বেশ কিছু বিধায়ককে বিধানসভার ভেতরে এমন আচরণ করতে দেখা যায় তাতে জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক নেতিবাচক ধারণা গড়ে ওঠে। এই ধরণের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিধায়কদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ও ক্ষমতার উর্ধে উঠে সাধারণ মানুষের মঙ্গল ও কল্যাণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শ্রী নাইডু। তিনি বলেন, জনগণের প্রতিনিধি বিধায়কদের কাজ কখনোই একটি সীমার মধ্যে আবদ্ধ নয় এবং আংশিক সময়ের জন্যও নয়। যাঁদের মানুষের জন্য সময় দেওয়ার নেই তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিধানসভায় না যাওয়াই ভালো বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। আইন প্রণেতাদের ইতিবাচক ভাবধারা থাকা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করে শ্রী নাইডু বলেন, জনপ্রতিনিধিদের অবশ্যই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। এর জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ আরও দৃঢ় করা দরকার রয়েছে। এর পাশাপাশি বিধানসভার ভেরতে ও বাইরে জনপ্রতিনিধিদের সঠিক আচরণ অব্যাহত রাখা, নৈতিক অখণ্ডতার ওপর ভিত্তি করে চরিত্র গঠন, সাধারণ মানুষ এবং অন্যান্য সকল পক্ষের সঙ্গে কার্যকরি যোগাযোগ বজায় রাখা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, বিধায়কদের অবশ্যই বিধানসভার আলোচনা, বিতর্ক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশ নিতে হবে। তবে কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ নাও হতে পারে, তাই বলে সেক্ষেত্রে কখনই বাধা দেওয়া উচিত নয়। বিধানসভার কাজ সব সময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। শ্রী নাইডু বলেন, যে কোনো বিধায়কেরই সরকারকে সমর্থন বা বিরোধিতা করার সুযোগ রয়েছে। বিধানসভায় বিরোধীদের সব কিছু অবহিত করা সরকারের কাজ। সেক্ষেত্রে সব কাজেই বরোধিতা করলে সরকার এবং দেশের ক্ষতি। উপরাষ্ট্রপতি গোয়া সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য এবং উদীয়মান রাজ্য হিসেবে দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থান করে নেওয়ার জন্য ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্ত হওয়ার পর গোয়া উল্লেখযোগ্য সাফল্যলাভ করেছে। এখানে মাথাপিছু আয় এবং সাধারণ মানুষের উন্নতি সূচকে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। শ্রী নাইডু গোয়ার সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন। এই রাজ্য শত বাঁধা পেরিয়ে সুস্থায়ী অর্থনীতির পথে হেটে চলেছে। তথ্য প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তি, স্টার্ট আপ উদ্যোগ ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সুবিধা তৈরি হয়েছে বলেও উপরাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। এদিন অনুষ্ঠানে গোয়ার রাজ্যপাল শ্রী ভগৎ সিং কোশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্ত, গোয়া বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী রাজেশ পাটনেকর, উপ অধ্যক্ষ সহ বিধানসভার একাধিক বিধায়ক ও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
pib-1329
7ed06cf31fa9547fceca14611d912c2b70f0258ef0c6b3b66ffaa306c09abc68_3
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের সমাবর্তনে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডক্টর হর্ষবর্ধনের ডিজিটাল মাধ্যমে সম্ভাষণ নতুন দিল্লী, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন আজ লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের সমাবর্তন উৎসবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে ভাষণ দেন। ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবেও উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন তার ভাষণে লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজের ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এবছর ওই কলেজের ৯৯তম ব্যাচ এমবিবিএস উত্তীর্ণ হয়েছে। যা একটি মাইলফলক বলা চলে। দেশের অন্যতম প্রাচীন এই মেডিকেল কলেজের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন স্বাধীনতার সময় কাল পর্যন্ত দিল্লিতে এটিই ছিল একমাত্র মেডিকেল কলেজ। ১০৪ বছরের প্রাচীন এই মহিলা মেডিকেল কলেজ দেশে মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দেশের গর্ব। এখান থেকে পাশ করে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশ এবং দেশের বাইরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ভারতের প্রথম দশটি মেডিকেল কলেজের মধ্যে লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উল্লেখ করেন। কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে এই মেডিকেল কলেজের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেন, দিল্লিতে এটি সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠান যারা কোভিড চিহ্নিতকরণের জন্য নমুনা নিয়ে আরটি- পিসিআর পরীক্ষা শুরু করেছিল। প্লাজমা থেরাপির ট্রায়ালও এখানেই শুরু হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সমাবর্তন ভাষণে এই মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এই মেডিকেল কলেজের দুর্ঘটনা জরুরী বিভাগের অন্ত ও বহির্বিভাগের কাজ শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী পর্যায়ে নেফ্রলজি, ইউরোলজি, কার্ডিওলজি, কার্ডিওথোরাসিক সার্জারি এবং নিউরো সার্জারির মতো ক্ষেত্রে বিশেষ পরিষেবার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেন, চিকিৎসাশাস্ত্র কেবল পেশা নয় একটি বৃত্তিমূলক শিক্ষা। এই পেশায় পড়াশোনাকে থামিয়ে রাখলে চলবে না, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়িয়ে চলতে হবে। এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ১৯৭ জন কে এমবিবিএস, ১২৯ জন কে পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং সাত জনকে পোস্ট ডক্টরালহ ডিগ্রী প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণ, স্বাস্থ্য বিভাগের মহানির্দেশক ডঃ সুনীল কুমার উপস্থিত ছিলেন।
pib-1333
afd1945f959fceb433a9d9dea2dab4fbebf10c41abc47ac1f749bb9775277fc6_2
ben
সহযোগ মন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতিগুলিকে কম্পিউটার চালিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ নয়াদিল্লি, ২৯ জুন, ২০২২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতিগুলিকে কম্পিউটার চালিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। একগুচ্ছ ট্যুইটে শ্রী শাহ বলেছেন, সমবায় মন্ত্রক গঠনই হোক বা এই ক্ষেত্রের ক্ষমতায়নে গৃহীত সিদ্ধান্ত, প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর ‘সহকার সে সমৃদ্ধি’ কেবল শ্লোগান–ই নয়, বরং এর মাধ্যমে সমবায় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাঁর দৃঢ় সংকল্পই প্রতিফলিত হয়। শ্রী শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ ৬৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি ঋণ সমিতিকে কম্পিউটার চালিত করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই সিদ্ধান্ত সমবায় ক্ষেত্রের সার্বিক বিকাশে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হবে। দূরদৃষ্টিমূলক এই সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে স্থানীয় ভাষায় সফ্টওয়্যারের বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়ে শ্রী শাহ বলেন, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর, সুদ ছাড় সহায়তা কর্মসূচি, শস্য বিমা প্রকল্প তথা সার বীজের যোগানের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সমিতিগুলিকে নোডাল সেন্টার হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। PG/BD/NS (Visitor Counter : 67
pib-1335
bf8fbe4f0bdb0d0c89ba6b0b01e823514601569fad66f5df7127ed97c43f025d
ben
কেন্দ্রীয়লোকসেবাআয়োগ কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী সহকারী কমান্ড্যান্ট লিমিটেড বিভাগীয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ২০২১-এর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নতুন দিল্লি, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ২০২১ সালের ১৪ই মার্চ কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী সহকারী কমান্ড্যান্ট লিমিটেড বিভাগীয় প্রতিযোগিতামূলক লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ১৭-২০ জানুয়ারি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষীয় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মেধা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মোট ২৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ জন সাধারণ শ্রেণী, ৩ জন তপশিলি জাতিভুক্ত এবং ২ জন তপশিলি উপজাতিভুক্ত। ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কার্যালয়ে পরীক্ষা হল সংলগ্ন প্রাঙ্গণে একটি সুবিধা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীরা তাদের নিয়োগ/ পরীক্ষা সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য কর্মদিবসে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে যাচাই করে নিতে পারেন। প্রয়োজনে টেলিফোনও করা যেতে পারে। টেলিফোন নম্বরটি হল – 011-23385271/ 23381125 । কমিশনের ওয়েবসাইটেও এই ফলাফলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। ওয়েবসাইটি হল - www.upsc.gov.in. ফলাফল ঘোষণার তারিখ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত এই তথ্য ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। CG/SS/SKD/ (Visitor Counter : 94
pib-1341
861765b074bd8d49f28ed9cf87c491d66198c31d153240fc68f397db544ff356_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর কুমার চৌকিতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম মহিলা আধিকারিক ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি সেপার্স-এর ক্যাপ্টেন শিবা চৌহানের প্রশংসা করেছেন। তিনি কঠোর প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচিনের কুমার চৌকিতে সক্রিয়ভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম মহিলা আধিকারিক। প্রধানমন্ত্রী ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি সেপার্স-এর একটি পোস্টের জবাবে ট্যুইট করে বলেছেন; “ভারতীয় নারী শক্তির উদ্যমের পরিচায়ক এই ঘটনা সকল ভারতীয়কে গর্বিত করছে।” PG/PM/NS (
pib-1346
aa49b48895bfbac90dd7784895b326b289bcb13405e2a653df649c118daa1a56_1
ben
যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক জাতীয় যুব সংসদ উৎসবের জাতীয় স্তরের ফাইনালের উদ্বোধন করলেন কর্নেল রাজ্যবর্ধন রাঠোর যুবকদের নিজ নিজ শক্তিকে চিহ্নিত করে একটি নতুন ভারত গড়ে তোলার আহ্বান জানান মন্ত্রী নয়াদিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী কর্নেল রাজ্যবর্ধন রাঠোর আজ নতুন দিল্লীর ডঃ আম্বেদকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে জাতীয় যুব সংসদ উৎসবের জাতীয় স্তরের ফাইনালের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেতাদের জাতীয় যুব সংসদ উৎসব ২০১৯ পুরস্কার প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানে কর্নেল রাঠোর রাজ্য স্তরের বিজয়ী যুবক-যুবতীদের অভ্যর্থনা জানিয়ে কর্নেল রাঠোর দেশের যুব সম্প্রদায়কে নিজ নিজ শক্তিকে চিহ্নিত করে একটি নতুন ভারত গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যুবক-যুবতীরা ভারতের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ এবং এই কমবয়সীদের সকলেই কিছু না কিছু বিশেষ গুন রয়েছে। এখন প্রয়োজন হচ্ছে সেই বিশেষ গুনগুলি চিহ্নিত করে তার বিকাশ ঘটানো। তিনি বলেন, জাতীয় যুব সংসদ উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বিভিন্ন সংস্কৃতি ও বিভিন্ন সামাজিক অবস্হান থেকে যুবক-যুবতী অংশ নেন। কিন্তু তাদের সকলেরই একটি পরিচয় এবং সেটি হল তারা ভারতীয় এবং ভারতের তিরঙ্গাকে সকলেই সম্মান করেন। মন্ত্রী বলেন, বৈচিত্র্য ভারতকে আরও সুন্দর ও শক্তিশালী করে তোলে। পুলওয়ামায় নিরাপত্তা রর্ক্ষীদের ওপর কাপুরুষের মতো আক্রমনের প্রসঙ্গ টেনে শ্রী রাঠোর বলেন, শহীদরা বিভিন্ন রাজ্য, জাতি ও ধর্মের মানুষ কিন্তু সকলেই দেশ মাতার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন। শ্রী রাঠোর দেশের নিরাপত্তাবাহিনীগুলির ত্যাগ, নিয়মানুবর্তিতা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের গুনগুলি দেশের যুবক-যুবতীদের গ্রহণ করে নিজেদের জীবনে প্রয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ২৫ কোটিরও বেশি ভারতীয় যুবক-যুবতী ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন, এবং তারা সকলে ডিজিটাল মাধ্যমে ঐক্যের বার্তা প্রচার করতে পারেন। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ও মতের অমিল থাকলেও ঐক্য কখনই দেশকে বিপদের মুখে পড়তে দেবে না বলে শ্রী রাঠোর উল্লেখ করেন। ভারতের উন্নয়নের কাজ এগিয়ে যাবে আমরা যদি নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে একত্রিতভাবে কাজ করি তাহলে, বলেন মন্ত্রী। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের উদ্বোধনের প্রসঙ্গ টেনে কর্নেল রাঠোর বলেন, যারা বীর সেনানীদের মনে রাখেন, তারা কখনই পিছিয়ে পড়েন না। প্রধানমন্ত্রী তাঁর মন কি বাত ভাষণে দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য প্রতিটি জেলায় যুব সংসদ আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা ব্যক্ত করেছেন। এটি দেশের নবীন প্রজন্মকে নতুন ভারত সম্বন্ধে ভাবনা-চিন্তার সুযোগ দেবে এবং ২০২২-এর মধ্যে এই লক্ষ্যপূরণের জন্য পন্হা-পদ্ধতি ও পরিকল্পনা গ্রহণে সাহায্য করবে। গত ১২ই জানুয়ারি ২২ তম জাতীয় যুব উৎসবে তিনি এই বিষয়টি আবারও উত্থাপন করেছিলেন। ন্যাশনাল সার্ভিস স্কিম বা এনএসএস এবং নেহরু যুবকেন্দ্র সংগঠন যৌথভাবে “নতুন ভারতের আওয়াজ হয়ে উঠুন” ও “সমাধান সূত্র বার করে নীতি নির্ধারণে অংশ নিন” শীর্ষক বিষয়ে জাতীয় যুব সংসদ উৎসব ২০১৯-এর আয়োজন করেছে। ১৮-২৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গত ২৪-২৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে ৪৭১টি জেলায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ৫-৭ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে ২৮টি রাজ্যস্তরে যুব সংসদের আয়োজোন থেকে ৫৬ জন প্রাথীকে ফাইনালে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়ন করা হয়। বিজয়ীদের যথাক্রমে ২ লক্ষ, দেড় লক্ষ ও ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার এবং একটি শংসাপত্র প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ৫০ হাজার যুবক-যুবতী বিভিন্ন স্তরে যুব সংসদ উৎসবে অংশ নিয়েছেন। CG/SC/NS (Visitor Counter : 357
pib-1347
beb3639c07b48ab8181aac1be370f2fe7490cf19c5581ccf74c600c724743826
ben
তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা, বৈদেশিক সম্পর্ক এবং জনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ১৬টি ইউটিউব নিউজ চ্যানেল ব্লক করেছে ১০টি ভারতীয় এবং ৬টি পাকিস্তান ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলকে ২০২১-এর তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ব্লক করা হয়েছে ইউটিউট চ্যানেলগুলি ভারতে আতঙ্ক তৈরি, সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য মিথ্যে, অপ্রমাণিত তথ্য ছড়িয়েছে ব্লক করা ইউটিউব ভিত্তিক নিউজ চ্যানেলের দর্শক সংখ্যা ৬৮ কোটিরও বেশি নতুন দিল্লি, ২৫ এপ্রিল, ২০২২ ২০২১-এর তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক চলতি বছরের ২২শে এপ্রিল দুটি পৃথক আদেশের মাধ্যমে ১৬টি ইউটিউব ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল এবং একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ জারি করেছে। ব্লক করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে রয়েছে ৬টি পাকিস্তান ভিত্তিক এবং ১০টি ভারত ভিত্তিক ইউটিউব নিউজ চ্যানেল, যাদের ক্রমবর্ধমান দর্শক সংখ্যা ৬৮ কোটিরও বেশি। দেখা গেছে যে, এই চ্যানেলগুলিকে জাতীয় নিরাপত্তা, ভারতের বৈদেশিক সম্পর্ক, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং জনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়াতে ব্যবহার করা হয়েছে। ২০২১-এর তথ্য প্রযুক্তি আইনের ১৮ নম্বর ধারার অধীনে ডিজিটাল সংবাদ প্রকাশকদের কেউই মন্ত্রকের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেনি। বিষয়বস্তুর ধরণ ভারত ভিত্তিক কিছু ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়বস্তুতে একটি সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে ঘৃণা উস্কে দিয়েছে। এই ধরণের বিষয়বস্তুতে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিক ভারত ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন অপ্রমাণিত খবর এবং ভিডিও প্রকাশ করতে দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কোভিড-১৯ –এর কারণে ভারত জুড়ে লকডাউন ঘোষণা সংক্রান্ত মিথ্যে দাবি করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলা এবং নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য হুমকির অভিযোগ তুলে মনগড়া দাবি ইত্যাদি। এই ধরণের বিষয়বস্তু দেশের জনশৃঙ্খলার জন্য ক্ষতিকারক বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। পাকিস্তান ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলগুলিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী, জম্মু ও কাশ্মীর এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কের বিষয়ে, ভারত সম্পর্কে ভুয়ো খবর পোস্ট করার জন্য সমন্বিত পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই চ্যানেলগুলির বিষয়বস্তুতে জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং দেশের অখণ্ডতা ও অন্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পূর্ণ মিথ্যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা অত্যন্ত সংবেদনশীল। চলতি বছরের ২৩শে এপ্রিল মন্ত্রক বেসরকারি টিভি নিউজ চ্যানেলগুলিকে মিথ্যে দাবি করা এবং পীরাদায়ক শিরোনাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ভারতে সংবাদপত্র, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় নিরাপদ ও সুরক্ষিত তথ্য পরিবেশন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। থাম্বনেইল : ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছে জার্মানি থাম্বনেইল : ভারতে তেল রপ্তানি বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে সৌদি। থাম্বনেইল : তুরস্ক ভারতের S400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে থাম্বনেইল : পাকিস্তান ভারতের ৯০ বিলিয়ন নৌবহর ডুবিয়ে দিয়েছে থাম্বনেইল : ইউক্রেনে ৪০ জন ভারতীয় সেনাকে ফাঁসি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া থাম্বনেইল : আমেরিকা ভারতের কাছে কাশ্মীর দাবি করেছে থাম্বনেইল : ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর টানা হামলায় ২৪টি রাজ্য আলাদা হতে পারে। থাম্বনেইল : এমবিএস-এর বড় ঘোষণা, সমস্ত ভারতীয়কে সরিয়ে নিয়ে আসার নির্দেশ। ব্লক করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিশদ বিবরণ ইউটিউব চ্যানেলগুলি | | ক্রমিক সংখ্যা | | ইউটিউব চ্যানের নাম | | মিডিয়া পরিসংখ্যান | | ১ | | সায়নী এডুকেশন রিসার্চ | | ৫,৮৭০,০২৯ দর্শক ৫৯,৭০০ সাবস্ক্রাইবার | | ২ | | হিন্দি মে দেখো | | ২৬,০৪৭,৩৫৭ দর্শক ৩,৫৩,০০০ সাবস্ক্রাইবার | | ৩ | | টেকনিক্যাল যোগেন্দ্র | | ৮,০১৯,৬৯১ দর্শক ২,৯০,০০০ সাবস্ক্রাইবার | | ৪ | | আজ তে নিউজ | | ৩,২৪৯,১৭৯ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ৫ | | এসবিবি নিউজ | | ১৬১,৬১৪,২৪৪ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ৬ | | ডিফেন্স নিউজ ২৪x৭ | | ১৩,৩৫৬,৭৩৭ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ৭ | | দ্য স্টাডি টাইম | | ৫৭,৬৩৪,২৬০ দর্শক ৩,৬৫,০০০ সাবস্ক্রাইবার | | ৮ | | লেটেস্ট আপডেট | | ৩৪,৩৭২,৫১৮ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ৯ | | এমআরএফ টিভি লাইভ | | ১,৯৬০,৮৫২ দর্শক ২৬,৭০০ সাবস্ক্রাইবার | | ১০ | | তাহাফুজ-ই-দিন ইন্ডিয়া | | ১০৯,৯৭০,২৮৭ দর্শক ৭,৩০,০০০ সাবস্ক্রাইবার | | | | মোট | | দর্শক : ৪২,২০,৯৫,১৫৪ ২৫,৫৪,৪০০ সাবস্ক্রাইবার | | পাকিস্তান ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেলগুলি | | ১১ | | আজ তক পাকিস্তান | | ৬.০৪,৩৪২ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ১২ | | ডিসকভার পয়েন্ট | | ১০,৩১৯,৯০০ দর্শক ৭০,৬০০ সাবস্ক্রাইবার | | ১৩ | | রিয়্যালিটি চেকস | | ২,২২০,৫১৯ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ১৪ | | কায়সার খান | | ৪৯,৬২৮,৯৪৬ দর্শক ৪,৭০,০০০ সাবস্ক্রাইবার | | ১৫ | | দ্য ভয়েস অফ এশিয়া | | ৩২,৪৩৮,৩৫২ দর্শক সাবস্ক্রাইবার : পাওয়া যায়নি | | ১৬ | | বোল মিডিয়া বোল | | ১৬৭,৬২৮,৯৪৭ দর্শক ১,১,৬০,০০০ সাবস্ক্রাইবার | | | | মোট | | দর্শক : ২৬,২৮,৪১,০০৬ সাবস্ক্রাইবার : ১৭,০০,৬০০ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট | | ক্রমিক সংখ্যা | | ফেসবুক অ্যাকাউন্ট | | অনুগামীর সংখ্যা | | ১ | | তাহাফুজ-ই-দিন মিডিয়া সার্ভিসেস ইন্ডিয়া | | ২৩,০৩৯ CG/SS/SKD/ (Visitor Counter : 332
pib-1350
7cb87bea95b2592ee68a9db7bb29bfa81694aef3ed17aab02485a48f9f4179db_3
ben
বস্ত্রমন্ত্রক এসআইপিটি-র আওতায় ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি টাকার প্রথম দুটি প্রকল্পের ৯০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন দিল্লি, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দেশজুড়ে অত্যাধুনিক বস্ত্র শিল্পের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে উৎসাহ দেবার জন্য কেন্দ্র শিল্পোদ্যোগীদের আর্থিক সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সব নতুন প্রতিষ্ঠানগুলিতে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ এবং সামাজিক সুরক্ষা থাকতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বস্ত্র শিল্পে বেসরকারি বিনিয়োগ হবে, নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। ২০০৫ সাল থেকে কেন্দ্র শিল্প তালুক গড়ে তোলার জন্য স্কিম ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কস কর্মসূচির বাস্তবায়ন করছে। প্রতিটি শিল্প তালুকের জন্য একটি করে বিশেষ ব্যবস্থাপনা বা স্পেশাল পারপাস ভেহিকেল গড়ে তোলা তোলা হয়েছে। কোম্পানি আইনের আওতায় এই এসপিভিগুলির নথিভুক্তিকরণের প্রয়োজন। সাধারণ পরিকাঠামো ও উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ হবে তার ৪০ শতাংশ কেন্দ্র বহন করবে। তবে, যে সব প্রকল্প নির্মাণে সর্বোচ্চ ব্যয় হবে ৪০ কোটি টাকা, সেগুলিকেই এই সাহায্য দেওয়া হবে। অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর ౼ এই ১২টি রাজ্যে/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি টাকার প্রথম দুটি প্রকল্পের ৯০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সাতটি পিএম মিত্র পার্ক গড়ে তুলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৭-২৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ৭ বছর ধরে এই প্রকল্পে ৪,৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। দেশজুড়ে বস্ত্র শিল্পের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের জন্য পিএম মিত্র পার্ক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। যেসব রাজ্য এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী হবে, তাদের আইনি জটিলতা মুক্ত ১ হাজার একর বা তার বেশি জমি দিতে হবে। ওই জমিতে এই শিল্প গড়ে উঠবে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের এই প্রকল্পে মূলধন সংক্রান্ত সহযোগিতা বাবদ মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র সাহায্য হিসেবে দেবে। গ্রীণ ফিল্ড প্রকল্পে সর্বোচ্চ ৫০০ কোটি টাকা এবং ব্রাউন ফিল্ড প্রকল্পে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা সহায়তা বাবদ দেওয়া হবে। ২০২২-এর ১৫ই মার্চ-এর মধ্যে পিএম মিত্র পার্কগুলি গড়ে তোলার জন্য সব রাজ্যের মুখ্য সচিবকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতী দর্শনা জারদোস। CG/CB/SKD/ (Visitor Counter : 84
pib-1354
7249908ad7b393af8746a3c9b3c7e401f95de785fc96f3c6bc53536d1a16bb8c_2
ben
নারীওশিশুবিকাশমন্ত্রক মহিলা ও শিশুবিকাশ মন্ত্রক সমস্ত শিশু সেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলির নথীভুক্তির জন্য রাজ্যসরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে নয়াদিল্লি, ১৬ জুলাই, ২০১৮ মহিলা ও শিশুবিকাশ মন্ত্রি শ্রীমতি মানেকা সঞ্জয় গান্ধী দেশের শিশু সেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলির নথীভুক্তির জন্য রাজ্যসরকারগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন। একমাসের মধ্যে এইসব প্রতিষ্ঠানকে সেন্ট্রাল অ্যাডপশেন রিসোর্সেস অথরিটি -র সঙ্গে যুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ঝাড়খন্ডে সম্প্রতি মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বেআইনী দত্তক সংক্রান্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে শ্রীমতি মানেকা সঞ্জয় গান্ধী সারা দেশে মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজ-এর শিশু সেবা কেন্দ্রগুলি পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। CG/PB/NS/… (Visitor Counter : 61
pib-1356
d09b3fa40771d54bdfcd70b27aa6d1a350b1bf3ea179b4b35b9c00600445ab46_1
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক ড:হর্ষ বর্ধন, রাজস্থানে দুটি নতুন মেডিকেল কলেজ এবং তিনটি সুপার স্পেশালিটি ব্লক জাতির প্রতি উৎসর্গ করেছেন "বাজপেয়ীজীর, জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতি" পূরণে সহযোগিতা মূলক যুক্তরাষ্ট্রবাদের প্রশংসা করেন ড:হর্ষ বর্ধন নতুন দিল্লী, ২৬শে অগাস্ট, ২০২০ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড:হর্ষ বর্ধন এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলট ডিজিটাল মাধ্যমে দুটি নতুন মেডিকেল কলেজ ও তিনটি সুপার স্পেশালিটি ব্লকের উদ্বোধন করেছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। ভিল্ওয়রার, রাজমাতা বিজয়া রাজে সিন্ধিয়া মেডিকেল কলেজ এবং ভরতপুর মেডিকেল কলেজকে আজ জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত করা হয়। পাশাপাশি কোটার সরকারি মেডিকেল কলেজ,বিকানিরের সর্দার প্যাটেল মেডিকাল কলেজ এবং উদয়পুরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মেডিকেল কলেজে তিনটি সুপার স্পেশালিটি ব্লক যোগ করা হয়। এই প্রকল্পের জন্য যৌথ ভাবে ৮২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি মেডিকেল কলেজের প্রতিটির জন্য ১৫০ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করা হয়। এই কলেজগুলিতে অস্নাতক স্তরের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১৫০টি করে আসন রয়েছে। ভরতপুর মেডিকাল কলেজে ৩৪টি আই সি ইউ সহ ৫২৫টি শয্যা এবং আর ভি আর এসে ১২টি আই সি ইউ সহ ৪৫৮টি শয্যা থাকবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর বক্তব্যে ড:হর্ষ বর্ধন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংস্কারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ভারতের মেডিকাল কাউন্সিলের বদলে সংসদে আইন প্রণয়ন করে নতুন ন্যাশনাল মেডিকাল কমিশন গঠন করা হয়েছে।যা দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রের শিক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানে পৌছে দিতে সাহায্য করবে। গত পাঁচ বছরে দেশে ১৫৮টি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন গত পাঁচ বছরে এম বি বি এস স্তরে প্রায় ২৬,০০০ আসন এবং স্নাতকোত্তর স্তরে প্রায় ৩০,০০০ আসন যোগ করা সম্ভব হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, চিকিৎসা শিক্ষার উন্নতমানের লক্ষ্যে গোটা দেশে একটিই প্রবেশিকা পরীক্ষা এন ই ই টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়ম বদল করে রাজ্যস্তরে কমন কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেডিকালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে তিনি জানান। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অন্যান্য সহযোগী শিক্ষার জন্য নতুন "দি ন্যাশনাল কমিশন ফর এল্যায়েড এন্ড হেল্থকেয়ার প্রফেশনাল বিল"আনা হচ্ছে। এই বিল অনুমোদিত হলে স্বাস্থ্য বিষয়ক পেশার সঙ্গে যুক্ত ৫০টি ক্ষেত্রের পেশার শূন্যস্থান পূরণ সম্ভব হবে বলে ড:হর্ষ বর্ধন জানান। ২২টি নতুন এইমস গঠনে দ্রুত প্রক্রিয়া চলছে বলে ড:হর্ষ বর্ধন বলেন,যার মধ্যে ৬টি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে, ১৪টিতে এম বি বি এস এর পড়াশুনাও শুরু হয়েছে। শ্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য "সর্বে সান্তু নিরাময়া"র লক্ষ্যে ভারত এক কদম অগ্রসর হওয়ায় তিনি খুশি। মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলট, কোভিড-19 সঙ্কটকালে রাজস্থানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে ড:হর্ষ বর্ধন, প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী "বাজপেয়ীজীর জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতি" পূরণে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রবাদের প্রশংসা করেন ড:হর্ষ বর্ধন। ২০০৩ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি আঞ্চলিক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ভারসাম্য গড়ে তুলতে আরও এইমস গঠন এবং আঞ্চলিক মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সুপার স্পেশালিটি ব্লক গড়ে তোলার কথা বলেন। ক্যাবিনেট স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী রঘু শর্মা, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড: সুভাষ গর্গ এবং রাজস্থান মন্ত্রীসভার একাধিক মন্ত্রী আজকের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শ্রী গুলাব চাঁদ কাটারিয়া সহ বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।স্বাস্থ্য সচিব শ্রী রাজেশ ভূষণও আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। (CG/PPM
pib-1357
07d1e0a9da07d92e216298a595f9b2bca3906d61b93e3a5935f362b55f12accd_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়ক শ্রী লক্ষ্মন জগতাপ-এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি, ০৩ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়ক শ্রী লক্ষ্মন জগতাপ-এর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটে বলেন; “মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিধায়ক শ্রী লক্ষ্মন জগতাপ-এর প্রয়াণে আমি মর্মাহত। পুনে ও সংলগ্ন এলাকার উন্নয়নে এবং জনগণের উন্নতির জন্য তাঁর বিশাল ভূমিকা ছিল। শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও সমর্থকদের জানাই সমবেদনা। ওঁ শান্তি।” PG/PM/NS (
pib-1358
9c42418621488051c0633e3d31e981cf16acd0a90a04560f9d56ef22022d0374_3
ben
বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ইউআইডিএআই সারা দেশে ১২২ শহরে ১৬৬টি আধার নথিভুক্তিকরণ ও আপডেট কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা করেছে; এই কেন্দ্রগুলিতে কেবল আধার সম্পর্কিত কাজ হবে বর্তমানে ৫৫টি আধার সেবা কেন্দ্র চালু রয়েছে; এখনও পর্যন্ত ৭০ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা নতুন দিল্লি, ২ অক্টোবর, ২০২১ ভারতের অভিন্ন পরিচিতি কর্তৃপক্ষ সারা দেশে ১২২টি শহরে ১৬৬টি আধার নথিভুক্তিকরণ ও আপডেট কেন্দ্র খোলার যে পরিকল্পনা করেছে তার অঙ্গ হিসেবে ৫৫টি আধার সেবা কেন্দ্র ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ডাকঘর ও রাজ্য সরকারগুলির পক্ষ থেকে প্রায় ৫২ হাজার আধার নথিভুক্তকরণ কেন্দ্র রয়েছে। আধার সেবা কেন্দ্র সপ্তাহের সব দিন খোলা থাকে এবং দিব্যাঙ্গ ব্যক্তি সহ ৭০ লক্ষের বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আধার সেবা কেন্দ্রে দৈনিক এক হাজার নাম নথিভুক্তিকরণ ও আপডেট সম্পর্কিত অনুরোধ গ্রহণ করা সম্ভব। এই আধার সেবা কেন্দ্রগুলি দৈনিক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। কেবল সরকারি ছুটির দিনগুলিতে আধার সেবা কেন্দ্রগুলিও বন্ধ থাকে। আধার নথিভুক্তিকরণের জন্য কোন মাশুল লাগে না। তবে, ডেমোগ্রাফিক আপডেট করার জন্য ৫০ টাকা এবং বায়োমেট্রিক আপডেটের জন্য ১০০ টাকা মাশুল দিতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে চালু এধরণের আধার সেবা কেন্দ্রের সংখ্যা চার। এর মধ্যে হাওড়া, কলকাতা, নদীয়ার কৃষ্ণনগর ও শিলিগুড়িতে একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। আধার সেবা কেন্দ্রগুলিতে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায় এবং এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নথিভুক্তিকরণ বা বর্তমান আধার কার্ডে সংযোজন ও সংশোধনের সময় দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার ফলে আধার সম্পর্কিত যাবতীয় কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হচ্ছে। বর্তমানে চালু আধার সেবা কেন্দ্রগুলি বাতানুকূল এবং দিব্যাঙ্গ ব্যক্তি সহ সাধারণ মানুষের বসার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় আসন রয়েছে। CG/BD/AS/ (Visitor Counter : 189
pib-1360
7ac573e14db390c209d8bef5c5c92d8bfef96ef52b8686a064139611931cfa48
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর মেঘালয়ের আনারসের দেশে বিদেশে প্রাপ্য পরিচিতি পাওয়ার খবরটি আনন্দদায়ক : প্রধানমন্ত্রী নতুন দিল্লি, ১৯ আগস্ট , ২০২৩ (প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, মেঘালয়ের আনারস দেশে বিদেশে তার প্রাপ্য পরিচিতি পাওয়ায় তিনি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছেন। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কে সাংমা নতুন দিল্লির 'দিল্লি হাট'-এ আনারস উৎসব সম্পর্কে এক্স থ্রেডে যে পোষ্ট করেছেন, তার প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; "মেঘালয়ের আনারস দেশে বিদেশে তার প্রাপ্য পরিচিতি পাওয়ার খবরটি আনন্দদায়ক। এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের বৈচিত্রপূর্ণ কৃষি ঐতিহ্যকে স্বীকৃতিই দেয় না, এর মাধ্যমে আমাদের কৃষকদেরও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়।" AC/CB/AS
pib-1362
4148d8bd68a4b5d95da420a7b2ea836e07b8d05ea28a0d6881f0c28ccdcdc8ca_1
ben
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সুরাট মেট্রোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আমেদাবাদ মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের সূচনা করায় এই দিনটি দুটি শহরের জন্যই খুব তাৎপর্যপূর্ণ নতুন দিল্লি, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী সুরাট মেট্রোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আমেদাবাদ মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের সূচনা করায় এই দিনটি দুটি শহরের জন্যই খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন দিল্লি থেকে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই দুটি প্রকল্পের সূচনা করেন। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। শ্রী শাহ তাঁর ভাষণে বলেন, গুজরাটের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে এই দুটি প্রকল্প আরও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, শ্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় তিনি ওই রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সচেষ্ট হয়েছিলেন। এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, শ্রী মোদী আবার যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তার হাতেই উচ্চাভিলাষী এই প্রকল্প দুটি বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এ দুটি প্রকল্প আমেদাবাদ এবং সুরাট শহরের মানুষের জন্য উপহার স্বরূপ বলে তিনি মন্তব্য করেন। শ্রী অমিত শাহ বলেন, একটি রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন কিভাবে করা সম্ভব তা শ্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের কাছে একটি উদাহরণ স্বরূপ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশ্বাস করেন। দেশের সার্বিক উন্নয়ন তা পূর্ব অথবা পশ্চিম হোক কিংবা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত অঞ্চল হোক অথবা পূর্ব-পশ্চিম অংশের হোক সব ক্ষেত্রেই তিনি সচেষ্ট হয়েছেন। সারা দেশ জুড়েই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করছেন। এই সাড়ে ছয় বছরের মধ্যে রেল ব্যবস্থা ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পূর্বে সারাদেশে কেবল মাত্র পাঁচটি শহরে মেট্রোরেলের আড়াইশো কিলোমিটার রেল পথ ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে ১৮ টি শহরে ৭০২ কিলোমিটার হয়েছে। গুজরাটে সফলভাবে বিআরটিসি চালু করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ নরেন্দ্র মোদীর বলে তিনি মন্তব্য করেন।
pib-1369
fdf93f4e5ba29b6299addc5cb1bd94bf457fa5fb8a2c62da1795e32fd2d9c9eb
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক ভারতে কোভিড-১৯ টিকাকরণ ১৭৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ লক্ষ ২৩ হাজারেরও বেশি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.৭০ শতাংশ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ১৮৪ দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৪৮৮ সাপ্তাহিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের হার ০.৫৮ শতাংশ নয়াদিল্লি, ১০ মার্চ, ২০২২ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ টিকাকরণের সংখ্যা ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৩২৯। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, মোট টিকাকরণের সংখ্যা ১৭৯ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৪৯। মোট টিকাকরণের পরিসংখ্যান নিম্নরূপ: | | স্বাস্থ্য কর্মী | | প্রথম ডোজ দ্বিতীয় ডোজ প্রিকশন ডোজ | | ১,০৪,০২,৩৭৫ ৯৯,৮০,২১৮ ৪২,৭৯,৭৪৭ | | অগ্রভাগে থাকা করোনা-যোদ্ধা | | প্রথম ডোজ দ্বিতীয় ডোজ প্রিকশন ডোজ | | ১,৮৪,১১,০৩৭ ১,৭৪,৬৮,৯৩৬ ৬৪,৭৭,৫৭৮ | | ১৫-১৮ বছর বয়সী | | প্রথম ডোজ দ্বিতীয় ডোজ | | ৫,৫৬,৫৪,৮৭৬ ৩,২৪,৯৮,৪৮১ | | ১৮-৪৪ বছর বয়সী | | প্রথম ডোজ দ্বিতীয় ডোজ | | ৫৫,২৯,৭২,৬৩৯ ৪৫,২৫,৫২,২৭০ | | ৪৫-৫৯ বছর বয়সী | | প্রথম ডোজ দ্বিতীয় ডোজ | | ২০,২৪,৬৭,৫৬৮ ১৮,২০,৭৪,৯৪৯ | | ৬০ বছরের বেশি বয়সী | | প্রথম ডোজ দ্বিতীয় ডোজ প্রিকশন ডোজ | | ১২,৬৫,৫২,৪৬৮ ১১,৩৩,৯৩,৮৫৩ ১,০৯,০৮,৬৫৪ | | | | প্রিকশন ডোজ | | ২,০৯,৬৫,৯৭৯ | | মোট | | | | ১,৭৯,৫৩,৯৫,৬৪৯ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৪ জন। এর ফলে, মহামারী শুরুর সময় থেকে মোট আরোগ্যলাভের সংখ্যা ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ২০ হাজার ১২০। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৮.৭০ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৪ জন। দেশে সুস্পষ্টভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৪৪ হাজার ৪৮৮ হয়েছে, যা মোট আক্রান্তের ০.১০ শতাংশ। দেশে একদিকে যেমন নমুনা পরীক্ষার পরিকাঠামো বেড়েছে, তেমনই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯৭৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে, সামগ্রিকভাবে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৭৭ কোটি ৬০ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৪৫। দেশে একদিকে যখন নমুনা পরীক্ষার হার লাগাতার বেড়েছে, অন্যদিকে তখন সাপ্তাহিক-ভিত্তিতে আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছে ০.৫৮ শতাংশ। একইভাবে, দৈনিক আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছে ০.৪৮ শতাংশ। CG/SS/SB (Visitor Counter : 98
pib-1373
35a5d6e738eac0c14f3df0900be10b43e9f4a650d77dca30bccc653ac3ba4e4f_3
ben
শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েলের শিল্প ও বণিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক নয়াদিল্লি, ২৭ মে, ২০২০ কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শিল্প ও বণিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর এটি ছিল এ ধরনের পঞ্চম বৈঠক। এই বৈঠকে লকডাউনের প্রভাব এবং বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ ও অর্থনীতিকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শিল্প মহলের বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ নেওয়া হয়। শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী সোম প্রকাশ ও শ্রী হরদীপ সিং পুরী এবং মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা এই বৈঠকে যোগ দেন। বণিক সংগঠন সিআইআই, ফিকি, অ্যাসোচেম, ন্যাসকম, পিএইচডিসিআই, সিএআইপি, ফিসমে, লঘু উদ্যোগ ভারতী, সিয়াম, এসিএমএ, আইএমটিএমএ, সিকি, এফএএমটি, আইসিসি ও ইমা-র প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। শ্রী গোয়েল বলেন, কোভিড-পরবর্তী সময়ের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে এবং ভালো পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্ব শক্তিতে পরিণত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ‘জান ভি, জাহান ভি’ মন্ত্রের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির খারাপ সময় চলে গেছে। ভবিষ্যৎ আমাদেরই, এবং তা উজ্জ্বল। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর প্রচারের মাধ্যমে দেশ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর ভারত কোন অন্তর্মুখী, সঙ্কুচিত বা বিদেশি বিরোধী উদ্যোগ নয়, বরঞ্চ প্রত্যয়ী,স্বনির্ভর, যত্নশীল এক দেশের ধারণা এখান থেকে প্রতিফলিত হয়, যার মাধ্যমে সমাজের সমস্ত স্তরের এবং দেশের প্রতিটি অংশে উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। শ্রী গোয়েল বলেন, উদার অর্থনীতির পরবর্তী তিন দশকে দেশের উন্নয়ন ছিল শহর-কেন্দ্রিক। গ্রাম এবং পশ্চাৎপদ এলাকাগুলি অবহেলার শিকার হওয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থান ও নতুন নতুন সুযোগের জন্য শহরে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আত্মনির্ভর ভারত ১৩০ কোটি দেশবাসীর চেতনাকে উদ্বুদ্ধ করে। এটি দেশীয় কোম্পানিগুলিকে সাহায্য করবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আজও আসবাবপত্র, খেলনা, ক্রীড়া সামগ্রী ও জুতোর মতো জিনিস আমাদের বিদেশ আমদানি করতে হয়। অথচ, দেশে প্রযুক্তিগত ক্ষমতা ও দক্ষ শ্রমশক্তি রয়েছে। এগুলির হাত ধরে পরিবর্তনের প্রয়োজন। শ্রী গোয়েল স্থিতিশীল ও নতুন নতুন চিন্তাভাবনার জন্য শিল্প মহলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর মোকাবিলা করার জন্য সরকার এককভাবে নয়, সারা দেশকেই এক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে হবে। শিল্প ও বাণিজ্য মহলের বিভিন্ন পরামর্শ যথাযথ বিবেচনা করে সেগুলি প্রকৃত চাহিদা মেটাতে সঠিক সময়ে প্রয়োগ করা হবে বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন। (CG/CB/DM
pib-1377
d5f0bc82d3c64de90b46cb4e255be2a0d7e7613ec67a93ef1da7eade1f694167_3
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক ভেষজ গুণসম্পন্ন গাছের সংরক্ষণ নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর, ২০১৯ ভেষজ গুণসম্পন্ন গাছগাছালির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও যথাযথ দেখভালের জন্য আয়ুষ মন্ত্রক জাতীয়স্তরে একটি কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। কর্মসূচির আওতায় ভেষজ গুণসম্পন্ন গাছ রোপণ, বনাঞ্চল থেকে প্রয়োজনীয় গাছ বা গুল্ম সংগ্রহ-সহ সারা দেশে ভেষজ উদ্যান গড়ে তুলে এ ধরনের গাছের সংরক্ষণ ও উন্নতি-সাধন। এছাড়াও, আয়ুষ মন্ত্রক জাতীয় স্তরের ঐ কর্মসূচির আওতায় উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি-তে আঞ্চলিক আয়ুর্বেদ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ‘ন্যাশনাল র ড্রাগ রিপোজিটরি’ সংক্রান্ত একটি গবেষণামূলক উদ্যোগেও সহায়তা দিচ্ছে। দেশে ভেষজ গুণসম্পন্ন গাছগাছালির সংরক্ষণ তথা প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ২০১৮-১৯ – এ ২৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যসভায় মঙ্গলবার এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে। SSS/BD/SB (Visitor Counter : 57
pib-1381
92c1427337d2ce286a168a34ce044e39d3889035bff373592f119929218b1441_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর ইন্দোনেশিয়ার মধ্য সুলাওয়েশি’তে সুনামি ও ভূমিকম্পে মৃত্যু ঘটায় প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ নয়াদিল্লি, ০১ অক্টোবর, ২০১৮ ইন্দোনেশিয়ার মধ্য সুলাওয়েশি’তে সুনামি ও ভূমিকম্পের ফলে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন “এই কঠিন সময়ে ভারত তার উপকূলবর্তী প্রতিবেশী দেশের পাশেই রয়েছে।” CG/SC/NS/… (Visitor Counter : 70
pib-1384
30361c73260740719d7ea6a180aa03c4167b23f226cc01552ecb2f2dafe0c6e1_3
ben
যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক মিশন অলিম্পিক সেল সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদরা ভালো ফলাফলের জন্য পরামর্শ দিতে পারেন : শ্রী অনুরাগ ঠাকুর নতুন দিল্লি, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ মূল বিষয় সমূহ-ক্রীড়ামন্ত্রী পুনর্গঠিত মিশন অলিম্পিক সেলের বৈঠকে ভাষণ দেন, যার মধ্যে নতুন সদস্য হিসেবে সাতজন প্রাক্তন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় ছিলেনসরকার খেলাধুলায় অর্থ ব্যয় করতে কোনরকম দ্বিধা করছে না এবং বাজেট বাড়াতেও দ্বিধা করবে না : শ্রী ঠাকুর যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বলেছেন যে, মিশন অলিম্পিক সেল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ক্রীড়া ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণে মহান দায়িত্ব নিতে পারে। যাতে ভারতীয় দল প্যারিসে ২০২৪-এ আরো ভালো ফল করতে পারে। নতুন সদস্য হিসেবে সাতজন প্রাক্তন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় সহ পুনর্গঠিত মিশন অলিম্পিক সেলের উদ্দেশ্যে শ্রী ঠাকুর বলেন, টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিম কি ধরনের টার্গেট নিয়েছে তা পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। তিনি অলিম্পিক গেমস, এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসের মতো বড় ইভেন্টগুলিতে প্রকাশ করার জন্য পারফরমেন্সের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সদস্যদের এমন কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া উচিত যা প্যারিসে অলিম্পিক গেমসে ভারত কে আরো ভালো ফল করতে সাহায্য করবে। মিশন অলিম্পিক সেলে অংশ নেওয়ার জন্য সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন যে, তিনি নিশ্চিত যে ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিক এর প্রতি লক্ষ্য রেখে সদস্যরা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রক কে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে পরের বছরের কমনওয়েলথ গেমস এশিয়ান গেমস এর কথা মনে রাখবে। শ্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান যে, সরকার খেলাধুলায় অর্থ ব্যয় করতে দ্বিধা করছে না এবং বাজেট বাড়াতেও দ্বিধা করবে না। সাতজন নতুন সদস্য যোগ দানের ফলে মিশন অলিম্পিক সেলে প্রাক্তন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ের সংখ্যা আট জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান অ্যাথলেটিক ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সভাপতি শ্রী আদিল জে সুমারিওয়ালা একজন অলিম্পিয়ান। পুষ্পেন্দু ঘর একজন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় হওয়ায় অর্ধেকেরও বেশি এম ও সি তে ভারতের রং পড়েছে। সেলে নতুন যোগদানকারীরা হলেন, বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে লং জাম্পে পদক বিজয়ী অঞ্জু ববি জর্জ, প্রাক্তন ভারতীয় হকি অধিনায়ক সরদারা সিং, রাইফেল শুটিং এর কিংবদন্তি অঞ্জলি ভাগবত, প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া এবং সিইও অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্ট বীরেন রাসকুইনহা। এছাড়াও রয়েছেন টেবিল টেনিস তারকা মোনালিসা মেহেতা এবং ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ত্রাপ্তি মুরগুন্ডে। CG/ SB (Visitor Counter : 76
pib-1389
e9ee18c5051fe9cbe574043289a0cb2dea2cd1862d4a1529c2c94b88d0c57c31
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রীকে ভূটানের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কারে সম্মানিত ভূটানের পক্ষ থেকে এই আন্তরিক সম্মানের জন্য আমি অভিভূত এবং সেদেশের রাজার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি : প্রধানমন্ত্রী নতুন দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ভূটানের রাজা জিগমে খেসর নামগিয়েল ওয়াংচুক সেদেশের জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার 'অর্ডার অফ দ্য ড্রুক গ্যালপো' প্রদান করেছেন। তাঁকে এই সম্মান জানানোর জন্য শ্রী মোদী সেদেশের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইটের জবাবে শ্রী মোদী একগুচ্ছ ট্যুইটে বলেছেন, "ধন্যবাদ লিয়নচেন @PMBhutan! আন্তরিক এই সম্মানের জন্য আমি অত্যন্ত অভিভূত এবং ভূটানের রাজার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। ভূটানের ভাই-বোনেদের কাছ থেকে অত্যন্ত স্নেহ ও ভালবাসা পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। ভূটানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি তাঁদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাই। দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে ভূটানের অভিনব প্রয়াস এবং সেদেশের মানুষের আধ্যাত্মিক জীবন-যাপনের প্রশংসা করি। একের পর এক ড্রুক গ্যালপো বা ভূটানের রাজা এই সাম্রাজ্যকে এক অনন্য পরিচিতি দিয়েছেন। একই ভাবে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ককে আরও নিবিড় করেছেন, যা আমাদের দুই রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। ভারত তার নিকট বন্ধু ও প্রতিবেশী ভূটানের জন্য সর্বদাই গর্বিত। ভূটানের উন্নয়নের যাত্রাপথে সম্ভাব্য সবরকম উপায়ে এই দেশটির প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।" CG/BD/AS/ (
pib-1390
d5849e813d8619aca565330d10b0f374ff9816217269a8076d7359c6ec17be8f_4
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুটি অভিনব গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্যোগের সূচনা করবেন নতুন দিল্লি, ১১ নভেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামীকাল বেলা ১১টা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুটি অভিনব গ্রাহক-কেন্দ্রিক উদ্যোগের সূচনা করবেন। এগুলি হল - আরবিআই খুচরো প্রত্যক্ষ কর্মসূচি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক - সুসংহত ওম্বুডসম্যান কর্মসূচি। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রত্যক্ষ খুচরো কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল, খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকারি সিকিউরিটিতে লগ্নির সুযোগ করে দেওয়া। এরফলে, খুচরো বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সরকারি সিকিউরিটি ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারবেন। এমনকি, খুচরো বিনিয়োগকারীরা সহজেই অনলাইনে সম্পূর্ণ নিখরচায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কে তাদের সরকারি সিকিউরিটি অ্যাকাউন্ট খুলতে ও তা পরিচালনা করতে পারবেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুসংহত ওম্বুডম্যান কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল, কেন্দ্রীয় এই ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে গ্রাহকের অভাব অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার আরও মানোন্নয়ন। এই কর্মসূচির মূল ভাবনা এক রাষ্ট্র - এক ওম্বুডম্যান, এক পোর্টাল - এক ই-মেল এবং অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে গ্রাহকের সুবিধার্থে এক ঠিকানা। এই ব্যবস্থায় গ্রাহকের অভিযোগ দায়ের, নথিপত্র জমা, অভিযোগের বর্তমান অবস্থা এবং মতামত বা পরামর্শ দেওয়ার জন্য একক রেফারেন্স পয়েন্ট থাকছে। বিভিন্ন ভাষায় অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তি সম্পর্কে তথ্য পেতে টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হবে। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর উপস্থিত থাকবেন। (CG/BD/AS/
pib-1392
3098fbcb4b463db7365fc7099fdc3ef8945dd35140b8efefa834dcc087ddab5d
ben
যোগাযোগওতথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রক টেলিকম দপ্তর টেলি পরিষেবায় সংস্কার শুরু করেছে ; সহজে কেওয়াইসি ফর্ম পূরণের ব্যবস্থা নয়াদিল্লী, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ যোগযোগ মন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন সমাজের প্রান্তিক মানুষদের কাছে বিশ্বমানের ইন্টানেট ও টেলি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া টেলিকম সংস্কারের মূল উদ্দেশ্য। এই লক্ষ্য পূরণে যোগাযোগ মন্ত্রকের টেলি যোগাযোগ দপ্তর ২১শে সেপ্টেম্বর সহজ ভাবে কেওয়াইসি পূরণ করার পদ্ধতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ১৫ই সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে একজন গ্রাহক তার গ্রাহক পরিচিতি ব্যবস্থাপনা বা ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ ফর্ম পূরণের জন্য টেলিকম সংস্থার বিক্রয় কেন্দ্রে যান। সেখানে নতুন মোবাইলের সংযোগ বা প্রিপেড থেকে পোস্টপেড এবং পোস্টপেড থেকে প্রিপেড পরিবর্তনের জন্য মূল নথিপত্র নিয়ে যেতে হয়। সেগুলি সেখানে যাচাই করা হয়। সম্প্রতি অনলাইন পরিষেবা একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হয়ে উঠেছে। ওটিপি-র মাধ্যমে গ্রাহক পরিষেবা বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। কোভিডের সময়কালে সংস্পর্শহীন পরিষেবা নিশ্চিত করতে এবং সহজে ব্যবসা করার কাজে গতি আনতে এই প্রক্রিয়াটিকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ইউআইডিএআই থেকে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে গ্রাহকের বিষয়ে আধারের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকের সম্মতি বাধ্যতামূলক। টেলি যোগাযোগ দপ্তর সংস্পর্শহীন, গ্রাহক বান্ধব এবং নিরাপদ কেওয়াইসি পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলি কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছে। ১. আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি নতুন মোবাইলের সংযোগের জন্য আধার ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া আবারও শুরু হয়েছে। ইউআইডিএআই গ্রাহকদের তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়ায় টেলিকম সংস্থাগুলির কাছ থেকে মাথাপিছু ১ টাকা করে মাশুল নেয়। সংস্পর্শহীন ডিজিটাল এই পদ্ধতিতে টেলি যোগাযোগ সংস্থাগুলিকে ছবি সহ আধারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। ২. সেল্ফ কেওয়াইসি এই পদ্ধতিতে গ্রাহককে মোবাইল সংযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইনে অ্যাপ বা পোর্টালের সাহায্য নিতে হয়। একজন গ্রাহক বাড়িতে বা অফিসে বসে অনলাইনে নতুন মোবাইল সংযোগ পেতে পারেন। তার আধার সংক্রান্ত নথিপত্র ইউআইডিএআই অথবা ডিজি লকারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিন প্রক্রিয়ায় যাচাই করা হবে। গ্রাহক বাড়িতে বসেই নতুন সিম কার্ড পাবেন। ৩. প্রিপেড থেকে পোস্ট পেড অথবা পোস্ট পেড থেকে প্রিপেড কানেকশনে পরিবর্তনের জন্য ওটিপি ভিত্তিক পরিষেবা একজন গ্রাহক প্রিপেড থেকে পোস্ট পেড অথবা পোস্ট পেড থেকে প্রিপেড সিমকার্ড পরিবর্তন করতে চাইলে তিনি বাড়িতে বসেই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তথ্য যাচাইয়ের কাজটি ওটিপি মারফৎ হবে। টেলি যোগাযোগ দপ্তরের ওয়েবসাইটে এই আদেশনামাটি দেওয়া রয়েছে। এটি দেখতে চাইলে নীচের লিংকে ক্লিক করুনঃ- https://dot.gov.in/relatedlinks/telecom-reforms-2021 CG/CB /NS (
pib-1393
73a4ad75f7b30d2c99451b917b75a2706fe87ec75e9369493680f64b28489d57
ben
তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গের সালবাড়ির গুলমা চা বাগানে দিনব্যাপী সুসংহত প্রচার কর্মসূচি কলকাতা, ১ জানুয়ারি, ২০২০ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের আঞ্চলিক প্রচার দপ্তর গত ৩০ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির সালবাড়ি গুলমা চা বাগানে সারা দিনব্যাপী সুসংহত প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’, ‘স্বচ্ছ ভারত’, ‘প্লাস্টিক মুক্ত ভারত’ এবং ‘জলশক্তি’র ওপর একাধিক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে চা বাগানের কর্মী, স্বাস্থ্য দপ্তর, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর পাশাপাশি, আরওবি ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’, ‘জলশক্তি’, ‘প্লাস্টিক মুক্ত ভারত’ ও ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর ওপর চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনাসভার আয়োজন করে। মুখ্য অতিথি গুলমা চা বাগানের ম্যানেজার শ্রী এইচ কে গুপ্তা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অনুষ্ঠানে চা বাগানের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শ্রী অমৃত কুমার ঘোষ ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ওপর বক্তব্য রাখেন। শ্রী ঘোষ বলেন, জাতিগত বৈষম্য দূর করে একত্রে থাকা এবং একটি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ও প্রথাগত বৈশিষ্ট্য অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বিনিময় করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রীমতী অনিতা চিক বারিক জলশক্তির ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে গ্রীষ্মের সময় জল সঞ্চয়ের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, অভিভাবকই জল সংরক্ষণের বিষয়ে শিশুদের মধ্যে সাধারণ ধারণা তৈরি করে থাকেন। অনুষ্ঠানে শ্রীমতী ঊর্মিলা টিগ্গা, শ্রীমতী কিরণ টিগ্গা জল সংরক্ষণ, স্বচ্ছ ভারত এবং প্লাস্টিক মুক্ত ভারতের ওপর বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করে শ্রী গুপ্তা বলেন, আগামীদিনে চা বাগানে বসবাসকারীদের জন্য আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান আয়োজন করা প্রয়োজন। এদিনের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। SSS/SS/DM (Visitor Counter : 16
pib-1395
1f6d5713c9033deb082260f6c00693653365fe461c04758a0c38a9feaac183a5_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী আচার্য বিনোভা ভাবে-র জন্ম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নয়াদিল্লি, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আচার্য বিনোভা ভাবে-র জন্ম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন : “আচার্য বিনোভা ভাবে-র জন্ম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। সমাজ সংস্কার এবং প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে তাঁর অবিচল একাত্মতা আমাদের চিরকাল অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। তাঁর এই স্বার্থহীনতা এবং একতার আদর্শ আগামী শতকগুলিতেও মানব সমাজকে পথ প্রদর্শন করুক।” (AC/AP/NS
pib-1396
f645c31bdabc5f342bd743340090535a072f322948996084b1bc4862f52a37bb_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর তামিলনাডুতে ডাঃ এমজিআর চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ছাত্রছাত্রী ও এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এমজিআর’কে খুশি করতো : প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় চিকিৎসা পেশাদারদের প্রতি অত্যন্ত সমাদর ও শ্রদ্ধা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী মহামারীর পর চিকিৎসকদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা বেড়েছে : প্রধানমন্ত্রী স্বার্থের উপরে উঠতে পারলে তা আপনাকে নির্ভীক করে তুলবে : ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বার্তা প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তামিলনাডুতে ডাঃ এমজিআর চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২১ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রীকে ডিগ্রি ও ডিপ্লোমা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে তামিলনাডুর রাজ্যপাল শ্রী বনওয়ারিলাল পুরোহিত উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি ও ডিপ্লোমাধারীদের ৭০ শতাংশের বেশি মহিলা হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন। স্নাতক ডিগ্রিধারী সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি মহিলা ডিগ্রিধারীদের বিশেষ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটা সবসময়েই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন মহিলারা যে কোনও ক্ষেত্রেই অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দেন। আর এটা যখন ঘটে তখন তা নিঃসন্দেহে গর্ব ও আনন্দের মুহূর্ত হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য নিঃসন্দেহে ডাঃ এমজিআর-কে খুশি করতো। শ্রী স্মরণ করে বলেন, গরিব মানুষের প্রতি ডাঃ এমজিআর সর্বদাই করুণা দেখিয়েছেন। স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিক্ষা ও মহিলা ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলি তাঁর হৃদয়ের খুব কাছে ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাঃ এমজিআর যেখানে জন্মগ্রহণ করেন, সেই শ্রীলঙ্কায় আমাদের তামিল ভাই-বোনদের জন্য স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করতে পেরে ভারত সম্মানিত। শ্রীলঙ্কায় তামিল সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার ব্যাপক সদ্ব্যবহার করছেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তামিল সম্প্রদায়ের জন্য এই প্রচেষ্টাগুলি দেখে যেতে পারলে ডাঃ এমজিআর নিশ্চয় খুশি হতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় চিকিৎসা পেশাদার, বিজ্ঞানী ও ফার্মা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের প্রতি অত্যন্ত সমাদর ও শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারত এখন সমগ্র বিশ্বের জন্য ওষুধ ও টিকা উৎপাদন করছে। কোভিড-১৯ এর সময় ভারতে মৃত্যু ও আরোগ্যের হার ছিল বিশ্বে সর্বাধিক। আজ ভারতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গীতে, এক স্বতন্ত্র শ্রদ্ধার চোখে এবং এক নতুন বিশ্বাসযোগ্যতার প্রতীক হিসাবে দেখা হচ্ছে। মহামারীর সময় যে শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা আমাদের যক্ষ্মার মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। শ্রী মোদী বলেন, সরকার সমগ্র চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের আঙ্গিকে পরিবর্তন আনছে। জাতীয় চিকিৎসা কমিশন নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনে বিধিনিষেধগুলি আরও সহজ ও সরল করবে, চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিয়ে আসবে এবং সুদক্ষ ও পর্যাপ্ত সংখ্যায় মানবসম্পদের যোগান অটুট রাখবে। এক পরিসংখ্যান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ৬ বছরে এমবিবিএস স্তরে আসন সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে, যা ২০১৪’র তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আসন সংখ্যা ২৪ হাজার বাড়ানো হয়েছে, যা ২০১৪’র তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। ২০১৪’তে দেশে এইমস্ – এর মতো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল কেবল ৬। দেশে গত ৬ বছরে এ ধরনের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে ১৫ হয়েছে। তামিলনাডুর যে জেলাগুলিতে একটিও মেডিকেল কলেজ নেই, সেখানে ১১টি নতুন মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সরকার অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মেডিকেল কলেজগুলি স্থাপনের জন্য সরকার ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি সাহায্য দেবে। বাজেট ঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর সুস্থ ভারত যোজনার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, এই কর্মসূচির ফলে নতুন ধরনের অসুখ-বিসুখ চিহ্নিতকরণ ও তার প্রতিকারের ক্ষেত্রে প্রাইমারী, সেকেন্ডারী ও টার্সিয়ারী স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে চিকিৎসকরা সর্বাধিক সম্মান ও শ্রদ্ধা পেয়ে থাকেন। মহামারীর পর চিকিৎসকদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা আরও বেড়েছে। মানুষ একথা জানেন, চিকিৎসকদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধার পেছনে রয়েছে মহান চিকিৎসা পেশার প্রতি তাঁদের আন্তরিকতা। আর এটা তখন আরও বেশি করে প্রকট হয়, যখন রোগীর জীবন-মৃত্যুর প্রশ্ন আরও বড় রূপ নেয়। তিনি বলেন, আন্তরিক হওয়া এবং আন্তরিকতা দেখানো দুটিই সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়। এই প্রেক্ষিতে তিনি চিকিৎসা শিক্ষা নবিশদের রসবোধ বজায় রাখার পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের পাশাপাশি, রসবোধের মানসিকতা রোগীদের আত্মসন্তুষ্টি দেবে। এমনকি, তাঁদের মানসিকতাকেও তুঙ্গে রাখবে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সুস্বাস্থ্য ও শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে। কারণ, তাঁরাই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর নজর রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষানবিশদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই মানসিকতা অবলম্বন করতে পারলে সাহসী হয়ে ওঠা সম্ভব।
pib-1397
2fe2eb51a7b61c8099bec63b03b2ac50fd0254075c12d27827b1d079ae859a5f_2
ben
নির্বাচনকমিশন পশ্চিমবঙ্গ সহ ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ কলকাতা, ২৫ মার্চ, ২০১৯ সপ্তদশ সাধারণ নির্বাচনের প্রথম পর্বের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আজ। এই পর্বে পশ্চিমবঙ্গ সহ ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আগামী ১১ই এপ্রিল মোট ৯১টি আসনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হবে, সেগুলি হল কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার । কোচবিহার সংসদীয় কেন্দ্রে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৯ হাজার ৫৯৮ এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভোটদাতার সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৪২ হাজার ২৮৫। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাকি যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সংসদীয় কেন্দ্রে ঐদিন ভোটগ্রহণ করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫টি, অরুণাচল প্রদেশের দুটি, অসমের পাঁচটি, বিহারের চারটি, ছত্তিশগড়ের একটি, জম্মু ও কাশ্মীরের দুটি, মহারাষ্ট্রের সাতটি, মণিপুরের একটি, মেঘালয়ের দুটি, মিজোরামের একটি, নাগাল্যান্ডের একটি, ওড়িশার চারটি, সিকিমের একটি, তেলেঙ্গানার ১৭টি, ত্রিপুরার একটি, উত্তরপ্রদেশের আটটি ও উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি সহ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপের একটি করে আসন। উল্লেখ করা যেতে পারে, এবারের সাধারণ নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটগ্রহনের জন্য গত ১৮ই মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগামীকাল, অর্থাৎ ২৬শে মার্চ, জমা পড়া মনোনয়নপত্রগুলি পরীক্ষা করে দেখা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ। CG/BD/DM (Visitor Counter : 118
pib-1398
543c0178ffe7470ce9ac93775dccc78a10186d96f7626eeb025a40cf9f6d3e7f
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ৯ই অগাস্ট পিএম-কিষাণের পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদান করবেন নয়াদিল্লি, ০৭ অগাস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৯ই অগাস্ট বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদান করবেন। এর ফলে, ৯ কোটি ৭৫ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগী কৃষক পরিবারের অ্যাকাউন্টে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। পিএম-কিষাণ : এই প্রকল্পে সুবিধাভোগী কৃষক পরিবার বছরে ৬ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পান। প্রতি চার মাস অন্তর তাঁদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই অর্থ হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সম্মান রাশি কৃষক পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। CG/CB/SB (
pib-1407
1e5a08cf674adc8468b17ac47beb0648e9d6c573359b6d9e3bb7d4580390460d_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর সুজলন এনার্জির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী তুলসী তাঁতির প্রয়াণে শোক ও সমবেদনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ২ অক্টোবর, ২০২২ বর্ষীয়ান ব্যবসায়ী তথা সুজলন এনার্জির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী তুলসী তাঁতির প্রয়াণে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেছেন : “শ্রী তুলসী তাঁতি ছিলেন ভারতের বাণিজ্য জগতের এক পথিকৃৎ। ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে তাঁর যেমন অবদান ছিল, তেমনই দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে নিরন্তর করে তোলার কাজেও শক্তি যুগিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে আমি ব্যথিত। তাঁর পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবর্গকে জানাই আমার সমবেদনা। ওম শান্তি!” PG/SKD/DM/ (
pib-1411
8362ea3dd534a4328ffdf63f8e0db3695c9a09b0c227672c17394f99cec7d9d8_2
ben
সারওরসায়নমন্ত্রক জৈব পচনশীল বর্জ্য থেকে বিজয়পুরের এনএফএল সার উৎপাদন করবে নয়াদিল্লী, ২২ আগস্ট, ২০২০ সার দপ্তরের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা ন্যাশনাল ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড মধ্যপ্রদেশের বিজয়পুরে একটি জৈব বর্জ্য রূপান্তরশীল সার কারখানা গড়ে তুলবার পরিকল্পনা নিয়েছে। জৈব পচনশীল বর্জ্য পদার্থগুলি এই কারখানায় নিয়ে গিয়ে সেখানে যে অংশগুলি পচনশীল নয় সেগুলি পৃথক করা হবে, তারপরে ১০ দিন ধরে পচনশীল অংশটিকে সারে পরিণত করা হবে। স্বচ্ছ ভারত উদ্যোগে শহরগুলির জৈব পচনশীল বর্জ্য পদার্থ থেকে দৈনিক ২ হাজার কেজি সার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বর্জ্যের মধ্যে উদ্যান পালনের বর্জ্য পদার্থও থাকবে। উৎপাদিত সার বিভিন্ন উদ্যান এবং সর্বসাধারণের জায়গায় ব্যবহারের পাশাপাশি নাগরিকরা চাইলে তাদের বাগানেও ব্যবহার করতে পারবেন। বিজয়পুর এনএফএল-এর চিফ জেনারেল ম্যানেজার শ্রী জগদীপ শাহ সিং প্রস্তাবিত এই জৈব বর্জ্য রূপান্তরশীল সার কারখানার ভিতপূজোয় অংশ নিয়েছেন। (CG/CB/NS
pib-1416
b75e36aa8ab9ae59e33609232f3e4cc3640af53ad44f22d2f757f2befeaec400
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর ভারত-অস্ট্রেলিয়া বৃত্তীয় অর্থনীতি উপর আয়োজিত হ্যাকাথনের দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রেখেছেন বৃত্তীয় অর্থনীতির মাধ্যমে আমাদের গ্রহের বাস্তুতন্ত্রের উপর চাপ কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া যায়ঃ- প্রধানমন্ত্রী কোভিড পরবর্তী বিশ্বে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেঃ-প্রধানমন্ত্রী নতুনদিল্লী, ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, আমাদের গ্রহের ওপর ভোগবাদী অর্থনীতি যথেষ্ট সমস্যার সৃষ্টি করছে, আর তাই আমাদের পণ্যসামগ্রী ব্যবহারের পদ্ধতির দিকটি বিবেচনা করতে হবে এবং কিভাবে আমরা এর ফলে, বাস্তুতন্ত্রের উপর চাপ কমাতে পারি, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এটিই হ’ল বৃত্তীয় অর্থনীতির ধারণা। আমরা যেসমস্ত চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন সেগুলি সমাধান করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। শ্রী মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বৃত্তীয় অর্থনীতি উপর আয়োজিত হ্যাকাথনের দীক্ষান্ত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের জীবনযাত্রায় বিভিন্ন সামগ্রীর পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থ বাতিল করা এবং দক্ষভাবে সম্পদের ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দুটি দেশ বৃত্তীয় অর্থনীতির সমাধানের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের উদ্ভাবনগুলি যে অনুপ্রেরণার কারণ হবে, সে বিষয়ে তিনি আশাবাদী। হ্যাকাথনে উদ্ভাবনগুলিকে কিভাবে বাস্তবায়িত ও সাহায্য করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে এখন ভাবনাচিন্তা করতে হবে। শ্রী মোদী বলেছেন,” আমাদের কখনই ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা প্রত্যেককে মা বসুন্ধরা যা দিচ্ছেন তার মালিক আমরা নই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা শুধুমাত্র তার রক্ষাকর্তা।“ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকের তারুণ্যে ভরপুর অংশগ্রহণকারীরা যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখিয়েছেন, সেটি ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার অংশীদারিত্বের দায়িত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। “কোভিড পরবর্তী বিশ্বে ভারত-অস্ট্রেলিয়া অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।এই অংশীদারিত্বে আমাদের যুবসম্প্রদায়, আমাদের তরুণ উদ্ভাবকরা, আমাদের নতুন উদ্যোগীরা সম্মুখভাগে থাকবেন।“
pib-1418
d373eaad42a31016fe40c4ac51d4c1b5cefc5120af7b3e37ec2835575046c860
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর বিশ্ব ব্যাঙ্কের লজিস্টিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স-এ ১৬-তম স্থানে ভারতের নজরকাড়া উত্থানে সন্তোষ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি, ২২ এপ্রিল, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্ব ব্যাঙ্কের লজিস্টিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স-এ ১৬-তম স্থানে ভারতের নজরকাড়া উত্থানে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল-এর এক ট্যুইটের প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “পণ্য, পরিকাঠামোর উন্নতিতে আমাদের সংস্কার ও মনোনিবেশের ফলস্রুতি হিসেবে একটি উৎসাহব্যঞ্জক প্রবণতা। এই সাফল্য আমাদের খরচ কমিয়ে দেবে এবং আমাদের ব্যবসাকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।” PG/MP/NS (
pib-1420
d793446084fcda7b3cf9732e413fce3d8a2ed03b36cc0fba8c8ca731f2f72d68
ben
তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক গোয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ৫২তম আইএফএফআই-তে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ১৫টি চলচ্চিত্র অংশ নেবে গোদাবরী, মে বসন্তরাও এবং সেমখর প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে নয়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ৫২তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বেশ কয়েকটি বিদেশি ছবি প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কাহিনীচিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। গোল্ডেন পিকক সহ অন্যান্য পুরস্কারের জন্য যে ১৫টি চলচ্চিত্রকে বাছাই করা হয়েছে, সেগুলি হ’ল – ১) এনি ডে নাও – নির্দেশক : হামি রামেজান ২) শার্লট – নির্দেশক : সিমন ফ্র্যাঙ্কো ৩) গোদাবরী – নির্দেশক : নিখিল মহাজন ৪) ইন্ট্রেগাল্ডে – নির্দেশক : রাদু মুনতিন ৫) ল্যান্ড অফ ড্রিমস্ - নির্দেশক : শিরিন নেশত এবং শোজা আজারি ৬) লিডার – নির্দেশক : কাটিয়া প্রিউইজিনেস্কো ৭) মে বসন্তরাও – নির্দেশক : নিপুন অবিনাশ ধর্মাধিকারী ৮) মস্কো ডাজ নট হ্যাপেন – নির্দেশক : দামিত্রি ফেদেরোভ ৯) নো গ্রাউন্ডে বিনিত দ্য ফিট – নির্দেশক : মোহম্মাদ রাব্বি মৃধা ১০) ওয়ানস উই ওয়্যার গুড ফর ইউ – নির্দেশক : ব্র্যাঙ্কো স্মিড ১১) রিং ওয়ান্ডারিং – নির্দেশক : মাসাকাজু কানেকো ১২) সেভিং ওয়ান হু ওয়াজ ডেড – নির্দেশক : ভ্যাক্ল্যাভ কাদরাঙ্কা ১৩) সেমখোর – নির্দেশক : আইমি বড়ুয়া ১৪) দ্য ডর্ম – নির্দেশক : রোমান ভাসিয়ানোভ ১৫) দি ফার্স্ট ফলেন : নির্দেশক : রড্রিগো দ্য অলিভিয়েরা এই চলচ্চিত্রগুলি বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হবে। ১) সেরা চলচ্চিত্র – পুরস্কারের নগদ অর্থ ৪০ লক্ষ টাকা। এই অর্থ নির্দেশক ও প্রযোজকের মধ্যে সমভাবে বন্টিত হবে। এছাড়াও, নির্দেশক গোল্ডেন পিকক এবং একটি শংসাপত্র পাবেন। প্রযোজকও শংসাপত্র পাবেন। ২) সেরা নির্দেশক – সিলভার পিকক, শংসাপত্র এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা। ৩) সেরা অভিনেতা – সিলভার পিকক, শংসাপত্র এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা। ৪) সেরা অভিনেত্রী – সিলভার পিকক, শংসাপত্র এবং নগদ ১০ লক্ষ টাকা। ৫) বিশেষ জুরি পুরস্কার - সিলভার পিকক, শংসাপত্র এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ক) চলচ্চিত্র : এই পুরস্কার চলচ্চিত্র নির্দেশককে দেওয়া হবে। খ) ব্যক্তি-বিশেষ : চলচ্চিত্রে তাঁর সৃজনশীল অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ। CG/CB/SB (Visitor Counter : 106
pib-1424
2b7a837b92b768e1de12425690738c551d2cf5f2f402278079f6fd7cf379af8a_2
ben
কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ডঃ জিতেন্দ্র সিং নয়াদিল্লি, ২১ এপ্রিল, ২০২০ কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রশাসনিক সেবার আধিকারিকদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় প্রশাসনিক কর্মীবর্গ, জন অভিযোগ ও পেনশন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং। আজ সিভিল সার্ভিসেস দিবস উপলক্ষে ২৫ টি রাজ্য ও পাঁচটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও মারফৎ তিনি এক আলোচনা বৈঠক করেন। ডঃ সিং প্রশাসনিক সেবার আধিকারিকদের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উপরেও জোর দেন। এই প্রসঙ্গে তিনি ‘কারুনা’ প্ল্যাটফর্মের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে জানান প্রশাসনিক সেবার ২৯টি বিভাগের আধিকারিকরা এই মঞ্চে থাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সুসংবদ্ধ ভাবে কাজ করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেয়ার্স তহবিলে আধিকারিকরা তাদের এক দিনের বেতন দেওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন জেলা শাসকরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন, তাদের কাঁধেই রয়েছে এই দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন করার বিশাল দায়িত্ব। ডঃ জিতেন্দ্র সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের লক্ষই হোল ‘ন্যূনতম সরকার অধিকতম প্রশাসন’। গত ৬ বছরে প্রশাসনিক সেবার নিয়ম কানুনে বহু রদবদল ঘটানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ২১ এপ্রিল প্রশাসনিক সেবা দিবসের যে অনুষ্ঠান হয়ার কথা ছিল তা লকডাউনের কারনে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক সেবায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ যে প্রধানমন্ত্রী পদক দেওয়া হয় তা এ বছর ৩১ অক্টোবর সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের জন্মদিনে দেওয়া হবে। (CG/SDG
pib-1425
6f1febcb52a35d71af5d44740d726432bcf11ae7b15d5c4b15a07538ffe715de
ben
খনিমন্ত্রক নতুন দিল্লিতে ৩৬তম আন্তর্জাতিক ভূতাত্ত্বিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ, ২০২২ ৩৬তম আন্তর্জাতিক ভূতাত্ত্বিক কংগ্রেস – এর মূল ভাবনা হল ‘ভূ-বিজ্ঞান : স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য মূল বিজ্ঞান’। ২০-২২শে মার্চ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় খনি মন্ত্রক, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি এবং বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সায়েন্স অ্যাকাডেমি যৌথভাবে এই কংগ্রেসের আয়োজন করবে। আইজিসি ভূ-বিজ্ঞানের অলিম্পিক হিসাবে পরিচিত। প্রতি চার বছর অন্তর এই কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের নানা প্রান্তের ৫-৭ হাজার প্রতিনিধি এই কংগ্রেসে যোগদান করবেন। অনুষ্ঠানে ভূ-বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করা হবে। এছাড়াও, খনি, খনিজ সম্পদ উত্তোলন, জলের ব্যবহার, খনিজ সম্পদ এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধানে বিভিন্ন পন্থা-পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হবে। কেন্দ্রীয় কয়লা খনি ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ যোশী এই কংগ্রেসের উদ্বোধন করবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ জিতেন্দ্র সিং, শ্রী রাওসাহেব পাটিল দানভে এবং শ্রী দেবুসিং চৌহান। সারা বিশ্ব আজ নানা বিষয়ের স্থিতিশীলতার প্রশ্নে উদ্বিগ্ন। ৩৬তম আইজিসি-তে ভূ-বিজ্ঞানের সঙ্গে স্থিতিশীল ভবিষ্যতের সম্পর্ক নিয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। ভারত ৩৪তম আন্তর্জাতিক ভূতাত্ত্বিক কংগ্রেসে ৩৬তম সম্মেলন নতুনদিল্লতে আয়োজন করার আবেদন জানায়। বর্তমান কংগ্রেস ২০২০-র ২-৪ঠা মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায়। কংগ্রেস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করা হবে। ৫৮ বছর আগে ২২তম কংগ্রেসও ভারতে অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়া মহাদেশে সেবারই প্রথম ভূতাত্ত্বিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। CG/CB/SB (Visitor Counter : 119
pib-1426
8803f7a5ff1b32cbf49b56a95cbe2f761e13f3ae707834d97266b4c2cbd54846_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ২০শে ফেব্রুয়ারি নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের ষষ্ঠ বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন নতুনদিল্লি, ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০শে ফেব্রুয়ারি, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নীতি আয়োগের পরিচালন পর্ষদের ষষ্ঠ বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন। কৃষি, পরিকাঠামো, উৎপাদন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, তৃণমূল স্তরে পরিষেবা প্রদান এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টির মত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। বিভিন্ন বিষয়, আন্তঃদাপ্তরিক নানা প্রসঙ্গ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় নানা প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার জন্য পরিচালন পর্ষদ একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে। এ প্রধানমন্ত্রী, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির উপরাজ্যপালরা এই পর্ষদের সদস্য। প্রথম বারের মত লাদাখ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে জম্মু কাশ্মীর পর্ষদের বৈঠকে যোগ দেবে। অন্যান্য কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির প্রশাসকদেরও এই বৈঠকে যোগ দেবার জন্য আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। পরিচালন পর্ষদের পদাধিকার বলে যারা সদস্য, তাঁরা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান, মূখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক, সদস্য বৃন্দ, কেন্দ্রীয় সরকারের পদস্থ আধিকারিকরা এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
pib-1428
bfbc568a8accf2b9f57fe8825c6eb81e34d85dc47fefe14336d3df993bf1c748_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ২০২২ – এর থমাস কাপ জয়লাভের পর বলেছেন “এটি ভারতের ক্রীড়া ক্ষেত্রে দারুণ বিজয়’ দেশে ফেরার পর দলের সদস্য ও কোচদের প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আমন্ত্রণ “কোচ ও মা-বাবারাও প্রশংসার দাবিদার” “আপনারা বিরাট সাফল্য অর্জন করেছেন। পুরো দলই অভিনন্দনের যোগ্য” প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য সেন’কে বলেছেন, এবার আপনাকে আমায় আলমোড়ার ‘বাল মিঠাই’ খাওয়াতে হবে’ বিজয়ী দল প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে, ‘ভারতে এখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। যদি এই ধারা বজায় থাকে, তা হলে আমরা মনে করি, ভারত আরও অনেক চ্যাম্পিয়নকে ভবিষ্যতে দেখতে পাবে’ বিজয়ী দল তরুণ প্রজন্মকে বলেছে, “যদি আপনারা ১০০ শতাংশ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, তা হলে আপনারা অনিবার্যভাবে সাফল্য অর্জন করবেনই” নয়াদিল্লি, ১৫ মে, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। ভারতীয় দল আজ থমাস কাপ – এ ঐতিহাসিক জয়লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী দলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি ভারতের ক্রীড়া ক্ষেত্রে দারুণ বিজয়। তিনি জানান, ভারতীয় দল কোনও রাউন্ডে পরাজিত না হওয়ায় তিনি সব থেকে বেশি আনন্দিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের কাছে জানতে চান, প্রতিযোগিতার কোন পর্যায়ে তাঁরা বুঝতে পারছিলেন যে, তাঁরা এবার জয়লাভ করতে চলেছেন। কিদাম্বি শ্রীকান্ত তাঁকে জানান, কোয়াটার ফাইনালের পর দলের সদস্যদের অধ্যাবসায় দেখে তাঁর মনে হচ্ছিল, অন্তিম পর্বে তাঁরা ভালো খেলবেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, দলগতভাবে সব সদস্যদের মানসিকতা এই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হয়েছে, প্রত্যেক খেলোয়াড় তাঁর ১০০ শতাংশ দিয়ে খেলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোচেরাও সমানভাবে প্রশংসার দাবিদার। প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্য সেন’কে বলেছেন, এবার আপনাকে আমায় আলমোড়ার ‘বাল মিঠাই’ খাওয়াতে হবে। এই ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় উত্তরাখন্ড দেবভূমির বাসিন্দা। শ্রী মোদী বলেন, লক্ষ্য সেন, তাঁর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের খেলোয়াড়। লক্ষ্য সেন জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার সময় তাঁর বাবাও উপস্থিত ছিলেন। তিনি শ্রীকান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করে জানান, কোয়াটার ফাইনালের পর বিজয়ের ব্যাপারে তাঁরা আরও নিশ্চিত হয়ে যান। এইচ এস প্রণয় বলেন, কোয়াটার ফাইনালের বিজয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেই পর্বের জয়ের পর এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ভারতীয় দল অন্য যে কোনও দলকে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। তিনি জানান, দলগত সমর্থনের কারণেই মালোয়েশিয়ার মতো প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় হাসিল সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সাত্ত্বিক সাইরাজ রেনকিরেড্ডি ও চিরাগ শেট্টি’কে তাঁদের বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। মারাঠী ভাষায় কথা বলার সময় চিরাগ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়টির চেয়ে আর ভালো কিছু হতে পারে না। শ্রী মোদী বলেন, “আপনারা বিরাট সাফল্য অর্জন করেছেন। পুরো দলই অভিনন্দনের যোগ্য”। তিনি তাঁদের এবং দলের কোচদের ভারতে আসার পর তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রী দলের সদস্যদের কাছ থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী দলের সদস্যদের উদীয়মান খেলোয়াড় এবং যেসব ছেলেমেয়েরা ব্যাডমিন্টন, সাঁতার বা টেবিল টেনিস খেলতে চায়, তাদের উদ্দেশে কিছু বলতে বলেন। দলের পক্ষ থেকে শ্রীকান্ত জানান, “ভারতে এখন ক্রীড়া ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। স্পোর্টস্ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, কেন্দ্রীয় সরকার, স্পোর্টস্ ফেডারেশন এবং সর্বোচ্চ স্তরের টার্গেট অলিম্পিক্স পোডিয়াম স্কিম থেকে খেলোয়াড়রা যথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছেন। যদি এই ধারা বজায় থাকে, তা হলে আমরা মনে করি, ভারত আরও অনেক চ্যাম্পিয়নকে ভবিষ্যতে দেখতে পাব।“ তিনি যেসব ছোট ছেলেমেয়েরা খেলাধূলায় উৎসাহী তাঁদের উদ্দেশে বলেন, যদি নিজের ইচ্ছায় তারা খেলাধূলা শুরু করে এবং ১০০ শতাংশ অধ্যাবসায় নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করে, সেক্ষেত্রে ভারতের ক্রীড়া জগৎ তাদের জন্য প্রচুর সমর্থন যোগাবে। দেশে ভালো কোচ ও পরিকাঠামো রয়েছে। যদি তারা অঙ্গীকারবদ্ধ হন, তা হলে আন্তর্জাতিক স্তরেও তারা ভালো খেলতে পারবে্ন। শ্রীকান্ত আরও বলেন, “যদি আপনারা ১০০ শতাংশ নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, তা হলে আপনারা অনিবার্যভাবে সাফল্য অর্জন করবেনই।“ প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের মা-বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, খেলাধূলায় ছেলেমেয়েদের উৎসাহদান এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সাহস যোগানো খুবই ভালো উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী বিজয়ী দলের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন এবং কথাবার্তার শেষে তাঁদের সঙ্গে সমস্বরে বলে ওঠেন ‘ভারতমাতা কি জয়’। CG/CB/SB (
pib-1431
9c082e93caf4909ee99f21fc15603965fded181c7ace08b5ec3e16fcaf1498ce
ben
প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ কাৰ্যালয় অধ্যাপক এছ.এন. বসুৰ ১২৫ সংখ্যক জন্ম বৰ্ষপূৰ্তি সমাৰোহৰ আৰম্ভণি অনুষ্ঠানত প্ৰধানমন্ত্ৰীৰ ভাষণ দেশৰ কাৰণে জীৱনোত্সৰ্গা কৰা এজন মহান পুৰুষৰ স্মৃতিচাৰণ কৰাৰ বাবে আজি আমি সমবেত হৈছোহক। দেশৰ কল্যাণৰ নিমিত্তে উত্সৰ্গিত চিত্তে কাম কৰাৰ স্পৃহা প্ৰদৰ্শন কৰি যিয়ে সময়ৰ ব্যৱধানকো নেওচি এইদৰে আমাক সমবেত হোৱাৰ বাবে আজিও প্ৰেৰণা দি আহিছে। আচাৰ্য সত্যেন্দ্ৰ নাথ বসুৰ ১২৫ সংখ্যক জন্ম বাৰ্ষিকীৰ এই পৱিত্ৰ মুহূৰ্তত মই আপোনালোক সকলোকে, বিশেষকৈ আমাৰ বৈজ্ঞানিকসকলক শুভ কামনা জ্ঞাপন কৰিছো। বন্ধুসকল, প্ৰতিটো বছৰৰ আৰম্ভণিতে মই দেশৰ প্ৰথিতযশা বিজ্ঞানীসকলৰ সৈতে মত-বিনিময় কৰাৰ সুযোগ গ্ৰহণ কৰি আহিছো। আজিৰ এই পৱিত্ৰ মুহূৰ্তই পুনৰবাৰ আপোনালোকৰ সৈতে বাৰ্তালাপ কৰাৰ আন এক সুযোগ প্ৰদান কৰিছে। ১৮৯৪ চনৰ এক শুভ দিনত জন্মগ্ৰহণ কৰা আচাৰ্য সত্যেন্দ্ৰ নাথ বসুৰ ১২৫ সংখ্যক জন্ম বাৰ্ষিকী উদযাপনৰ লক্ষ্যৰে আজিৰে পৰা এক বছৰজোৰা কাৰ্যক্ৰমৰ শুভাৰম্ভ কৰিবলৈ আমি আগবাঢ়িছো। এইগৰাকী মহান বিজ্ঞানীয়ে তেওঁৰ জীৱনকালত লাভ কৰা সাফল্য আক্ষৰিক অৰ্থতে সমসাময়িক সময় আৰু সামাজিক প্ৰেক্ষাপটতকৈ বহু যুগে আগবঢ়া আছিল। বন্ধুসকল, দেশবন্ধু চিত্তৰঞ্জন দাসে তেওঁৰ এটি কবিতাত উল্লেখ কৰিছিল এনেদৰে- “বাংলাৰ মাটি আৰু পানীত অনন্ত কালে এক সত্য সংপৃক্ত হৈ আহিছেই।” এই সত্য হল বংগৰ মানুহৰ চিন্তা আৰু বিশ্লেষণৰ পৰ্যায়, যাক স্পৰ্শ কৰাটো সহজ নহয়। যিয়ে বহু শতিকাজুৰি বংগক দেশৰ ভিতৰতে অগ্ৰণী কৰি ৰাখিছে। সেয়া লাগিলে স্বাধীনতা সংগ্ৰামেই হওক, কিম্বা সাহিত্যই হওক, বিজ্ঞানেই কিম্বা খেল-ধেমালি হওক, সকলোতে বংগৰ মাটি-পানীৰ আমোঘ প্ৰভাৱ বিদ্যমান। স্বামী ৰামকৃষ্ণ পৰমহংস, স্বামী বিবেকানন্দ, গুৰুবৰ ৰৱীন্দ্ৰ নাথ ঠকুৰ, সুভাষ চন্দ্ৰ বসু, শমা প্ৰসাদ মুখাৰ্জী, বংকিম চন্দ্ৰ, শৰত্ চন্দ্ৰ, সত্যজিত্ ৰয়, আপুনি যি ক্ষেত্ৰৰ নামেই নওক কিয় এজন নহয় এজন বংগ-সন্তানৰ নাম তৰাৰ দৰে জিলিকি উঠিবই। এই ডোখৰ ভূমিয়ে পৃথিৱীক বহুকেইগৰাকী মুধাফুটা বিজ্ঞানী দিবলৈ সক্ষম হোৱাটো সামগ্ৰিকভাৱে ভাৰতৰে গৌৰৱ। আচাৰ্য এছ.এন. বসুৰ উপৰিও জগদীশ চন্দ্ৰ বসু, মেঘনাদ সাহাৰ দৰে অগণন ব্যক্তিয়ে দেশৰ আধুনিক বিজ্ঞানৰ ক্ষেত্ৰখনৰ বুনিয়াদ শক্তিশালী ৰূপত নিৰ্মাণ কৰি থৈ গৈছে। তেনেই সামান্য সমল আৰু পৰিস্থিতিৰ জটিলতাকো নেওচি কৰা অধ্যয়ন আৰু আৱিস্কাৰৰ জৰিয়তে তেওঁলোকে জনগণৰ প্ৰতি সেৱা আগবঢ়াই গৈছে। তেওঁলোকৰ দায়বদ্ধতা আৰু সৃষ্টিশীলতাই আজিও আমাক শিকনি দি আহিছে। বন্ধুসকল, আচাৰ্য এছ.এন. বসুৰ জীৱনৰ পৰা আমি বহু শিকিবলগীয়া আছে। তেওঁ এগৰাকী স্বয়ং শিকাৰু বিদ্বান আছিল। বহু বাধা-বিঘিনিকো অতিক্ৰমী তেওঁ সাফল্য আহৰণ কৰিছিল। ইয়াৰ ভিতৰত কোনো আনুষ্ঠানিক গৱেষণামূলক শিক্ষাৰ অনুপস্থিতি কিম্বা পৃথিৱীৰ বিজ্ঞানী সমাজৰ সৈতে যোগাযোগৰ তেনেই সামান্য সুযোগৰ কথা উল্লেখ কৰিব পাৰি। তেওঁ এককভাৱে কৰা অধ্যাৱসায়ৰ সুবাদতে ১৯২৪ চনত বিজ্ঞানৰ অন্য এক ন-দিগন্তৰ সূচনা হৈছিল। ইয়ে কোৱাণ্টাম ষ্টেটিষ্টিকছৰ ভেটি নিৰ্মাণ কৰি আধুনিক আনবিক সূত্ৰ অধ্যয়নৰ প্ৰেক্ষাপট ৰচনা কৰিছিল। আইনষ্টাইনৰ জীৱনীকাৰ আব্ৰাহাম পেচে তেওঁৰ গৱেষণাক পুৰণি কোৱাণ্টাম সূত্ৰৰ অধ্যয়নৰ ক্ষেত্ৰত শেহতীয়া চাৰিখন বৈপ্লৱিক গৱেষণা পত্ৰৰ অন্যতম বুলি অভিহিত কৰিছিল। বোস ষ্টেটিষ্টিকছ, বোস আইনষ্টাইন কণ্ডেছেশ্যন আৰু হিগছ বোসনৰ দৰে ধাৰণা আৰু বৈজ্ঞানিক অভিধাই সত্যেন্দ্ৰনাথ বসুৰ নাম বিজ্ঞানৰ ইতিহাসত অমৰ কৰি ৰাখিছে। পৰৱৰ্ত্তী সময়ত ভৌতিক বিজ্ঞানৰ বিভিন্ন ব্যৱহাৰিক ক্ষেত্ৰত তেওঁ আগবঢ়োৱা অধ্যয়নৰ সূত্ৰ ধৰি চৰ্চা চলোৱা বহুকেইগৰাকী ব্যক্তিক নবেল বঁটাৰে সন্মানিত কৰা কথাই বাস্তৱিকতেই তেওঁ আগবঢ়োৱা অৱদানৰ অসাধাৰণ গুৰুত্বকে প্ৰকাশ কৰিছে। অধ্যাপক বসু মাতৃভাষাত বিজ্ঞানৰ শিক্ষা দান কৰোতা ধৰ্মযোদ্ধা আছিল। জ্ঞান ও বিজ্ঞান নামৰ বাংলা ভাষাৰ বিজ্ঞান আলোচনীখন তেওঁ প্ৰকাশ কৰি উলিয়াইছিল। আমাৰ যুৱ-প্ৰজন্মৰ মাজত বিজ্ঞান জনপ্ৰিয় কৰাৰ বাবে বিজ্ঞান সংযোগীকৰণৰ ক্ষেত্ৰত আমি বিস্তৃত কাৰ্যক্ৰম ৰূপায়ণ কৰিব লাগিব। এই ক্ষেত্ৰত ভাষা বাধাৰ প্ৰাচীৰ হোৱাৰ পৰিৱৰ্তে উপযোগী বাহক হিচাপে চিহ্নিত হব লাগিব। বন্ধুসকল, ভাৰতৰ বৈজ্ঞানিক গৱেষণাৰ প্ৰেক্ষাপট পৰম্পৰাগতভাৱেই শক্তিশালী। মেধাৰ অভাৱ, কঠোৰ সাধনা কিম্বা লক্ষ্য-উদ্দেশ্যৰ অনুপস্থিতি ভাৰতত কোনো দিনেই নাছিল। শেহতীয়া কেইবাটাও দশকত ভাৰতে বিজ্ঞান আৰু প্ৰযুক্তিৰ ক্ষেত্ৰত ধাৰাবাহিক প্ৰগতি লাভ কৰিছে। সেয়া লাগিলে তথ্যপ্ৰযুক্তিয়েই হওক, অথবা মহাকাশ প্ৰযুক্তি কিম্বা ক্ষেপনাস্ত্ৰ প্ৰযুক্তিয়েই হওক সমগ্ৰ পৃথিৱীত ভাৰতে উজ্জ্বল নিদৰ্শন দাঙি ধৰিবলৈ সক্ষম হৈছে। বিজ্ঞানী আৰু প্ৰযুক্তিবিদসকলৰ এই সাফল্যই সমগ্ৰ দেশকে গৌৰৱান্বিত হোৱাৰ সুযোগ দিছে। ইছৰোৰ এটা মাথো ৰকেটেই ১০০টাৰো অধিক কৃত্ৰিম উপগ্ৰহ কঢ়িয়াই নি সফলতাৰে কক্ষত স্থাপনৰ কথাই সমগ্ৰ পৃথিৱীবাসীকে তবধ মনাইছিল। আমাৰ বিজ্ঞানীসকলৰ কৰ্মকুশলতাই সেই মুহূৰ্তত সমগ্ৰ ভাৰতবাসীকে উত্ফল্লিত কৰাই নহয়, উন্নত শিৰে থিয় দিয়াৰো সুযোগ প্ৰদান কৰিছিল। বন্ধুসকল, আপোনালোকে পৰীক্ষাগাৰত কৰা কঠোৰ সাধনা, উজাৰি কৰা আপোনালোকৰ ত্যাগৰ কথা কেৱল পৰীক্ষাগাৰৰ চাৰিসীমাৰ ভিতৰতে সীমাবদ্ধ কৰি ৰখাটো আপোনালোকৰ লগতে দেশবাসীৰ বাবেও অন্যায় কৰা হব। দেশৰ বৈজ্ঞানিক সামৰ্থ্য বৰ্দ্ধনৰ লক্ষ্যৰে আপোনালোকে কৰা কঠোৰ শ্ৰমৰ ফলসমূহক যদি আধুনিক সময়ৰ উপযোগী হোৱাকৈ যুগুতাই দেশৰ সৰ্বসাধাৰণৰ উপকাৰত নিয়োজিত কৰিব পৰা যায় তেতিয়াহে এইবোৰ অধিক ফলপ্ৰসূ হব। সেয়ে আমাৰ গৱেষণা তথা আমাৰ উদ্ভাৱনসমূহৰ চূড়ান্ত সাফল্যসমূহৰ ব্যৱহাৰিক সম্ভাৱনা নিশ্চিত কৰাটো আজিৰ প্ৰেক্ষাপটত অতিকে জৰুৰী হৈ পৰিছে। আপোনালোকৰ গৱেষণাই কোনোবা এজন দুখীয়াক সকাহ দিব পাৰে নেকি, কোনোবা মধ্যবিত্তৰ সমস্যাৰ সমাধান উলিয়াব পাৰে নেকি? যেতিয়াই আমাৰ বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন তথা সম্পৰীক্ষাই সামাজিক-অৰ্থনৈতিক সমস্যাৰ সমাধান সূত্ৰ উলিয়াব পাৰিব তেতিয়াই আপোনালোকৰ দৰে ব্যক্তিয়ে চূড়ান্ত পৰিণতিৰ দিশত আগবঢ়াৰ অথবা লক্ষ্য নিৰ্দ্ধাৰণ কৰিবলৈ সহজ হব। আন দহজনে নভবা ন-ন চিন্তাৰে উদ্বুদ্ধ আপোনালোকৰ দৰে বিজ্ঞান মনস্কই সৃষ্টিশীল প্ৰযুক্তিৰ উদ্ভাৱনৰে সৰ্বসাধাৰণ জনতাৰ জীৱন সমৃদ্ধ কৰাৰ লগতে দৈনন্দিন জীৱনৰ ছন্দ অধিক সাৱলীল কৰি তুলিব বুলি মই সদায়ে বিশ্বাস কৰো। ইতিমধ্যে বহুবোৰ বৈজ্ঞানিক প্ৰতিষ্ঠানে সৌৰ শক্তি, স্বচ্ছ শক্তি, জল সংৰক্ষণ আৰু আৱৰ্জনা প্ৰৱন্ধনৰ দৰে প্ৰসঙ্গত বিস্তৃত গৱেষণা আৰম্ভ কৰিছে বুলি মই জানিব পাৰিছো। এইবোৰ গৱেষণাৰ সাফল্যসমূহ গৱেষণাৰ মাজত সীমাবদ্ধ কৰি নৰখাই আমাৰ সকলোৰে দায়িত্ব বুলিয়েই মই অনুভৱ কৰো। সন্মানীয় বিজ্ঞানী আৰু ছাত্ৰ-ছাত্ৰীসকল, আপোনালোক সকলোৱে চাগৈ কোৱাণ্টাম মেকানিকছৰ অধ্যয়নৰত অথবা বিশেষজ্ঞ। মই পিচে এই বিষয় পঢ়া নাছিলো। পিছে আমাৰ দৈনন্দিন জীৱনৰ ব্যৱহাৰিক ক্ষেত্ৰত শিক্ষা দিব পৰা বহু পাঠ ভৌত বিজ্ঞানত সন্নিৱিষ্ট হৈ আছে বুলি মই বুজি পাও। এটা দ কুঁৱাৰ পৰা ক্লাছিকেল পাৰ্টিকল সহজে বিচাৰি উলিয়াব নোৱাৰি, কিন্তু এটা কোৱাণ্টাম পাৰ্টিকলক বিচাৰি উলিয়াব পাৰি। কিবা নহয় কিবা একোটা কাৰণত আমি নিজকে আচুতীয়া কৰি ৰাখো। আমি এটা প্ৰতিষ্ঠানে আন এটা প্ৰতিষ্ঠানৰ সতীৰ্থ বিজ্ঞানীসকলৰ সৈতে সহযোগিতা কৰিবলৈ কিম্বা ধাৰণাৰ, অভিজ্ঞতাৰ আদান-প্ৰদান কৰিবলৈ টান পাও। আমাৰ সম্পূৰ্ণ সম্ভাৱনীয়তাত উপনীত হবলৈ হলে আৰু ভাৰতীয় বিজ্ঞানক ইয়াৰ ন্যায্য স্থানত মহিমণ্ডিত কৰিবলৈ হলে, আমিবোৰ সীমাৰ মাজত আবদ্ধ থাকিও সহজে নিৰ্ণিত হব পৰা কোৱাণ্টাম পাৰ্টিকলৰ দৰে হব লাগিব। বিভিন্ন ক্ষেত্ৰত ব্যাপক ৰূপত বহুধা বিভক্ত হৈ পৰা আজিৰ বিজ্ঞান যত সমন্বিত প্ৰয়াসৰ প্ৰয়োজনীয়তা বাঢ়িছে এনে প্ৰেক্ষাপটত আজিৰ তাৰিখত এয়া আগতকৈও অধিক গুৰুত্বপূৰ্ণ হৈ উঠিছে। ব্যয়বহুল আৰু কম দিনৰ বাবে কৰ্মদক্ষতাসম্পন্ন ভৌতিক আৰু গৱেষণামূলক আন্তঃগাঁথনিসমূহৰ ব্যৱহাৰৰ ক্ষেত্ৰত অধিক অংশীদাৰিত্বত মনোনিবেশ কৰাৰ কথা মই কৈ আহিছো। বিজ্ঞানৰ বিভাগসমূহে এতিয়া বহুতৰপীয়া পদক্ষেপ গ্ৰহণৰ বাবে চিন্তা-চৰ্চা কৰি আছে বুলি মোক জানিবলৈ দিছে। এই ক্ষেত্ৰত এটা পৰ্টেল যুগুতাই উলিওৱা হৈছে আৰু ইয়াৰ জৰিয়তে বৈজ্ঞানিক আন্তগাঁথনিসমূহৰ ব্যৱহাৰিক অংশীদাৰিত্ব নিশ্চিত কৰাৰ লগতে স্বচ্ছ আৰু দক্ষতাৰে সমলৰ অংশীদাৰিত্ব নিশ্চিত কৰিব পৰা যাব। বিদ্যায়তনিক আৰু গৱেষণা তথা বিকাশ প্ৰতিষ্ঠানসমূহৰ মাজত এক শক্তিশালী সহযোগিতাৰ বাতাবৰণ সৃষ্টিৰ বাবে ইতিমধ্যে এক ব্যৱস্থা যুগুতাই উলিওৱা হৈছে। বিদ্বত্ মহলৰ পৰা প্ৰতিষ্ঠানলৈ, ঔদ্যোগিক খণ্ডৰ পৰা প্ৰাথমিক পৰ্যায়ৰ উদ্যোগীলৈকে বিজ্ঞান আৰু প্ৰযুক্তিৰ অংশীদাৰসমূহক একত্ৰিত কৰিব পৰাকৈ মহানগৰ ভিত্তিক এলানি গৱেষণা তথা বিকাশ ক্ষেত্ৰ গঢ়ি তোলাৰ ব্যৱস্থা কৰা হৈছে। সকলো প্ৰতিষ্ঠান তথা গৱেষণাগাৰক আমাৰ এই কৌশলৰ আৱৰ্ত্তলৈ অনাৰ দক্ষতাৰ ওপৰতে এই কাৰ্যক্ৰমৰ সাফল্য নিৰ্ভৰ কৰিব। নিশ্চিতবাৱেই এই ক্ষেত্ৰত আপোনালোক আটাইৰে আন্তৰিক সহযোগিতাৰ প্ৰয়োজন হব। দেশৰ প্ৰত্যন্ত এলেকাত কাম কৰি থকা এজন বিজ্ঞানীয়েও যাতে বাধাহীনভাৱেই, ধৰক, আইআইটি দিল্লী কিম্বা চিএছআইআৰ, ডেৰাডুনৰ পৰীক্ষাগাৰৰ আন্তঃগাঁথনিসমূহৰ ব্যৱহাৰৰ সুযোগ লাভ কৰিব পাৰে, সেই কথা নিশ্চিত কৰিব এই ব্যৱস্থাই। বহু অংশৰ যোগফলতকৈ আমাৰ কাম আৰু প্ৰয়াসৰ সামগ্ৰিক ফল অধিক হোৱাটো নিশ্চিত কৰাটোৱেই আমাৰ লক্ষ্য হোৱা উচিত। বন্ধুসকল, উন্নয়ন, প্ৰগতি তথা ৰূপান্তৰৰ ক্ষেত্ৰত বিজ্ঞান আৰু প্ৰযুক্তিয়ে এক অসাধাৰণ চালক যন্ত্ৰৰ দৰে ভূমিকা পালন কৰে। আমাৰ আৰ্থ-সামাজিক প্ৰত্যাহ্বানসমূহৰ প্ৰতি লক্ষ্য ৰাখি নিজৰ নিজৰ উদ্ভাৱনী ক্ষেত্ৰসমূহৰ দিক নিৰ্ণয়ত মনোনিবেশ কৰিবলৈ মই পুনৰবাৰ আপোনালোকক আহ্বান জনাব খুজিছে। দেশৰ লাখ লাখ লোক, বিশেষকৈ বহু হাজাৰ জনজাতীয় শিশু ছিকল চেল এনিমিয়াত আক্ৰান্ত হৈ আহিছে। ইয়াৰ নিৰাময়ৰ বাবে দশক জুৰি গৱেষণা চলাই থকা হৈছে, পিছে আমি বাৰু এইবিধ ব্যাযিৰ কম ব্যয়সাধ্য এক সহজ চিকিত্সা পদ্ধতি উদ্ভাৱন কৰি পৃথিৱীবাসীক উপকৃত কৰিম বুলি পণ লব নোৱাৰেনে? আমি বাৰু কম দৰৰ অধিক প্ৰটিনযুক্ত দাইলৰ নতুন প্ৰজাতি এটা বিকশিত কৰিব নোৱাৰোনে, যি অপুষ্টিৰ সমস্যা সমাধান কৰিব পাৰিব। আমাৰ শস্য আৰু শাক-পাচলিসমূহৰ মান আৰু অধিক উন্নত কৰি তুলিব নোৱাৰোনে? আমাৰ নৈবোৰৰ পৰিষ্কৰণ, জলাশয়ত বাহ লোৱা অপতৃণ নিস্কাষণ, অথবা প্ৰদূষণ আঁতৰোৱাৰ গতি অধিক দ্ৰুত কৰি তুলিব নোৱাৰোনে? মেলেৰিয়া, যক্ষ্মা কিম্বা জাপানী এনকেফেলাইটিছৰ দৰে বেমাৰ নিৰাময় কৰিবলৈ নতুন ঔষধ বিকশিত কৰিব নোৱাৰোনে? আমাৰ পৰম্পৰাগত জ্ঞানক আধুনিক বিজ্ঞানৰে সৃষ্টিশীলতাৰে সংপৃক্ত কৰিব পৰা ক্ষেত্ৰসমূহ আমি বাৰু বিচাৰি উলিয়াব নোৱাৰোনে? বন্ধুসকল, বিভিন্ন কাৰণত আমি প্ৰথম উদ্যোগ বিপ্লৱৰ সুযোগ গ্ৰহণ কৰিব নোৱাৰিলো। পিছে তেনে এক সুযোগৰ বাবে আজি আমি বঞ্চিত হব নোৱাৰো। আৰ্টিফিচিয়েল ইণ্টালিজেন্স, বিগ ডাটা এনালাইটিকছ, মেকাইন লাৰ্ণিং, চাইবাৰ ফিজিকেল চিষ্টেমছ, জেন’মিকছ আৰু ইলেক্ট্ৰিক ভেহিকলৰ দৰে ক্ৰমশ বিকশিত হোৱা নতুন ক্ষেত্ৰসমূহৰ প্ৰত্যাহ্বান গ্ৰহণৰ বাবে আপোনালোকে মনোনিবেশ কৰিব লাগিব। এইবোৰ নতুন প্ৰযুক্তি তথা উদ্ভাৱনী ক্ষেত্ৰত এখন দেশ হিচাপে আমি আমাৰ দৃঢ় পদক্ষেপ আগবঢ়োৱাতো নিশ্চিত কৰাৰ বাবে আপোনালোকে ভূমিকা গ্ৰহণ কৰক। এইবোৰ প্ৰত্যাহ্বান আমাৰ বিজ্ঞানী মহলে কেনেদৰে মোকাবিলা কৰে তাৰ ওপৰতে দক্ষ উত্পাদনশীলতা, দক্ষ মহানগৰী নিৰ্মাণ, ৪.০ উদ্যোগ স্থাপন, ‘ইণ্টাৰনেট অফ থিং’ৰ দৰে ব্যৱস্থাসমূহৰ সাফল্য নিৰ্ভৰ কৰিব। আমাৰ বৈজ্ঞানিক ব্যৱস্থাক উদ্ভাৱক, উদ্যোগীসকলৰ সৈতে প্ৰত্যক্ষভাৱে সংযুক্ত কৰি তেওঁলোকৰ সম্ভাৱনীয়তাৰ পূৰ্ণ ব্যৱহাৰ নি্চিত কৰাৰ লগতে সাফল্যৰ প্ৰবহন আৰু সামগ্ৰিক ব্যৱস্থাৰ সৱলীকৰণ নিশ্চিত কৰিব লাগিব। বন্ধুসকল, আমাৰ জলসম্পদ পৃথিৱীবাসীৰ বাবে ঈৰ্ষাৰ সমল হব পাৰে। ঠিক এই বিষয়টোলৈকে লক্ষ্য ৰাখি চৰকাৰে ষ্টেণ্ড আপ ইণ্ডিয়া, ষ্টাৰ্ট আপ ইণ্ডিয়া, দক্ষতা বিকাশ আঁচনি, প্ৰধানমন্ত্ৰী মুদ্ৰা যোজনাৰ দৰে কাৰ্যক্ৰম ৰূপায়ণত মনোনিবেশ কৰি আহিছে। এইলানি কাৰ্যক্ৰমৰ বাবে আমি এনে ২০টা প্ৰতিষ্ঠান স্থাপন কৰিবলৈ প্ৰচেষ্টা চলাইছো যিয়ে পৃথিৱীজোৰা খ্যাতি অৰ্জন কৰাৰ লগতে বিশ্বমানৰ প্ৰতিষ্ঠান হিচাপে পৰিচিতি লাভ কৰিব পাৰিব। যশস্বী প্ৰতিষ্ঠানৰ এই অভিযানত অংশগ্ৰহণ কৰাৰ বাবে উচ্চতৰ শিক্ষা কাৰ্যক্ৰমেৰে জড়িত চৰকাৰী আৰু বেচৰকাৰী খণ্ডৰ অনুষ্ঠান-প্ৰতিষ্ঠানসমূহক আগবাঢ়ি আহিবলৈ চৰকাৰে নিজেই ইতিমধ্যে আহ্বান জনাইছে। ইয়াৰ বাবে থকা বিধি-ব্যৱস্থাৰ সৰলীকৰণ তথা আইন ৰ সংশোধন কৰা হৈছে। এই সন্দৰ্ভত নিৰ্বাচিত কৰা ৰাজহুৱা খণ্ডৰ প্ৰতিষ্ঠানসমূহলৈ নিৰ্দিষ্ট সময় কালৰ বাবে ১০০০ কোটি টকাৰ বিত্তীয় সহযোগিতা পুঁজিৰ আবণ্টন দিয়া হব। মই এছ.এন. বসু ৰাষ্ট্ৰীয় বুনিয়াদী বিজ্ঞান কেন্দ্ৰৰ দৰে প্ৰতিষ্ঠানসমূহক এই কাৰ্যক্ৰমেৰে জড়িত হোৱাৰ বাবে আহ্বান জনাইছো।আপোনালোকৰ প্ৰতিষ্ঠানসমূহৰ বাতাবৰণ এনেদৰে গঢ়ি তোলাক যাতে সেই পৰিবেশ আৰু অধিক সংখ্যক ছাত্ৰ-ছাত্ৰীক, আৰু আৰু অধিক সংখ্যক যুৱক-যুৱতীক নতুন গৱেষণা তথা উদ্ভাৱনীমূলক কাৰ্যক্ৰমেৰে জড়িত হোৱাৰ বাবে উদগণি দিব পাৰে। যদি প্ৰতিগৰাকী বিজ্ঞানীয়ে কিঞ্চিত সময় উলিয়াই অন্ততঃ এটা হলেও শিশুক বিজ্ঞানৰ অধ্যয়ন তথা গৱেষণাৰ বাবে আগ্ৰহী কৰি তুলিব পাৰে তেন্তে ইয়ে অনাগত সময়ত দেশৰ বহু লক্ষ ছাত্ৰ-ছাত্ৰীৰ ভৱিষ্যত গঢ়িব পাৰিব। ১২৫ সংখ্যক জন্ম জয়ন্তীত এয়া হব আচাৰ্য সত্যেন্দ্ৰনাথ বসুলৈ আমাৰ আটাইতকৈ ডাঙৰ শ্ৰদ্ধাঞ্জলি। বন্ধুসকল, ২০১৭ চনত আমি সকলোৱে, দেশৰ ১২৫ কোটি ভাৰতীয়ই সামূহিকভাৱে এই পৱিত্ৰ সংকল্প গ্ৰহণ কৰিছিলো। সেই সংকল্প আছিল এখন নতুন ভাৰত গঢ়াৰ। এই সংকল্প আছিল, ২০২২ চনৰ ভিতৰত আমাৰ সমাজত বৰ্তি থকা বৈষম্য আঁতৰোৱাৰ। এই সংকল্প আছিল আমাৰ স্বাধীনতা সংগ্ৰামীসকলে দেখা সপোনৰ দৰে এখন ভাৰত গঢ়াৰ। ২০১৮ চনটো এই সংকল্প বাস্তৱায়িত কৰাৰ বাবে অতিকে গুৰুত্বপূৰ্ণ বছৰ। এইটো বছৰতে আমি আমাৰ সংকল্পত উপনীত হোৱাৰ বাবে সমগ্ৰ শক্তি, আমাৰ সমগ্ৰ সামৰ্থ্য উজাৰি দিব লাগিব। এই সাফল্যৰ বাবে দেশৰ প্ৰতিজন ব্যক্তিয়ে, প্ৰতিটো পৰিয়ালে, প্ৰতিটো প্ৰতিষ্ঠানে, প্ৰতিটো বিভাগে আৰু প্ৰতিটো মন্ত্ৰালয়ে নিজাববীয়াকৈ অৰিহণা আগবঢ়াব লাগিব। এখন ৰেলগাড়ীয়ে যেনেকৈ আৰম্ভণীৰ ৫-১০ মিনিটৰ ভিতৰতে সৰ্বাধিক গতিবেগ লাভ কৰিবলৈ সক্ষম হয়, ঠিক তেনেকৈয়ে ২০১৮ বৰ্যয়ো সৰ্বাধিক গতিবেগ লাভৰ অৰ্থকে সকিয়াইছে। দেশৰ বিজ্ঞানী সমাজ আৰু এই ক্ষেত্ৰৰে জড়িত সকলোৱেই ন-ন গৱেষণা আৰু উদ্ভাৱনেৰে নতুন ভাৰত গঢ়াৰ কামত মনোনিবেশ কৰিব লাগিব। দেশৰ দৰিদ্ৰ আৰু মধ্যবিত্ত ৰাইজক আপোনালোকৰ উদ্ভাৱনে শক্তি প্ৰদান কৰিব আৰু তেওঁলোকে শক্তিৱন্ত কৰি তুলিব সমগ্ৰ দেশকে। সেয়া লাগিলে আধাৰেই হওক অথবা প্ৰত্যক্ষ লাভ হস্তান্তৰকৰণ পদ্ধতিয়েই হওক, ভূমি স্বাস্থ্য পত্ৰই হওক কিম্বা কৃত্ৰিম উপগ্ৰহৰ নিৰীক্ষণ পদ্ধতি বা দ্ৰোণেই হওক এই সকলোবোৰতো আপোনালোকৰে অৱদান। বন্ধুসকল, গৃহ নিৰ্মাণ, খোৱাপানী, শক্তি ৰেল সেৱা, নৈ, পথ যোগাযোগ, বিমান বন্দৰ, জলসিঞ্চন, যোগাযোগ তথা ডিজিটেল ইনফ্ৰাষ্ট্ৰাকচাৰ আদিৰ দৰে ক্ষেত্ৰত নতুন নতুন উদ্ভাৱনী সম্ভাৱনীয়তাই আপোনালোকৰ বাবে অপেক্ষা কৰি আছে। চৰকাৰ আপোনালোকৰ লগত আছে, সম্পদ আপোনালোকৰ লগত আছে আৰু দক্ষতাৰ ক্ষেত্ৰত আপোনালোক যিহেতু অদ্বিতীয় সেয়ে যিকোনো পৰিস্থিতিতে আপোনালোক সফল হবই। আৰু আপোনালোক সফল হলে দেশলৈ সাফল্য আহিবই। আপোনালোকৰ সংকল্প বাস্তৱায়িত হলে দেশে গ্ৰহণ কৰা পৱিত্ৰ সংকল্পই বাস্তৱ ৰূপ ধাৰণ কৰিবই। বন্ধুসকল, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অৰ্থবহ হয় যদিহে ইয়াৰ পৰৱৰ্ত্তী কাৰ্যক্ৰম বাস্তৱায়িত হয়। মই শুনি সুখী হৈছো যে এই অনুষ্ঠানৰ পৰৱৰ্ত্তী সময়ত ৰূপায়িত হব লগা এলানি কাৰ্যক্ৰম ইতিমধ্যেই যুগুতাই উলিওৱা হৈছে। প্ৰত্যন্ত এলেকাৰ ১০০খন বিদ্যালয় আৰু মহাবিদ্যালয়ত বক্তৃতানুষ্ঠান, বহু সংখ্যক ৰাষ্ট্ৰীয় আৰু আন্তঃৰাষ্ট্ৰীয় বিজ্ঞান সমাবেশ, বৈজ্ঞানিক প্ৰত্যাহ্বানৰ সৃষ্টি কৰা ১২৫টা সমস্যাৰ সমাধান বিচাৰি বিভিন্ন প্ৰতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কৰাৰ দৰে বিভিন্ন কাৰ্যসূচী এই কাৰ্যক্ৰমত অন্তৰ্ভুক্ত কৰা হৈছে। আপোনালোকৰ প্ৰয়াস সফল হওক। সকলোলৈকে শুভকামনা জনালো। জয়হিন্দ। বহুত বহুত ধন্যবাদ।
pib-1435
1b12720d0822ac34b836d50b27d5a24d4b2da5c9960b2b92f6dff9cfd028e5bc
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর “স্বাধীনতার অমৃতকাল হল দেশের নাগরিকদের ‘কর্তব্যকাল’ : আমাদের ব্যক্তিগত তথা প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বই হল এই কর্তব্য পালন করা” “সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘আমরা, অর্থাৎ দেশবাসী’ – এই শব্দবন্ধটি হল একাধারে আহ্বান, আস্থা ও শপথ গ্রহণেরই এক প্রতীকী ব্যঞ্জনা” দেশের শীর্ষ আদালতে সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর, ২০২২ “আমরা, অর্থাৎ দেশের জনসাধারণ – এই কথাটি একাধারে আহ্বান, আস্থা ও শপথ গ্রহণের প্রতীকী ব্যঞ্জনা। সংবিধানের এই শক্তির মধ্যেই নিহিত রয়েছে ভারতাত্মার মনোবল। এই শক্তিই আবার ভারতকে গণতন্ত্রের জননী রূপে বিশ্বে পরিচিতি এনে দিয়েছে। আধুনিক সময়কালে জাতির সাংস্কৃতিক ও নৈতিক আবেগগুলির জন্ম হয়েছে দেশের সংবিধানকে ঘিরেই।” সংবিধান দিবস উপলক্ষে আজ দেশের শীর্ষ আদালতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ১৯৪৯ সালের এরকমই একটি দিনের কথা প্রসঙ্গত স্মরণ করেন তিনি। কারণ, এই দিনটিতেই দেশের এক নতুন ভবিষ্যতের সূচনা হয়েছিল। স্বাধীনতার এই অমৃত মহোৎসবকালে সংবিধান দিবসের গুরুত্বের কথাও তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান রচনার সঙ্গে যুক্ত ডঃ বাবাসাহেব আম্বেদকর সহ অন্যান্যদের উদ্দেশে এদিন গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। স্বাধীনতার বিগত ৭০ বছরে দেশের উন্নয়নের যাত্রাপথে তথা ভারতীয় সংবিধানের প্রসার ও প্রচারে আইন, বিচার ও প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের অবদান রয়েছে। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে তাঁদের সকলকেই অশেষ ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে ভারতের ইতিহাসে এক অন্ধকারময় দিনের কথাও স্মরণ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, সেই বছরটিতে দেশ যখন সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ দিনটি উদযাপনে ব্যস্ত, ঠিক তখনই এই ২৬ নভেম্বর তারিখটিতেই ভারতকে এক জঘন্যতম সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের শিকার হতে হয়। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা ছিল মানুষ তথা মানবতার শত্রু। মুম্বাইতে সেই কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। শ্রী মোদী বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ভারতের উন্নয়নশীল অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি সকলের কাছেই এক আশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের স্থিতিশীলতা সম্পর্কে যাবতীয় আশঙ্কা ও উদ্বেগকে তুচ্ছ প্রমাণ করে ভারত এখন সর্বশক্তি নিয়ে এগিয়ে চলেছে তার বৈচিত্র্যের গর্বকে সঙ্গে করে। দেশের এই সাফল্যের মূলে রয়েছে আমাদের সংবিধান। গণতন্ত্রের জননী রূপে ভারত যেভাবে সংবিধানের আদর্শকে আরও মজবুত করে তোলার মাধ্যমে জনমুখী নীতিগুলির বাস্তবায়ন তথা নারী ও দরিদ্রের ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে বিশেষ আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের আইনগুলি এখন আরও সহজ ও সরল করে তোলা হয়েছে যার ফলে সাধারণ মানুষও তার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। বিচার যাতে সঠিক সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে যে কর্তব্যগুলির কথা উল্লেখ করেছিলেন আজ তার পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এই কর্তব্য সম্পাদন হল সাংবিধানিক শক্তিরই এক বহিঃপ্রকাশ। দেশের অমৃতকালকে ‘কর্তব্যকাল’ রূপে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালেই দেশের স্বাধীনতার ৭৫টি বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এর মধ্য দিয়ে আগামী ২৫ বছরের লক্ষ্যে আমরা উন্নয়নের যাত্রাপথে সামিল হয়েছি। তাই, জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে কর্তব্য পালনের সেই মন্ত্রই হল আমাদের কাছে সর্বাগ্রগণ্য। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকাল হল এমনই একটি সময়কাল যা জাতি গঠনের কাজে দেশবাসীকে কর্তব্যনিষ্ঠ হয়ে ওঠার আহ্বান জানায়। ব্যক্তিগত তথা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কর্তব্য পালনই হল আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এই কর্তব্যপথ অনুসরণ করেই উন্নয়নের নতুন নতুন শিখরে দেশকে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর এক সপ্তাহকালের মধ্যেই ভারত জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছে। তাই, সঙ্ঘবদ্ধভাবে বিশ্বের দরবারে দেশের খ্যাতি ও সম্মানকে তুলে ধরা আমাদের সমবেত দায়িত্ব। গণতন্ত্রের জননী রূপে ভারতের যে পরিচিতি রয়েছে তাকে আরও সুসংহত করে তুলতে হবে। দেশের যুবশক্তির কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, আমাদের সংবিধান একাধারে উদার চিন্তাভাবনা, ভবিষ্যৎ দর্শন ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সুপরিচিত। তাই, ভারতের অগ্রগতির ইতিহাসে যুবশক্তির ভূমিকা ও অবদানেরও এক স্বতন্ত্র স্বীকৃতি প্রাপ্য। ভারতের সংবিধান সম্পর্কে দেশের যুব সমাজকে সচেতন করে তোলার ওপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষে মানুষে সমতা ও ক্ষমতায়নের যে কথা বলা হয়েছে সংবিধানের নীতিগুলিতে, সে সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে হবে বর্তমান প্রজন্মের তরুণ ও যুবকদের। সংবিধান রচনার পেছনে যে ইতিহাস ও কর্মপ্রচেষ্টা রয়েছে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে তাঁদের। এর মধ্য দিয়েই দেশের সংবিধান সম্পর্কে তাঁদের আগ্রহ ও ঔৎসুক্য বৃদ্ধি পাবে। দেশের সংবিধান রচনাকালে যে ১৫ জন মহিলা সদস্য যুক্ত ছিলেন তাঁদের মধ্যে দাক্ষায়নী ভেলাযুধানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দাক্ষায়নী এসেছিলেন সমাজের অবহেলিত মানুষদের প্রতিনিধি হয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সংবিধান রচনার কাজে তাঁর অবদানের কথা খুব কমই শোনা যায়। দলিত ও শ্রমজীবী মানুষের বহু বিষয়কেই তিনি সেই সময় সামনে আনতে পেরেছিলেন। একইসঙ্গে দুর্গাবাঈ দেশমুখ, হংস মেহতা এবং রাজকুমারী অমৃত কাউর সহ অন্যান্য মহিলা সদস্যের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নারীকল্যাণ সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। দেশের যুব সমাজ যখন এই সত্যগুলি জানতে পারবেন, তখন অনেক প্রশ্নেরেই উত্তর খুঁজে পাওয়া তাঁদের পক্ষে সহজ হয়ে উঠবে। শুধু তাই নয়, এর মধ্য দিয়ে সংবিধানের প্রতি তাঁদের আনুগত্যও বৃদ্ধি পাবে যা দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র তথা ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পক্ষে কাজ করে যাবে। শ্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার এই অমৃতকালে দেশের প্রয়োজন হল সংবিধানের প্রতি এই আনুগত্য, যা দেশকে এক উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে। আজ এই সংবিধান দিবসে সেই লক্ষ্যে আমাদের আবার নতুন করে সঙ্কল্পবদ্ধ হয়ে ওঠার শক্তি সঞ্চারিত হবে এর মধ্য দিয়ে। আজ সংবিধান দিবসের ঐ অনুষ্ঠানে ই-আদালত কর্মসূচির আওতায় কয়েকটি নতুন উদ্যোগেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলির মধ্যে রয়েছে – ভার্চ্যুয়াল জাস্টিস ক্লক, JustIS মোবাইল অ্যাপ ২.০, ডিজিটাল আদালত এবং S3WaaS ওয়েবসাইট। দেশের শীর্ষ আদালতে আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডঃ ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী শ্রী কিরেন রিজিজু, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল ও এস আব্দুল নাজির, কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এস পি বাঘেল, দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল শ্রী আর ভেঙ্কটরামানি, ভারতের সলিসিটর জেনারেল শ্রী তুষার মেহতা এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী বিকাশ সিং। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ই-আদালত কর্মসূচির আওতায় যে উদ্যোগগুলির আজ সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী, তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল বাদী-বিবাদী, আইনজীবী এবং বিচার ব্যবস্থার কাছে আইসিটি-র মাধ্যমে আদালত সংক্রান্ত বিশেষ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। ‘ভার্চ্যুয়াল জাস্টিস ক্লক’ হল এমনই একটি উদ্যোগ যার মাধ্যমে আদালত পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্যগত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। কোনও মামলার সূচনা, তার নিষ্পত্তি অথবা মামলা মুলতুবি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এর মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব হবে। দেশের আদালতগুলির কাজকর্মকে আরও স্বচ্ছ ও দায়বদ্ধ করে তোলাই এই উদ্যোগের এক বিশেষ লক্ষ্য। কোন মামলা বর্তমানে কোন অবস্থায় রয়েছে তার খুঁটিনাটিও জানা সম্ভব হবে এই ব্যবস্থায়। ‘ভার্চ্যুয়াল জাস্টিস ক্লক’-এর মাধ্যমে জনসাধারণ জেলা আদালতগুলির ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্যের খুঁটিনাটি সংগ্রহ করতে পারবেন। অন্যদিকে, ‘JustIS মোবাইল অ্যাপ ২.০’ হল এমনই একটি মাধ্যম যার সাহায্যে বিচার বিভাগীয় আধিকারিকরা আরও সুষ্ঠুভাবে আদালত তথা মামলা পরিচালনার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। কোন কোন মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে বা কোনগুলির নিষ্পত্তি হয়েছে, সে সম্পর্কেও তাঁরা অবহিত হতে পারবেন। এই অ্যাপটির মাধ্যমে দেশের উচ্চ আদালত এবং শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের কাজকর্মে সুবিধা হবে। দেশের সবক’টি রাজ্য ও জেলায় মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তাঁরা তথ্যের হদিশ পাবেন। আবার, ডিজিটাল আদালত হল এমনই একটি পদক্ষেপ যার মাধ্যমে বিচারপতিরা ডিজিটাল আকারে আদালতের যাবতীয় রেকর্ড দেখতে পাবেন। আদালতের কাজকর্মে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই এই বিশেষ উদ্যোগ। ‘S3WaaS ওয়েবসাইট’ হল এমনই একটি কাঠামো যার মাধ্যমে জেলা আদালতগুলির বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও পরিষেবার কাজগুলি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। এটি হল এক ধরনের ক্লাউড সার্ভিস। একাধিক ভারতীয় ভাষায় এই ওয়েবসাইটগুলি তৈরি করা হবে। ফলে, তা হয়ে উঠবে নাগরিক-বান্ধব। এটির আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল দেশের দিব্যাঙ্গজনরাও উপকৃত হবেন এর মাধ্যমে। (PG/SKD/DM/
pib-1437
9f837e242a15f077f8fdf9182c695b592228d6123ccbd617c6e70450e9c3f907
ben
শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক এপ্রিলে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য নয়াদিল্লি, ১৬ মে, ২০১৯ এপ্রিল মাসে পণ্য ও পরিষেবা মিলিয়ে ভারতের সার্বিক রপ্তানি ৪,৪০৬ কোটি ডলার হবে বলে ধরা হয়েছে যা ২০১৮-র এপ্রিলের তুলনায় ১.৩৪ শতাংশ বেশি। এপ্রিলে সার্বিক আমদানির পরিমাণ ধরা হয়েছে ৫,২৮৩ কোটি ডলার যা ২০১৮-র এপ্রিলের তুলনায় ৪.৫৩ শতাংশ বেশি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মার্চের সাম্প্রতিক তথ্য প্রকাশ করেছে। এপ্রিলের তথ্য খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে। এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ২১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা মূল্যের। ২০১৮-র এপ্রিলে এর পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৫২ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। বৃদ্ধির হার, ৬.৪৫ শতাংশ। গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলির রপ্তানি বেড়েছে। ২০১৯-এর এপ্রিলে আমদানির পরিমাণ ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪৩২ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। গত বছর ওই একই মাসে এই পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রে বৃদ্ধি হয়েছে ১০.৫২ শতাংশ। অশোধিত তেল এপ্রিল মাসে আমদানি হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৮৯ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫.৫৮ শতাংশ বেশি। এই সূত্রে বলা যায় যে, এপ্রিলে গ্লোবাল ব্রেন্ট-এর দাম কমেছে ২০১৮-র এপ্রিলের তুলনায় ০.৬০ শতাংশ। এই তথ্য পাওয়া গেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে। তেল নয়, এমন পণ্যের আমদানির পরিমাণ এপ্রিল মাসে ধরা হয়েছিল ২ লক্ষ ৮ হাজার ৪৪৩ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা মূল্যের যা গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৮.৭১ শতাংশ বেশি। ১৫ই মে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ডলারের মূল্যে রপ্তানিতে ৬.৫৯ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে ২০১৮-র মার্চের তুলনায়। ওই একই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৯-এর মার্চে আমদানি হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৬২ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকার যা ২০১৮-র মার্চের তুলনায় ডলারের প্রেক্ষিতে ১০.৫৫ শতাংশ বেশি। পণ্য ক্ষেত্রে ২০১৯-এর এপ্রিলে বাণিজ্য ঘাটতি ধরা হয়েছে ১,৫৩৩ কোটি ডলার। ২০১৮-র এপ্রিলে ঘাটতি হয়েছিল ১,৩৭২ কোটি ডলার। পরিষেবা ক্ষেত্রে মার্চ মাসের ঘাটতি ধরা হয়েছিল ৬৫৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে ২০১৯-এর এপ্রিলে বাণিজ্য ঘাটতি ধরা হয়েছে ৮৭৮ কোটি ডলার। ২০১৮-র এপ্রিলে ওই পরিমাণ ছিল ৭০৭ কোটি ডলার। CG/AP/DM (Visitor Counter : 101
pib-1439
33eee7de2466cb60da8d5f355eba496bbdac11ef086b4bfa76e8d082cee92885_1
ben
বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক সিএসআইআর-সিআইএমএফআর-এর প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর উদ্বোধন করেছেন ডঃ হর্ষ বর্ধন নয়াদিল্লি, ১৭ নভেম্বর, ২০২০ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ সিএসআইআর-এর ধানবাদের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মাইনিং অ্যান্ড ফুয়েল রিসার্চ -এর প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর উদ্বোধন করেছেন। মন্ত্রী অনলাইনের মাধ্যমে কয়লা থেকে সিন-গ্যাস প্ল্যাট, কয়লা থেকে গ্যাস উৎপাদন এবং আমদানিকৃত কোক কয়লার পরিবর্তে দেশীয় কয়লাকে নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে আরো উন্নত ব্যবহারের প্রক্রিয়াও জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। মন্ত্রী এই উপলক্ষে সিএসআইআর-সিআইএমএফআর-কে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ সাত দশক ধরে এই সংস্থা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনী কাজ চালিয়ে আসছে। ডঃ হর্ষ বর্ধন সিআইএমএফআর-এর কৌশলগত এবং পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে বেশ কিছু অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে পাথর খোদাই করার প্রযুক্তি রয়েছে। এই প্রযুক্তি সড়ক, রেলপথ, সুড়ঙ্গ, জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং খনির কাজ করতে সাহায্য করবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত ছাড়াও আমাদের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা মিজোরাম থেকে মায়ানমারের কালাদান মাল্টি-মডেল ট্রানজিট প্রকল্প, আফগানিস্তানে সালমা জলাধার এবং ভুটানে টালা ও পুনাতসাংচু ১ ও ২ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজও করেছেন। অনুষ্ঠানে ডঃ হর্ষ বর্ধন সংস্থার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর লোগোটিরও উদ্বোধন করেছেন। তাঁর উপস্থিতিতে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার পাঁচটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
pib-1440
8eb41efc068cbf13a1ba4071695d3915d8670fa6183178c938a469e6a66c4da5_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসী থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকা বিহার এমভি গঙ্গা বিলাসের যাত্রার সূচনা করলেন তিনি টেন্ট সিটি’র উদ্বোধন করেছেন এই অনুষ্ঠানে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি অভ্যন্তরীণ জলপথের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে “এমভি গঙ্গা বিলাস নৌ বিহারে পূর্ব ভারতের অনেক পর্যটন কেন্দ্র উপকৃত হবে” “আজ ভারতের যে সম্পদ সম্ভার আছে, তা অকল্পনীয়” “গঙ্গাজীকে শুধু নদী হিসাবেই বিবেচনা করা নয়, আমরা এই পবিত্র নদীকে সেবা করার জন্য নমামি গঙ্গে এবং অর্থ গঙ্গা প্রকল্পের সূচনা করেছি” “আজ বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি ক্রমশ বাড়তে থাকায় ভারতে সফর করার এবং এদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে” “একবিংশ শতাব্দীর এই দশক ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সংস্কারের দশক” “নদী জলপথ ভারতের নতুন এক শক্তি” নয়াদিল্লি, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসী থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকা বিহার এমভি গঙ্গা বিলাসের যাত্রার সূচনা করলেন। তিনি ঐ অনুষ্ঠানে টেন্ট সিটি বা তাবু শহরের উদ্বোধনও করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি অভ্যন্তরীণ জলপথের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। নদী-ভিত্তিক নৌ বিহার সংক্রান্ত পর্যটনের প্রসার ঘটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিষেবার সূচনা করা হয়েছে। এর ফলে, ভারতে নৌ বিহার সংক্রান্ত পর্যটনের নতুন যুগের সূচনা হবে, যার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন সুযোগকে কাজে লাগানো যাবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই ভগবান মহাদেবের বন্দনা করেন এবং লোহরি উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। শ্রী মোদী বলেন, সমাজসেবা, বিশ্বাস, তপস্যা এবং আস্থা আমাদের উৎসবগুলির অঙ্গ, যেখানে নদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ নদী জলপথের যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন বা শিলান্যাস হ’ল, তার মধ্য দিয়ে নদীর তাৎপর্য প্রতিফলিত। তিনি বলেন, কাশী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত নদীপথের দীর্ঘতম এই নৌ বিহার উত্তর ভারতের বহু পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে নিতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, আজ যে ১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং বারাণসী সহ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বোধন বা শিলান্যাস হয়েছে, তা আগামী দিনে পূর্ব ভারতে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনে গঙ্গার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে বহু মানুষ অন্যত্র চলে গেছেন। পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য সরকার দুটি উদ্যোগ নিয়েছে। গঙ্গাজীকে শুধু নদী হিসাবেই বিবেচনা করা নয়, আমরা এই পবিত্র নদীকে সেবা করার জন্য নমামি গঙ্গে এবং অর্থ গঙ্গা প্রকল্পের সূচনা করেছি। নমামি গঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে গঙ্গানদীকে দূষণমুক্ত করা হচ্ছে। এই নদী যেসব রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, সেখানকার অর্থনীতির মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে ‘অর্থ গঙ্গা’ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে। আজ প্রথম নৌকা বিহারে যেসব বিদেশি পর্যটকরা সামিল হয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের যে সম্পদ সম্ভার আছে, তা অকল্পনীয়”। তিনি আরও বলেন, ধর্ম বা আঞ্চলিকতার উর্ধ্বে উঠে ভারত সকলকে খোলা মনে স্বাগত জানায়। বিশ্বের যে কোনও অঞ্চলের পর্যটকদের স্বাগত। এই নৌ বিহারের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সবদিক থেকেই আলাদা। কাশী, বুদ্ধগয়া, বিক্রমশীলা, পাটনাশাহী এবং মাজুলির মতো ধর্মীয় স্থান দর্শনের পাশাপাশি পর্যটকরা বাংলাদেশের ঢাকা সফরেরও সুযোগ পাচ্ছেন। যাঁরা ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চান, তাঁদের সুন্দরবন এবং আসামের জঙ্গলে যেতে হবে। এমভি গঙ্গা বিলাস ২৫টি নদী অববাহিকার মধ্য দিয়ে যাত্রা করবে। এর ফলে, ভারতে নদীর প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হবে। যাঁরা ভারতের খাদ্যের প্রতি আগ্রহী, তাঁরা বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের স্বাদও উপভোগ করতে পারবেন। “ভারতের ঐতিহ্য ও এই নৌ যাত্রার আধুনিকতার এক অনন্য মেলবন্ধন উপভোগ করা যাবে”। নৌ বিহারের নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে দেশের যুবসম্প্রদায়ের কাছে নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। “শুধু বিদেশি পর্যটকরাই নন, ভারতের যেসব পর্যটক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন, তাঁরাও উত্তর ভারতে নতুন এক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন”। প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশ জুড়ে নৌকা বিহার পর্যটনকে উৎসাহিত করতে অন্যান্য জলপথগুলিকেও সংস্কার করা হচ্ছে। বিলাসবহুল পর্যটনের অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, আজ ভারতের পর্যটন শিল্প নতুন এক যুগের সূচনা করেছে। বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি ক্রমশ বাড়তে থাকায় ভারতে সফর করার এবং এদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এদেশে পর্যটন শিল্পের প্রসারে গত ৮ বছরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় স্থানগুলির মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কাশী তার একটি আদর্শ উদাহরণ। কাশী বিশ্বনাথ ধামের সংস্কার করার পর, এখানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে, স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। নতুন টেন্ট সিটি আধুনিকতার সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন ঘটাবে। এর মাধ্যমে পর্যটকরা পর্যটনের ভিন্ন এক স্বাদ পাবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। “একবিংশ শতাব্দীর এই দশক ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সংস্কারের দশক। ভারতে আজ পরিকাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা আগে কল্পনাও করা যেত না”। আবাসন, শৌচাগার, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, জল, রান্নার গ্যাস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সামাজিক পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। পাশাপাশি, রেল, জলপথ, বিমান পথ ও সড়ক পথের উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নতিও ঘটেছে। এর মাধ্যমে ভারতে দ্রুত উন্নয়ন প্রতিফলিত। সবক্ষেত্রে ভারত জগৎসেরা হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশে জলপথের ব্যবহার কম হ’ত। অথচ, ভারতের ইতিহাসে জলপথকে গুরুত্ব দেওয়ার নজির রয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রাচীন ইতিহাসের সেই শক্তির সঙ্গে আধুনিক ভারতের মেলবন্ধন ঘটানো হচ্ছে। দেশের বড় বড় নদীগুলির জলপথ সংস্কারের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৪ সালে দেশ জুড়ে মাত্র ৫টি জাতীয় জলপথ ছিল। আজ সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১১১ হয়েছে। এর মধ্যে দু’ডজন জলপথ দিয়ে পরিবহণ শুরু হয়েছে। আট বছরের আগের তুলনায় বর্তমানে নদীপথ ব্যবহার করে তিন গুণ বেশি পণ্য পরিবহণ হচ্ছে। পূর্ব ভারতের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উন্নত ভারতের জন্য পূর্ব ভারতকে চালিকাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সাহায্য করবে। হলদিয়ায় মাল্টি-মডেল টার্মিনাল বারাণসীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। এছাড়াও, ভারত – বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। কলকাতা বন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ তৈরি হবে। ফলস্বরূপ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে। দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, গুয়াহাটিতে একটি দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে জাহাজ মেরামতির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। “নৌ বিহার ও পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত জাহাজ পরিবহণ ক্ষেত্র পর্যটনের প্রসার ঘটাবে। সংশ্লিষ্ট শিল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন সুযোগও গড়ে তুলবে। সাম্প্রতিক কালের একটি সমীক্ষার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে জলপরিবহণে পরিবেশ দূষণের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি এই ব্যবস্থা অত্যন্ত অর্থকরী। সড়ক পরিবহণের থেকে জলপথে পরিবহণের ব্যয় আড়াই গুণ কম আর রেল পরিবহণের হিসেবে জলপরিবহণ দেড়গুণ সস্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি জাতীয় পণ্য পরিবহণনীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার জলপথের সংস্কার করতে হবে। দেশ জুড়ে ১২৫টির বেশী নদী এবং নদী অববাহিকার সংস্কার করতে হবে যাতে এইসব জলপথে সহজেই পণ্য পরিবহণ করা যায়। এর মাধ্যমে বন্দর ভিত্তিক উন্নয়নে গতি আসবে। অত্যাধুনিক বহুস্তরীয় জলপথ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে জলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে। তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের জলপথগুলির নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। “ উন্নত ভারত গঠনের জন্য শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। নদী জলপথ ভারতের নতুন এক শক্তি। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রসারে যা সহায়তা করবে। তিনি প্রথম নৌকা বিহারের যাত্রীদের আরামপ্রদ সফর কামনা করেন। অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বন্দর, জলপথ ও জাহাজ চলাচল মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেক্ষাপট: এমভি গঙ্গা বিলাস এমভি গঙ্গা বিলাস উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে ভারত এবং বাংলাদেশের ২৭টি নদী পেরিয়ে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে অসমের ডিব্রুগড়ে পৌঁছাবে। এমভি গঙ্গা বিলাসের তিনটি ডেক এবং ১৮টি স্যুট রয়েছে। ৩৬ জন পর্যটক বিলাসবহুল সুবিধা সহ ভ্রমণ করতে পারবেন। প্রথম দিনে যাত্রার জন্য সুইজারল্যান্ডের ৩২ জন পর্যটক তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এমভি গঙ্গা বিলাসকে বিশ্বের দরবারে প্রদর্শনের জন্য দারুণভাবে সাজানো হয়েছে। ৫১ দিনের এই যাত্রায় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থান, জাতীয় উদ্যান, নদী ঘাট এবং বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বাংলাদেশের ঢাকা এবং আসামের গুয়াহাটির মতো বড় শহরগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। এই সফর পর্যটকদের ভারত ও বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও অধ্যাত্মিকতার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগ করে দেবে। নৌকা বিহার পর্যটনে উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই পরিষেবার সূচনা করা হচ্ছে। এর ফলে ভারতে নৌকা বিহার পর্যটন ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হল। বারাণসী টেন্ট সিটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পর্যটনের মানোন্নয়নে গঙ্গা নদীর তীরে এই টেন্ট সিটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে কাশী বিশ্বনাথ ধামে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গঙ্গার ঘাটে ঠিক বিপরীতে তৈরি করা এই টেন্ট সিটিটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হবে। বারাণসী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পিপিপি মডেলে এটি তৈরি করেছে। বিভিন্ন ঘাট থেকে পর্যটকরা নৌকায় করে টেন্ট সিটিতে পৌঁছবেন। প্রতি বছর অক্টোবর থেকে জুন মাস পর্যন্ত চালু থাকবে এই টেন্ট সিটি। বর্ষাকালে নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার দিকটি বিবেচনা করে তিন মাস এটি বন্ধ থাকবে। অভ্যন্তরীণ জলপথ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ার মাল্টি-মডেল টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা এই হলদিয়া মাল্টি-মডেল টার্মিনালের পণ্য ওঠা-নামার ক্ষমতা প্রতি বছরে প্রায় ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। এছাড়াও, বার্থগুলি ৩ হাজার ডেড ওয়েট টন পর্যন্ত জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী সৈয়দপুর, চোচাকপুর, জামানিয়া এবং উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার কাঁশপুরে চারটি ভাসমান জেটির উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি দীঘা, নাগতাদিয়ারা, বাঢ়, পানাপুর এবং হাসানপুরে ৫টি জেটির শিলান্যাস করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার ও উত্তর প্রদেশে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ৬০টি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানোন্নয়নও ঘটবে। ক্ষুদ্র কৃষক, মৎস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা ও ফুল চাষীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। প্রধানমন্ত্রী গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সমুদ্র দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দক্ষ কর্মশক্তির বিকাশ ঘটাতে এই কেন্দ্র সাহায্য করবে। পণ্য পরিবহণ শিল্পের নতুন কর্মসংস্থানের চাহিদাও এই কেন্দ্রের মাধ্যমে পূরণ হবে। শ্রী মোদী অনুষ্ঠানে গুয়াহাটির পান্ডু টার্মিনালে একটি জাহাজ মেরামতি সুবিধা কেন্দ্র এবং পান্ডু টার্মিনালের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে একটি উড়ালপুলের শিলান্যাস করেন। জাহাজ মেরামতির সুবিধা কেন্দ্রটি গড়ে উঠলে কোনও জাহাজ মেরামতির জন্য আর কলকাতার উপর নির্ভর করতে হবে না। এর ফলে, প্রচুর পরিমাণ অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। উড়ালপুলটি পান্ডু টার্মিনালের সঙ্গে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলবে। PG/CB/SB (
pib-1443
ba221eb0fb0f271ea827fbe7ee22c3fb0f23458d76cc628502e6e4033add604a
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করলেন গুজরাটের কৃষকদের জন্য কিষাণ সূর্যোদয় যোজনার সূচনা ইউ এন মেহতা ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত পেডিয়াট্রিক হার্ট হাসপাতালের সূচনা করেছেন গিরনারে রোপওয়ের সূচনা নয়াদিল্লি, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গুজরাটে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করেছেন। শ্রী মোদী কিষাণ সর্বোদয় যোজনার সূচনা করেন। এই কর্মসূচির ফলে রাজ্যের কৃষকরা কৃষি সেচের জন্য ১৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ পাবেন। তিনি ইউ এন মেহতা ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত পেডিয়াট্রিক হার্ট হাসপাতালের সূচনা করেছেন এবং আমেদাবাদে সিভিল হাসপাতালে টেলিকার্ডিওলজির মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনেরও সূচনা করেন। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী গিরনারে রোপওয়ের সূচনা করেছেন। এই ৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী সাধারণ মানুষের আন্তরিকতা ও দৃঢ় সংকল্পের জন্য গুজরাট সর্বদাই এক ব্যতিক্রমী মডেল হয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সুজলাং সুফলাং সৌনি কর্মসূচি সূচনার পর গুজরাটের কৃষকদের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে কিষাণ সূর্যোদয় কর্মসূচি এক মাইলফলক হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুতায়নের ক্ষেত্রে গুজরাট কয়েক বছর ধরেই প্রশংসনীয় কাজ করেছে। এখন বিদ্যুতায়নের সাফল্য এই কর্মসূচিগুলির ভিত্তি হয়ে উঠেছে। শ্রী মোদী বলেন, রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়াতে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে সরবরাহ সমস্ত কাজই মিশন মোড-ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। ২০১০ সালে যখন পাঠানে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল, তখন কেউ ভাবতে পারেননি যে, ভারত একদিন সমগ্র বিশ্বের কাছে ‘এক সূর্য, এক বিশ্ব, এক গ্রিড’ – এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার পথে অগ্রসর হবে। প্রধানমন্ত্রী এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, গত কয়েক বছরে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের দিক থেকে ভারত বিশ্বে পঞ্চম স্থান অধিকার হয়েছে এবং দ্রুত আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। কিষাণ সূর্যোদয় যোজনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে কৃষকরা কেবল সেচের জন্যই রাত্রিবেলায় বিদ্যুতের সুবিধা পেতেন এবং এজন্য তাঁদেরকে সারা রাত জেগে থাকতে হ’ত। এমনকি, গিরনার ও জুনাগড়ে কৃষকদের বন্য জীবজন্তুর মুখোমুখী পর্যন্ত হতে হয়েছে। কিন্তু কিষাণ সূর্যোদয় যোজনার ফলে কৃষকরা ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিদ্যুতের সুবিধা পাবেন। এর ফলে, কৃষকদের জীবনে এক নতুন ভোরের সূচনা হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী অভিমত প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী দ্রুততার সঙ্গে নতুন বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের কাজ সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, বর্তমানে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন রয়েছে, তাতে কোনও রকম হস্তক্ষেপ না করেই নতুন এই সরবরাহ লাইনটির কাজ শেষ হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় আগামী ২-৩ বছরে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ সার্কিট কিলোমিটার নতুন সরবরাহ লাইন পাতা হবে। এর ফলে, আগামী দিনগুলিতে ১ হাজারেরও বেশি গ্রাম লাভবান হবে, যে গ্রামগুলি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার। তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন গুজরাটের লক্ষ লক্ষ কৃষকের জীবনে পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং গুজরাটের সর্বত্র বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানো ও তাঁদের সমস্যা দূর করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করতে সরকার যে সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, সে প্রসঙ্গে উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার কৃষক উৎপাদক সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে, নিমের আস্তরণ যুক্ত ইউরিয়া সরবরাহ করা হচ্ছে, সয়েল হেলথ কার্ড বন্টন করা হচ্ছে। এমনকি, একাধিক নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কুসুম যোজনার আওতায় কৃষক উৎপাদক সংগঠন, পঞ্চায়েত প্রতিষ্ঠান এবং এ ধরনের সংগঠনগুলিকে অনুর্বর জমিতে ছোটমাপের সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে, সৌরবিদ্যুৎ-কে কৃষকদের কৃষি সেচ ফার্মগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কৃষকরা তাঁদের কৃষি কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিক্রয় করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের পাশাপাশি, গুজরাট কৃষি সেচ ও পানীয় জল সরবরাহ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। একটা সময় ছিল, যখন মানুষকে জল সংগ্রহের জন্য নিদারুণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু আজ জলসঙ্কটে থাকা জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যা ছিল কল্পনার অতীত। সর্দার সরোবর কর্মসূচি এবং ওয়াটার গ্রিড উদ্যোগগুলির সফল রূপায়ণে গর্ব প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুটি কর্মসূচির ফলে গুজরাটের খরাপ্রবণ এলাকাগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রাজ্যের ৮০ শতাংশ পরিবারে পাইপ বাহিত পানীয় জল পৌঁছে যাচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই গুজরাটের প্রতিটি বাড়িতে পাইপ বাহিত পানীয় জলের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি প্রতি জল বিন্দুতে অধিক শস্য উৎপাদনের মন্ত্রকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কিষাণ সূর্যোদয় যোজনার সূচনা হচ্ছে। তিনি বলেন, দিনের বেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কৃষকরা ক্ষুদ্র সেচ উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত হবেন এবং কিষাণ সূর্যোদয় কর্মসূচিটি রাজ্যে ক্ষুদ্র কৃষি সেচ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে সাহায্য করবে। আজ সূচনা হওয়া ইউ এন মেহতা ইন্সটিটিউট ফর কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের কতিপয় হাসপাতালের মধ্যে এটি একটি যেখানে বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং আধুনিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার সুবিধা রয়েছে। শীঘ্রই এই হাসপাতালটি দেশের বৃহত্তম কার্ডিয়াক হাসপাতাল হয়ে উঠতে চলেছে। আধুনিক হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজের মধ্যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে গুজরাট প্রশংসনীয় কাজ করেছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে প্রতিটি গ্রাম উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবে। গুজরাটের ২১ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির আওতায় নিখরচায় চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৫২৫টির বেশি জনঔষধি কেন্দ্র থেকে স্বল্প মূল্যে ওষুধ বিক্রয় করা হচ্ছে। এমনকি, এই কেন্দ্রগুলিতে ওষুধ সংগ্রহের ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের প্রায় ১০০ কোটি টাকা সঞ্চয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গিরনার পর্বতে মাতা অম্বের অধিষ্ঠান। এই পর্বতে গোরখনাথ শৃঙ্গ, গুরু দত্তাত্রেয় শৃঙ্গ এবং একটি জৈন মন্দির রয়েছে। তিনি বলেন, এই পর্বতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বিশ্বমানের রোপওয়ে চালু হওয়ার ফলে, আরও বেশি সংখ্যক পুণ্যার্থী ও পর্যটক এখানে পৌঁছতে পারবেন। বনষ্কান্থা, পভাগড় এবং সাতপুরার পর এটি গুজরাটের চতুর্থ রোপওয়ে। তিনি বলেন, এই রোপওয়ে চালু হওয়ার ফলে কর্মসংস্থানের যেমন সুযোগ সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে তেমনই সাধারণ মানুষের স্থানীয় আর্থিক স্বচ্ছলতাও বাড়বে। তিনি বলেন, গিরনার পর্বতকে পর্যটক কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলতে পারলে পক্ষান্তরে স্থানীয় মানুষের আর্থিক দিক থেকে লাভবান হবে। শিবরাজপুর উপকূলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি এই সমুদ্র সৈকতটি ব্লু ফ্ল্যাগ শংসাপত্র পেয়েছে। এছাড়াও, এখানে যে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি রয়েছে, তা স্থানীয় মানুষকে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। আমেদাবাদে কাঁকাড়িয়া হ্রদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এখানে কেউ আসতেন না। কিন্তু এই হ্রদটি সংস্কারের পর বছরে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষ এটি দেখতে আসছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই হ্রদটি স্থানীয় মানুষের কাছে উপার্জনের উৎস হয়ে উঠেছে। পর্যটক এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে অল্প লগ্নি করে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যায়। শ্রী মোদী গুজরাটের মানুষ এবং সারা বিশ্বের ছড়িয়ে থাকা গুজরাটিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলির স্বরূপ তুলে ধরতে সকলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে এবং সার্বিক অগ্রগতিতে নিরন্তর সাহায্য করতে হবে। পটভূমি : কিষাণ সূর্যোদয় যোজনা – কৃষি সেচের জন্য দিনের বেলাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিজয় রুপানি সম্প্রতি কিষাণ সূর্যোদয় যোজনার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এই কর্মসূচির আওতায় কৃষকরা ভোর ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধা পাবেন। রাজ্য সরকার এই কর্মসূচি রূপায়ণে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন স্থাপনের জন্য ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করেছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই কর্মসূচির কাজ শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ৪৯০ সার্কিট কিলোমিটার দীর্ঘ ৬৬ কিলোওয়াট বিশিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন পাতা হবে। কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ এর মধ্যে দাহোদ, পতন, মহিসাগর, ছোটা উদেপুর, তাপি, ভালসাদ, অনন্ত প্রভৃতি জেলাকে যুক্ত করা হবে। বাকি জেলাগুলি ২০২২-২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইউ এন মেহতা ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ – এর সঙ্গে যুক্ত পেডিয়াট্রিক হার্ড হাসপাতাল – প্রধানমন্ত্রী আজ ইউ এন মেহতা ইন্সটিটিউট অফ কার্ডিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ – এর সঙ্গে যুক্ত পেডিয়াট্রিক হার্ড হাসপাতালেরও উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি, তিনি আমেদাবাদে সিভিল হাসপাতালে টেলিকার্ডিওলজির জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনেরও সূচনা করেন। ইউন এন মেহতা ইন্সটিটিউটটি হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভারতের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল হয়ে উঠতে চলেছে। এই হাসপাতালটি বিশ্বের কতিপয় হাসপাতালের মধ্যে একটি, যেখানে বিশ্বমানের চিকিৎসা পরিকাঠামো এবং চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা রয়েছে। এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি ৪৭০ কোটি টাকা খরচে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এর ফলে, শয্যা সংখ্যা ৪৫০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৫২ হবে। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি সর্ববৃহৎ একক সুপার স্পেশালিটি কার্ডিয়াক টিচিং ইন্সটিটিউট এবং বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একক সুপার স্পেশালিটি কার্ডিয়াক হাসপাতাল হয়ে উঠবে। গিরনার রোপওয়ে – এই রোপওয়েটির উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে গুজরাট আরও একবার বিশ্ব পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নেবে। রোপওয়ে-তে এখন ২৫-৩০টি কেবিন থাকবে, যেখানে প্রতি কেবিনে ৮ জন করে বসতে পারবেন। রোপওয়েটি চালু হওয়ার ফলে ২.৩ কিলোমিটার দূরত্ব ৭.৫ মিনিটে অতিক্রম করা সম্ভব হবে। এছাড়াও, রোপওয়েতে সফরের সময় গিরনার পর্বতের প্রাকৃতিক শোভা এবং সবুজের গালিচা পাতা বিস্তীর্ণ এলাকার সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। CG/BD/SB (
pib-1447
337af8c9965ec38eeaca68275cbf40488d0796bca3a5e1d1f12e253582bed4b5_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্যারালিম্পিক্স গেমসে শ্যুটার সিংহরাজ আধানার রৌপ্য পদক জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন নতুনদিল্লি, ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী টোকিও প্যারালিম্পিক্স গেমসে রৌপ্য পদক জেতায় শ্যুটার সিংহরাজ আধানাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “ সিংহরাজ আধানা আরো একবার তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব দেখালেন। মিক্সড ৫০মিটার পিস্তল এসএইচ১-এ তিনি আরো একটি পদক জিতলেন। তাঁর এই পদকপ্রাপ্তি ভারতকে আনন্দিত করেছে। তাঁকে অভিনন্দন জানাই। ভবিষ্যতে তাঁর আরো সাফল্য কামনা করি।#Paralympics #Praise4Para." CG/CB/ (
pib-1448
ed0349a28ebebaad1c13fbecd4183d70482291be60385a0bd4e2a47326f2ce54_2
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদ এবং বৌদ্ধ গবেষক অধ্যাপক রবার্ট থুরম্যানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নতুন দিল্লি, ২১ জুন, ২০২৩ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি, লেখক তথা বৌদ্ধ গবেষক, পদ্মশ্রী সম্মান প্রাপ্ত অধ্যাপক রবার্ট থুরম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিশ্বের সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় বুদ্ধের মতাদর্শ কিভাবে পথ দেখাতে পারে সে বিষয়টি উঠে আসে দুজনের আলাপচারিতায়। ভারতের বৌদ্ধ সংস্কৃতি এবং বৌদ্ধ ঐতিহ্যের প্রসারে এদেশের উদ্যোগের প্রসঙ্গও তাঁদের আলোচনায় জায়গা পেয়েছে। (
pib-1459
04963a255c8efe2469882575895ea6425769090d7d23178fa298015a5783cf91_4
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর মিজোরামকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন নয়াদিল্লি, ২ এপ্রিল, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ১১টি সুনির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য মিজোরামের জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই সমস্ত প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ গতকাল হয় উদ্বোধন করেছেন নয়তো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেছেন; “বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত এইসব উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে মিজোরামের জনসাধারণকে অভিনন্দন।” (PG/AB/NS
pib-1463
5bb6ca5b12149feb2cd477e2710e837887a817d9af2fc20bbdfb24f57ff640ab_1
ben
অসামরিকবিমানপরিবহণমন্ত্রক ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ থেকে আজ ১৩০০ ভারতীয়কে অসামরিক বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এ পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪০০ ভারতীয়কে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে নতুন দিল্লি, ০৭ মার্চ, ২০২২ ইউক্রেন থেকে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য 'অপারেশন গঙ্গা'র অধীনে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে সাতটি বিশেষ অসামরিক বিমানে আজ ১৩১৪ জন ভারতীয় কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে গত ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ থেকে এ পর্যন্ত বিশেষ বিমানে মোট ১৭ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। একটি সি-১৭ বিমান আজ সন্ধ্যায় পৌঁছানো আশা করা হচ্ছে। সেখানে মোট ২০১ জন যাত্রী রয়েছে। আজ যে বিশেষ বিমানগুলি ভারতে এসেছে তার মধ্যে ৪ টি দিল্লিতে এবং দুটি মুম্বাইতে নেমেছে। রাতের দিকে আরো একটি বিমান আসার কথা। পাঁচটি বিমান বুদাপেস্ট থেকে এবং একটি বুখারেস্ট ও একটি সুসেভা থেকে ভারতীয় যাত্রীদের নিয়ে এসেছে। আগামীকাল আরও দুটি বিশেষ বিমান সুসেভা থেকে চারশ জন যাত্রীকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা রয়েছে। CG/ SB (Visitor Counter : 110
pib-1469
39a0465ebd01c54892ce1acc4748f359b7c65af6c5369e40d66d68a5059cab3e
ben
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সর্দার প্যাটেল জাতীয় একতা পুরস্কারের আবেদনপত্র জমা দেবার শেষ তারিখ বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হল নতুন দিল্লি, ৪ মে, ২০২০ দেশের একতা ও সংহতিবোধ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নামে সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ‘সর্দার প্যাটেল জাতীয় একতা পুরস্কার’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুপ্রেরণাদায়ক ভূমিকা নিয়ে থাকেন, তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দিতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০১৯ এর ২০ সেপ্টেম্বর এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন বা সুপারিশের আহ্বান করে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে নীচের লিঙ্কটি ক্লিক করুন - www.nationalunityawards.mha.gov.in মনোনয়নগুলি অনলাইনে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (CG/CB/SFS
pib-1475
c0e6472759d099fcface114d04f39a72882e2592c7d8f354acd083a6e6a7c46f_1
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য ককলিয়া প্রতিস্থাপন প্রকল্পের প্রভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন আমরা আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বদা নিবেদিত: প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ৩ মার্চ, ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী, শ্রী নরেন্দ্র মোদী ককলিয়া প্রতিস্থাপন প্রকল্পের প্রভাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। এইক্ষেত্রে ৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের খরচ ছয় লক্ষ টাকা। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ ও ভারী শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রী কৃষাণ পাল গুর্জারের একটি ট্যুইট শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ট্যুইটে বলেন; “খুব ভালো তথ্য। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমরা সর্বদাই নিবেদিত৷” PG/PM/NS (
pib-1477
5a8bfc0c6d3c164e25d4b2a9dcc184a9401b8154653000ffad0419f696a0f084_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর রাখীবন্ধন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা নতুন দিল্লি, ২২ আগস্ট, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী পবিত্র রাখীবন্ধন উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন; “পবিত্র উৎসব রাখীবন্ধন উপলক্ষ্যে সকল দেশবাসীকে অনেক শুভকামনা জানাই।“ CG/CB/SFS (
pib-1482
ad7b58cc37984e268cfd1aa71e480de9c7d83ddaaaa2c5ac88df60f89fe639eb_3
ben
মানবসম্পদবিকাশমন্ত্রক ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটির ৩৪- তম সমাবর্তনে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দীক্ষান্ত ভাষণ নতুন দিল্লি, ১৫ এপ্রিল, ২০২১ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী শ্রী রমেশ পক্রিয়াল নিশাঙ্ক আজ ভার্চুয়াল মোডে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটির ৩৪-তম সমাবর্তনে দীক্ষান্ত ভাষণ দিয়েছেন। এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ২,৩৭,৮৪৪ জনকে ডিগ্রি, ডিপ্লোমা এবং শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে পুরো সমাবর্তন অনুষ্ঠানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কার্যালয় দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মোডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সফল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মুক্ত ও দূর শিক্ষার মাধ্যমে ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি এমন এক শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন যা একজন শিক্ষার্থীকে স্বনির্ভর করে তুলতে পারে। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষানীতি এমনই যার মূল বিষয় হলো শিক্ষা ব্যবস্থায় গঠনমুলক পরিবর্তন এনে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ এনরোলমেন্ট অনুপাতের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নতুন শিক্ষানীতির মূল বিষয় হচ্ছে চয়েস বেসড্ ক্রেডিট সিস্টেম বা সিবিসিএস-কে হাইলাইট করা। তিনি বলেন শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান সমাজে দুটোরই প্রয়োজন। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি ন্যাকের বিচারে ডাবল প্লাস গ্রেড পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাগেশ্বর রাও তার স্বাগত ভাষণে, করোনা জনিত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম গুলির বিবরণ দেন। উপাচার্য বলেন সারা বিশ্বব্যাপী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্র এবং ২১টি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ দিয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে প্রায় তিনশ অধিবেশন পরিচালনা করা হয়েছে। CG/ SB (Visitor Counter : 125
pib-1483
a76e55e6cc85033d7f846995ad23c31ec2faf426f2eba792de5b12a1863f27fd
ben
কয়লামন্ত্রক খনি মন্ত্রকের আওতাধীন কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড সবুজায়নের পথে এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, ডাম্পারগুলিতে ডিজেলের পরিবর্তে এলএনজি ব্যবহারের জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু করেছে নয়াদিল্লি, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খনি মন্ত্রকের আওতাধীন কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড কার্বন নিঃসরণ কমাতে সবুজায়নের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সিআইএল ডাম্পারগুলিতে ডিজেল ব্যবহার করার পরিবর্তে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্ব সর্ববৃহৎ এই কয়লা খনিতে পরিবহণে নিযুক্ত বড় বড় ট্রাক, ডাম্পারগুলিতে বছরে ৪ লক্ষ কিলো লিটারেরও বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। এর জন্য বার্ষিক ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়। জিএআইএল লিমিটেড এবং বিইএমএল লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে সিআইএল ডাম্পারগুলিতে এলএনজি ব্যবহারের জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। মহানদী কোলফিল্ড লিমিটেড - এ এই প্রকল্প চলবে। এর জন্য সিআইএল গেইল ও বিইএমএল – এর সঙ্গে এক সমঝোতা স্বাক্ষর করেছে। এই এলএনজি ব্যবহারের মূল উদ্দেশ্য হ’ল পরিবেশে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমিয়ে আনা ও সবুজ পৃথিবী গড়ে তোলা। প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্প যদি সফল হয়, আগামী দিনে এটি গেম চেঞ্জার হয়ে উঠবে। সিআইএল আড়াই হাজারেরও বেশি ডাম্পারে এলএনজি ব্যবহার করবে। এতে সংস্থার ডিজেল খরচ ৭৫ থেকে ৬৫ শতাংশে নেমে আসবে। এমনকি, জ্বালানী খরচও প্রায় ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে। পাশাপাশি, প্রায় বার্ষিক ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সংস্থার। সিআইএল –এর কার্যনির্বাহী অধিকর্তা জানিয়েছেন, এই প্রকল্প মাধ্যমে সংস্থার লাভ হবে। আপাত ৯০ দিন পরীক্ষামূলকভাবে এর কাজ চলবে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী খনিতে ব্যবহৃত ডাম্পার নির্মাতা সংস্থাগুলি এখন দ্বৈত জ্বালানী ব্যবস্থাপনা যুক্ত ইঞ্জিন তৈরির দিকে অগ্রসর হয়েছে। অর্থাৎ, এই ডাম্পারে এখন এলএনজি ও ডিজেল দুই ধরনের জ্বালানীই ব্যবহার করা যাবে। সিআইএল – এর এই প্রয়াস আগামী দিনে খনি ক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসবে। CG/SS/SB (Visitor Counter : 153
pib-1486
df8ee603ba9547a286cf279a2e8d8834f1b0f2327c877d43dc476cc2db34d9d4
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর ফিজির শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী “এই হাসপাতাল দু’দেশের সম্পর্কের প্রতীক, ভারত ও ফিজির যৌথ যাত্রা পথের আরেকটি অধ্যায়” “চিলড্রেনস হার্ট হাসপাতাল শুধু ফিজিতেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক অনন্য হাসপাতাল” “সত্য সাই বাবা আধ্যাত্মিকতাকে আচার অনুষ্ঠান থেকে মুক্ত করে মানুষের কল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন” “আমার সৌভাগ্য যে সত্য সাই বাবার আশীর্বাদ নিরন্তর আমার উপর বর্ষিত হয়েছে, আমি আজও তার স্পর্শ পাই” “পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং নাগরিকদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, ভারত-ফিজি সম্পর্কের ভিত্তি” নতুন দিল্লি, ২৭ এপ্রিল, ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, আজ ফিজির শ্রী শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন। ফিজির প্রধানমন্ত্রী ও নাগরিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতাল দু’দেশের সম্পর্কের প্রতীক, ভারত ও ফিজির যৌথ যাত্রাপথের আরেকটি অধ্যায়। শুধু ফিজিতেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই চিলড্রেনস হার্ট হাসপাতাল অনন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে হৃদরোগ এক বড় চ্যালেঞ্জ, এই হাসপাতাল হাজার হাজার শিশুকে নতুন জীবন দেবে। এখানে শিশুরা শুধু বিশ্বমানের চিকিৎসাই পাবে না, এখানকার যাবতীয় অস্ত্রোপচার বিনামূল্যে করা হবে। এজন্য তিনি ফিজির সাই প্রেম ফাউন্ডেশন, ফিজি সরকার এবং ভারতের শ্রী সত্য সাই সঞ্জীবনী চিলড্রেনস হার্ট হাসপাতালের প্রশংসা করেন। যাঁর রোপিত মানবসেবার বীজ আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে, সেই ব্রহ্মলীন শ্রী সত্য সাই বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শ্রী সত্য সাই বাবা আধ্যাত্মিকতাকে আচার-অনুষ্ঠান থেকে মুক্ত করে মানুষের কল্যাণের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দরিদ্র ও বঞ্চিতদের কল্যাণে তাঁর কাজ আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।” গুজরাট ভূমিকম্পের সময় সাই ভক্তদের সেবার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার পরম সৌভাগ্য যে, সত্য সাই বাবার আশীর্বাদ নিরন্তর আমার উপর বর্ষিত হয়েছে, আমি আজও তার স্পর্শ পাই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও ফিজি মানবসেবার ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বহন করছে। এই দায়বদ্ধতা থেকেই অতিমারীর সময় ভারত দেড়শোটি দেশে ওষুধ এবং প্রায় ১০০টি দেশে ১০ কোটি ডোজের কাছাকাছি টিকা পাঠিয়েছে বলে তিনি জানান। এই ধরণের প্রয়াসে ফিজিকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দু’দেশের সম্পর্কের গভীরতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মাঝখানে বিশাল সমুদ্র থাকলেও সংস্কৃতির যোগসূত্রে দুটি দেশ বাঁধা পড়েছে। ভারত ও ফিজির সম্পর্কের ভিত্তি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং নাগরিকদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ। ফিজির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভারত তার অবদান রাখতে পেরে গর্বিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামার জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাইনিমারামার নেতৃত্বে দু’দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে তাঁর আশা। CG/SD/SKD/ (
pib-1487
7617ce25593b7d10ae947ad124acde6a62bf41ec782670fb3ea2618dbf7fc2e5
ben
PIB Headquarters কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র প্রাত্যহিক সংবাদ নয়াদিল্লি, ১০ জুন, ২০২০ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য; সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে; আইসিএমআর ৫০ লক্ষেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করেছে; কোভিড-১৯ মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সহায়তার জন্য ৬টি শহরে কেন্দ্রীয় দল মোতায়েন দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ৫ হাজার ৯৯১ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর ফলে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ২০৫। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৩২। এই প্রথমবার সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেল। দেশে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৪৮.৮৮ শতাংশ। ভারতীয় চিকিৎসা গবেষণা পর্ষদের পরিচালনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২১৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদিকে পর্ষদ সংক্রামিত ব্যক্তিদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের নমুনা চিহ্নিতকরণের জন্য নমুনা যাচাই ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। দেশে সরকারি নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ৫৯০ এবং বেসরকারি নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ২৩৩। দেশে এখন সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা ৮২৩। কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলা ও প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত পদক্ষেপগুলির পর্যালোচনায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও পুর স্বাস্থ্য আধিকারিকদের টেকনিক্যাল সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় দলগুলি কলকাতা সহ দেশের ৬টি শহরে মোতায়েন করা হচ্ছে। এই দলগুলি সংশ্লিষ্ট রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে গৃহীত পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে দৈনিক-ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে প্রতিবেদন পাঠাবে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1630666 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। সিজিএইচএস – এর সুফলভোগীদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদানে সিজিএইচএস – এর নথিভুক্ত সমস্ত হাসপাতালকে রাজ্য সরকারগুলি কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছে সিজিএইচএস – এর আওতায় নথিভুক্ত সমস্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যা সংগঠনগুলিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সিজিএইচএস – এর অধীন সমস্ত বেসরকারি হাসপাতাল/ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সিজিএইচএস – এর সুফলভোগীরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই প্রেক্ষিতে সমগ্র পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, সিজিএইচএস – এর নথিভুক্ত সমস্ত হাসপাতাল, যেগুলিতে আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করেছে, সেখানে সিজিএইচএস – এর সুফলভোগীরাও আগের মতোই চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। মন্ত্রকের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত নথিভুক্ত সিজিএইচএস হাসপাতালগুলি কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষিত হয়নি, সেখানেও সিজিএইচএস – এর সুফলভোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা বা ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা যাবে না। নীতি-নির্দেশিকা লঙ্ঘিত হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1630602 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। লকডাউন ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে রেলের পণ্য পরিবহণ আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে কোভিড-১৯ এর দরুণ দেশ জুড়ে লকডাউনের সময় ভারতীয় রেল পণ্যবাহী ট্রেন পরিষবার মাধ্যমে অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রীর যোগান সুনিশ্চিত রেখে চলেছে। সাধারণ মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক সামগ্রীর সময়মতো সরবরাহ সুনিশ্চিত করতে এবং পরিকাঠামো শিল্প ক্ষেত্রের বিভিন্ন ধরনের কাঁচামালের যোগান অব্যাহত রাখতে ভারতীয় রেল কোভিড-১৯ লকডাউন সত্ত্বেও পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা পুরো দমেই চালু রেখেছে। রেলের এই পরিষেবার ফলে সাধারণ মানুষ সহ শিল্প ক্ষেত্রের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে। ভারতীয় রেল পয়লা মে থেকে ৩১শে মে পর্যন্ত ৮২.২৭ মিলিয়ন টন অত্যাবশ্যক সামগ্রী পরিবহণ করেছে, যা পূর্ববর্তী এপ্রিল মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। এছাড়াও, ভারতীয় রেল গত পয়লা এপ্রিল থেকে ৯ই জুন পর্যন্ত সারা দেশে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা নিরবচ্ছিন্ন পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে ১৭৫.৪৬ মিলিয়ন টন অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রী পরিবহণ করেছে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1630647 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। কেদারনাথ পুনর্নির্মাণ প্রকল্প পর্যালোচনায় প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উত্তরাখন্ড সরকারের সঙ্গে কেরদারনাথ ধাম উন্নয়ন ও পুনর্নির্মাণ প্রকল্পগুলির কাজকর্মের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেছেন। কেদারনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণে তাঁর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার কেদারনাথ ও বদ্রীনাথের মতো পবিত্র স্থানগুলির উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলি এমনভাবে প্রণয়ন করবে, যা কালোত্তীর্ণ হবে এবং সেই এলাকার পরিবেশের অনুকূল হয়ে উঠে পরিবেশ-বান্ধব হিসাবে পরিগণিত হবে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে এবং আগত পর্যটকদের চাপ কম থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এই পবিত্র স্থানগুলি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান নির্মাণ কাজের মরশুমটিকে এমনভাবে সদ্ব্যবহার করতে হবে, যাতে বাকি থাকা দ্রুত শেষ করা যায়, সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও যথাযথভাবে মেনে চলা যায়। বর্তমান মরশুমকে বাকি থাকা নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সদ্ব্যবহার করে আগামী বছরগুলিতে পর্যটকদের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার কাজ শেষ করা যায়। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1630620 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকে ইসরোর সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হবে : ডঃ জিতেন্দ্র সিং কেন্দ্রীয় আণবিক শক্তি ও মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং আজ বলেছেন, বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকেও তাদের সক্ষমতার মানোন্নয়নে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা -র যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বছরে মহাকাশ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতের সাফল্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডঃ জিতেন্দ্র সিং জানান, ভারতকে স্বনির্ভর করে তুলতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ পরিকল্পনা উদ্দেশ্যই হল মহাকাশ কর্মসূচিগুলিতে বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণ বাড়ানো। তিনি সুস্পষ্টভাবে জানান, ভারতের মহাকাশ যাত্রাপথে বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিও সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে। বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি কৃত্রিম উপগ্রহ, উৎক্ষেপণ এবং মহাকাশ-ভিত্তিক পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মহাকাশ অনুসন্ধান সহ বহির্বিশ্বে গবেষণামূলক কাজকর্মে বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণকে খুলে দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1630524 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোনে কথা প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী টেলিফোনে ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতি মিঃ রডরিগো দুর্তেতের সঙ্গে কথা বলেন এবং কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলায় দু’দেশের সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। উভয় নেতাই একে অপরের দেশে নাগরিকদের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। সেদেশে ভারতের পক্ষ থেকে অত্যাবশ্যক ওষুধ সামগ্রীর সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, ফিলিপিন্সের রাষ্ট্রপতি তার প্রশংসা করেন। বিস্তারিত বিবরণের জন্য https://pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1630515 – এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। পিআইবি’র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য · চন্ডীগড় : কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের প্রশাসক আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর জন্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাঁরা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছেন, সেই সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী, পুর কর্মী, পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি অন্য রাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি বজায় রাখার জন্য জেলা কর্তৃপক্ষগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি, কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখার কথা বলেছেন। · হরিয়ানা : রাজ্য সরকার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বিভিন্ন জেলায় দু’দিন দু’রাত্রি সফরের নির্দেশ দিয়েছেন। এই আধিকারিকরা জেলা সফরে গিয়ে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেলা কর্তৃপক্ষগুলিকে উদ্বুদ্ধ করবে। · মহারাষ্ট্র : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯০ হাজার ৭৮৭। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৮৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪২ হাজার ৬৩৮ জন। এদিকে মুম্বাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে ৫০ হাজার ৮৭৮ হয়েছে। এই শহরেই মারা গেছেন ১ হাজার ৭৫৮ জন। চীনে করোনা ভাইরাসের উৎস-স্থল উহানে আক্রান্তের সংখ্যাকেও মুম্বাই ছাড়িয়ে গেছে। গত ৭ দিনে সংক্রমণের উৎস-স্থল ধারাবি থেকে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। · গুজরাট : রাজ্যে নতুন করে ৪৭০ জন আক্রান্ত হওয়ায় সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৪৪। এর মধ্যে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩১৩ জনের। · রাজস্থান : রাজ্যে আজ সকাল পর্যন্ত আরও ১২৩ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। এর ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৩৬৮। আজ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫০২ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। করোনা সংক্রমণের ঘটনা ক্রমাগত বাড়তে থাকায় আন্তঃরাজ্য সীমান্তগুলি সীল করে দেওয়া হয়েছে। · মধ্যপ্রদেশ : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৮৪৯। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭০০ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭২৯ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪২০ জনের। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার জাতীয় গড় হার ৫.৪ শতাংশের তুলনায় অনেকটা কমে হয়েছে ২.৭৪ শতাংশ। · ছত্তিশগড় : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ৪৩ জনের সংক্রমণের খবর মেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৫১। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫৯। · গোয়া : রাজ্যে মঙ্গলবার আরও ২৯ জনের সংক্রমণের ফলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫৯। এদের মধ্যে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯২ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৬৭ জন রোগী। · অরুণাচল প্রদেশ : রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্যান্য রাজ্য থেকে ১১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি এ রাজ্যে ফিরেছেন। রাজ্যের বাইরে থেকে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। · আসাম : রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯২। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। · মণিপুর : রাজ্যে আরও ৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩০৯। এরা সকলেই বাইরে থেকে রাজ্যে ফিরেছিলেন। · মিজোরাম : লকডাউন সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা আংশিক সংশোধন করে জারি করা হয়েছে। রাজ্যের লিঙপুই বিমানবন্দর চালু থাকছে। · নাগাল্যান্ড : রাজ্যের নাগরিক সংগঠনগুলি আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ি থেকেই প্রার্থনা কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে মোমবাতি ও মোবাইল ফোনের আলো জ্বালানোর জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ৫ হাজার ৯২২ জন ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। · কেরল : ত্রিবান্দ্রম মেডিকেল কলেজ থেকে পালিয়ে যাওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক রোগীকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে আত্মহত্যা করেছেন। যদিও তাঁর দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষার পরিণাম নেগেটিভ এসেছিল। জনৈক ঐ ব্যক্তির পারিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভা কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে উপসাগরীয় দেশগুলিতে আরও ৪ জন কেরলবাসীর মৃত্যু সঙ্গে মোট ২০৭ জন মালয়ালি এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন। রাজ্যে পর পর দু’দিন ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা ২ লক্ষ ছাড়িয়েছে। · তামিলনাডু : রাজ্য সরকার স্বীকার করে নিয়েছে, কোভিড-১৯ এর মৃত্যু পরিসংখ্যানে সম্ভবত ত্রুটি রয়েছে। চেন্নাইয়ে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডিএমকে – এর এক বিধায়ক চেন্নাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৯১৪। মৃত্যু হয়েছে ৩০৭ জনের। কেবল চেন্নাইয়েই আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৫৭০। · কর্ণাটক : রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর মৃতদের কোভিড পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২৯১। সুস্থতার হার ৪৪ শতাংশেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যে নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২৪৮। মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। · অন্ধ্রপ্রদেশ : মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪০ জন সুফলভোগীকে বার্ষিক ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়ার জন্য এক কর্মসূচির সূচনা করেছেন। রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৩৬ জনের আক্রান্তের খবর মিলেছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। এর ফলে, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ১২৬। নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৭৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭৮ জনের। · তেলেঙ্গানা : গান্ধী হাসপাতালে গতকাল এক জন চিকিৎসককে আক্রমণের ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকরা আজ প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হন। রাজ্য সরকার বিদ্যালয়গুলিতে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করার কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্যে আজ পর্যন্ত প্রবাসী ব্যক্তি ও বিদেশ ফেরৎ মিলিয়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৮। CG/BD/SB (
pib-1490
b9b2eab35a1f358e254538e4a4ccc542f1c9ea8bd47f5890d908b5120646611e_3
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক কোভিড ১৯ টিকাকরণের ১০৩ তম দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ২০ লক্ষর বেশী টিকা দেওয়া হয়েছে, দেশে প্রায় ১৫ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে নতুনদিল্লি, ২৮শে এপ্রিল, ২০২১ দেশে কোভিড-১৯ এর টিকার মোট ১৪,৯৮,৭৭, ১২১টি ডোজ পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষের বেশী ডোজ । এর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৯৩,৬৬,২৩৯ জন , আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬১,৪৫,৮৫৪ জন । প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে ১,২৩, ০৯,৫০৭জন প্রথম ডোজ আর ৬৫,৯৯,৪৯২ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। যাদের বয়স ৪৫ থেকে ৬০ এর মধ্যে , এরকম নাগরিকদের মধ্যে ৫,০৯,৭৫,৭৫৩ জন টিকার প্রথম ডোজ আর ৩১,৪২,২৩৯ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। ষাটোর্ধ নগরিকদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৫,১৪,৭০,৯০৩ জন আর ৯৮,৬৭,১৩৪ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। টিকাকরণের ১০৩ তম দিনে রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে ২০, ৪৯, ৭৫৪ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১,৯২,৩৯৪ জন প্রথম ডোজ আর ৮,৫৭,৩৬৯ জন দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন। SC/CB/ (Visitor Counter : 127
pib-1491
bbfa1bfacc8ea7736b854ea1797400cddfb03b4a15fca97081fbe45e8663fb9f_2
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক বিশাখাপত্তনমে উন্নত হালকা হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন আইএনএএস ৩২৪-এর অন্তর্ভুক্তি নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই, ২০২২ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এক হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনকে নৌ-বাহিনীতে সামিল করা হল। ভারতীয় নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল বিশ্বজিৎ দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে ৪ জুলাই নৌ-বাহিনীতে এই এয়ার স্কোয়াড্রন ৩২৪-এর অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। বিশাখাপত্তনমে রণতরী আইএনএস ডেগা-য় এই উপলক্ষে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত উন্নত হালকা হেলিকপ্টার এমকে-থ্রি এই স্কোয়াড্রনে থাকছে। শিকারী পাখি ‘ক্রেস্টাল’-এর নাম অনুসারে আইএনএএস ৩২৪-এর নামকরণ করা হয়েছে। এর ফলে সমুদ্রে তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি সুসংহত পদ্ধতিতে সমুদ্রে বিভিন্ন অঞ্চলের নজরদারি করা সম্ভব হবে এবং প্রয়োজনে উদ্ধার কাজেও হেলিকপ্টারগুলি ব্যবহার করা যাবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত এই হেলিকপ্টারগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য রেডার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর রয়েছে। কেন্দ্রের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেডের দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই হেলিকপ্টার নৌ-বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হল। হেলিকপ্টারগুলি পরিদর্শন, ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ করা ছাড়াও বিশেষ অভিযান চালাতে সক্ষম। এখানে উন্নত চিকিৎসার সরঞ্জামও রয়েছে। অন্তর্ভুক্তির পর ভাইস অ্যাডমিরাল দাশগুপ্ত বলেন, এর ফলে নৌ-বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের পক্ষে সমুদ্রপথে নজরদারি চালাতে আরো সুবিধা হবে। PG/CB/DM (Visitor Counter : 89
pib-1494
d477f17d86b82143bd794faebff717c89e6444c6e003507721ee107bd6878114_3
ben
যুবওক্রীড়াবিষয়কমন্ত্রক নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস পালন করল কলকাতা, ১০ অক্টোবর, ২০১৮ আন্তর্জাতিক কন্যা-শিশু দিবস উপলক্ষ্যে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের বিকাশ এবং উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগগুলি যথাযথভাবে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে মেয়েদের এগিয়ে আসতে বলে জানান প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো, কলকাতার অতিরিক্ত মহানির্দেশক শ্রীমতি জেন নামচু। অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে কর্মসূচিগুলি গ্রহণ করেছে সেগুলির সদ্ব্যবহার করতে হলে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের কর্মসূচি থেকে কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যেতে পারে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার জন্য অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি মেয়েকে এ বিষয়ে উৎসাহিত করার কথাও তিনি বলেন। বর্তমানে নতুন প্রযুক্তি শেখার ইচ্ছের পাশাপাশি কর্মসংস্হানের উপযোগী এবং ব্যবহারিক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন, কলকাতার রাজ্য অধিকর্তা শ্রী নবীন কুমার নায়েক বলেন, এই প্রজন্মের মেয়েরা আগামী দিনের পথ প্রদর্শক। তারা শক্তির উৎস এবং এরা আগামীদিনের রূপান্তর ঘটাতেও সক্ষম। দেশের বিকাশ এবং উন্নয়নে মেয়েরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রতিনিধিরাও উপস্হিত ছিলেন। তাঁরা মেয়েদের সামগ্রিক বিকাশে পুষ্টিরও যে একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা করেন। প্রসঙ্গত, আজ ঐ অনুষ্ঠানে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৫০০ জন মহিলা অংশ নেয়। ক্রীড়া এবং সমাজসেবায় উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য কয়েকজনকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। একইসঙ্গে, ‘দ্য ইন্টান্যাশনাল ডে অফ দ্য গার্ল চাইন্ড- ইউথ হার-এ স্কিল্ড গার্ল ফোর্স’ শীর্ষক একটি আলোচনারও আয়োজন করা হয় ঐ অনুষ্ঠানে। CG/SSS/NS/… (Visitor Counter : 102
pib-1498
4c99ed6d46902426e124cb70f576bb282aafcc5e7fbf56fd750ee6f16f31d666
ben
স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক ১লা জুলাই থেকে অক্সিটোসিন তৈরী নিষিদ্ধ করা হচ্ছে দেশের মধ্যে ব্যবহারের জন্য কেবল কেএপিএল অক্সিটোসিন প্রস্তুত করবে পয়লা জুলাই ২০১৮ থেকে দেশের মধ্যেই কেবল ব্যবহারের জন্য অক্সিটোসিন প্রস্তুতির ছাড়পত্র কেবল সরকারী সংস্থাকেই দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। অক্সিটোসিন ও এই জাতের ওষুধের আমদানিও মন্ত্রক নিষিদ্ধ করছে। পয়লা জুলাই থেকে কোন বেসরকারি সংস্থাকে দেশের মধ্য বিক্রয়ের জন্য অক্সিটোসিন তৈরির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।সেদিন থেকে সরকারি সংস্থা কর্ণাটক অ্যান্টিবায়োটিকস অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড দেশের মধ্যে সরবরাহের জন্য ওষুধটি প্রস্তুত করতে পারবে। প্রস্তুতকারক সংস্থা কেএপিএল ওষুধটি সরাসরি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করবে। খুচরো দোকানের মাধ্যমে অক্সিটোসিন জাতীয় কোন ওষুধের বিক্রয়ের অনুমতি দেওয়া হবে না। সেইজন্য দেশের প্রত্যেকটি নথিভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে অক্সিটোসিন কেনার জন্য কেএপিএল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্ডার দিতে বলা হচ্ছে। এর জন্য কেএপিএল সংস্থার ই-মেল ঠিকানা [email protected] – এ যোগাযোগ করা যেতে পারে। যোগাযোগের কয়েকটি নম্বর হলঃ ডঃ মুকেশ কুমার – ৯৮৮০১৭৫৭৬৬, শ্রী সন্তোষ কুমার – ৯৯০১৬১১২৭৭, শ্রী সুনীল কুমার – ৯৮৪৫২৩১০১৯। (Visitor Counter : 132
pib-1504
50ade6fadafbe17b03d884eba748da625b005cff68bac8b8a7025b940e84a774
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের মধ্যে টেলিফোনে কথা নয়াদিল্লী, ৩ মে, ২০২১ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন। দুই নেতার মধ্যে কোভিড-১৯এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় ভারতের চলতি প্রয়াস সহ ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় হল। প্রধানমন্ত্রী মোদী কোভিড-১৯এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে দ্রুত সাহায্যের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য দেশগুলির প্রশংসা করলেন। তাঁরা বলেন, জুলাইয়ে সর্বশেষ শিখর সম্মেলন থেকে ভারত- ইউরোপীয় ইউনিয়ন রণকৌশলগত অংশীদারিত্ব নতুন গতির সাক্ষী থাকছে। নেতারা সহমত হন যে আগামী ৮ মে ২০২১এ ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আসন্ন ভারত-ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেতাদের বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ইতিমধ্যেই স্থাপিত বহুমুখী সম্পর্কে আরও গতি যোগাবে। ভারত-ইউরোপীয়ান নেতাদের এই বৈঠক ইইউ+২৭ ফরম্যাটে প্রথম বৈঠক এবং এতে প্রতিফলিত হচ্ছে ভারত ইইউ রণকৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার জন্য দুই পক্ষেরই উচ্চাশা। SC/AP/NS (Visitor Counter : 148
pib-1506
2659dc7789ebcbdefa1abe2e8173a3c473e0387ca9a3def5bd8a73531a3807c5_3
ben
প্রতিরক্ষামন্ত্রক ভারতীয় সেনাবাহিনী উত্তর সিকিম থেকে চীনা নাগরিকদের উদ্ধার করেছে নতুন দিল্লি, ৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভারতীয় সেনাবাহিনী, উত্তর সিকিম থেকে চীনা নাগরিকদের উদ্ধার করেছে। তেসরা সেপ্টেম্বর উত্তর সিকিমে ১৭৫০০ ফুট উচ্চতায় চীনের ৩ নাগরিকের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী।চীনা নাগরিকরা উত্তর সিকিমের উপত্যকায় রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন। এদের মধ্যে ২ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা। ঐ তিন জনের প্রাণ সংশয় বুঝতে পেরে ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের কাছে পৌঁছে যান। উচ্চতম জায়গায় চরম খারাপ আবহাওয়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনী তাঁদের অক্সিজেন, খাবার এবং গরম পোষাক দিয়ে সাহায্য করে। এর পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা চীনের নাগরিকদের গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। বিপদে পড়া ঐ তিন নাগরিক, ভারত এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্রুত তৎপরতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। (CG/CB/SFS
pib-1508
cad7e8c0c0796e22f243a740e4aeef6b5a2330a9778c8bc01266adc20f5ad23f_2
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর উত্তর-পূর্বের রেল যোগাযোগ ও পরিকাঠামো মজবুত হওয়ায় প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গুয়াহাটিতে আজ রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু, মেন্দিপাথার-গুয়াহাটি-শোকহুভি-র মধ্যে বিশেষ ট্রেনের যাত্রা সূচনা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় রেলের এক ট্যুইটের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন, “উত্তর-পূর্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করার জন্য গত আট বছর ধরে অবিরাম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই অঞ্চলের যুবশক্তির জন্য এটি বিশেষভাবে সহায়ক হবে।” (PG/PM/DM/
pib-1516
1fb631f1dc02b16e64c3dadbc05bec891b365689de467a28c25c7f98a72e409d
ben
উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয় ঈদ-উল-ফিতরের প্রাক্কালে উপ রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা নতুন দিল্লি, ২৪ মে, ২০২০ উপ রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু ঈদ-উল-ফিতরের পবিত্র অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ঈদকে পরিবার ও সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার একটি অনুষ্ঠান হিসাবে বর্ণনা করে, তিনি সবাইকে এই ঈদ উদযাপনের সময় সামাজিক দূরত্বের সুরক্ষাবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ জানান। এক বার্তায় উপ রাষ্ট্রপতি বলেছেন - "আমি ঈদ-উল-ফিতরের পবিত্র অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ-উল-ফিতর চিরাচরিতভাবে পবিত্র রমজান মাসের শেষের দিন এবং ইসলামী ক্যালেন্ডারের দশম মাস শাওয়াল শুরুতে উদযাপিত হয়ে থাকে। এই উৎসব সমাজে আমাদের সহানুভূতি, দানশীলতা এবং উদারতার মনোভাবকে শক্তিশালী করে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এক অনুষ্ঠান। যাইহোক, এই বছর, ভারত এবং বিশ্ব কোভিড-১৯ এর প্রসারের বিরুদ্ধে নিরলস যুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ায়, আমরা আমাদের প্রায় সব চিরাচরিত উৎসব ঘরে বসে পালন করছি। সুতরাং, আমাদের এই উৎসবে সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব ও ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিধিগুলি মেনে চলতে হবে। তবুও, আমি আশা করি যে আমরা সকলেই পবিত্র অনুষ্ঠানের অন্তর্নিহিত আনন্দ, করুণা এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাকে বাঁচিয়ে রেখে উৎসবটি উদযাপন করব। ঈদ-উল-ফিতরের সাথে যুক্ত মহৎ আদর্শ আমাদের জীবনে স্বাস্থ্য, শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির সূচনা করুক।” (CG/SS
pib-1518
d5ea30ec3684d2eb182e52f4f7ecd181621694c353a08146fcc7152bd78de907_2
ben
ভারী শিল্প মন্ত্রক গাড়ি নির্মাণ শিল্পের রপ্তানী নয়াদিল্লি, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ভারতীয় গাড়ি নির্মাণ সংস্হার তথ্য অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ৯ কোটি ৬৩ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকারও বেশি মূল্যের ৩ হাজার ৪৮০টি গাড়ি রপ্তানী করা হয়েছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ১০ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি মূল্যের ৪ হাজার ৪২টি গাড়ি রপ্তানী করা হয়েছিল। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১১ কোটি ২৬ লক্ষের বেশি মূল্যের ৪ হাজার ৬২৯টি গাড়ি রপ্তানীর করা হয়েছিল। গত কয়েক মাসে গাড়ি নির্মাণ শিল্প ক্ষেত্রেই নিম্মগতি দেখা গেছে। কিন্তু উৎসবের সময় গণ-পরিবহন ক্ষেত্রে ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এই শিল্পক্ষেত্রের অস্হায়ী কর্মীদের ছাঁটায়ের কথা বলা হলেও সরকারের কাছে এ বিষয়ে কোনও সঠিক তথ্য নেই। কেন্দ্রীয় সরকার গাড়ি নির্মাণ শিল্পের উন্নয়নে প্রতিনিয়ত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন মতো আর্থিক সহায়তা প্রদান ও নীতি নির্ধাণেরও ব্যবস্হা করেছে। লোকসভায় আজ লিখিত উত্তরে এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প এবং গণ শিল্পোদ্যোগ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর। CG/ SS /NS (Visitor Counter : 36
pib-1525
28eb3cb48eda9babb6395d4cdd3d3d80ca7da1771484b1e5d2718e087a42f928_3
ben
প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর হিউস্টনে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ টেক্সাসের হিউস্টনে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কাশ্মীরী পণ্ডিতদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রত্যেক ভারতীয়র ক্ষমতায়ন এবং দেশের অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতে তাঁরা দৃঢ় সমর্থন জানান। মতবিনিময়ের পর এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘হিউস্টনে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের সঙ্গে আমার বিশেষ কথাবার্তা হয়েছে’। CG/BD/SB (Visitor Counter : 59